ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত কূপে গ্যাসের সন্ধান

মোঃ কামাল হোসেন বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০২:১৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৪৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সিলেটের বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিয়ানীবাজারে গ্যাস ফিল্ডের একটি পরিত্যক্ত কূপ খনন করে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে এই কুপে গ্যাসের মজুদ থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় বাপেক্স। এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের পরিত্যক্ত ১ নম্বর এই কুপ খনন শুরু করে বাপেক্স।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, শীঘ্রই এ কুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। প্রতিদিন এই কুপ থেকে ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস ও ১০০ ব্যারেল কনডেনসেট সরবরাহ সম্ভব হবে বলে আশাবাদী রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাপেক্স।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শাহীনুর ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ হতে প্রায় ২ মাস ১ নম্বর কুপে পুনঃখনন কাজ চালিয়ে ওই কূপের ৩ হাজার ৪৫৪ মিটার গভীরে পরীক্ষা করে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। পরীক্ষামূলক অবস্থায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রবাহ হচ্ছে এবং গ্যাসের চাপ রয়েছে ৩১০০ পিএইচ। ওই কূপটিতে আগামী তিনদিন পরীক্ষা চলবে। পরীক্ষা শেষে তখন এ কূপ থেকে কি পরিমাণ গ্যাস দেওয়া সম্ভব হবে তা নিশ্চিত করা যাবে।

তবে, মনে করা হচ্ছে, দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এবং প্রায় ১০০ ব্যারেল কনডেনসেট সরবরাহ করা যাবে বলে জানান গ্যাস ফিল্ডের ওই কর্মকর্তা।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। ১৯৮১ সালে ওই দুটি গ্যাস কুপের খনন কাজ শুরু হলেও ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালের শুরুতে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষদিকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার পর ১ নম্বর কূপে চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও গ্যাসের সন্ধানে খননকাজ শুরু করে রাষ্ট্রায়াত্ত গ্যাস উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স।

এসজিএফএল’র অধীনে থাকা পরিত্যক্ত গ্যাস কূপগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৈলাশটিলা-২, রশীদপুর-২, রশীদপুর-৫ ও হরিপুর-৭ মোট চারটি কূপ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত কূপে গ্যাসের সন্ধান

আপডেট টাইম : ০২:১৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

সিলেটের বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিয়ানীবাজারে গ্যাস ফিল্ডের একটি পরিত্যক্ত কূপ খনন করে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে এই কুপে গ্যাসের মজুদ থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় বাপেক্স। এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের পরিত্যক্ত ১ নম্বর এই কুপ খনন শুরু করে বাপেক্স।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, শীঘ্রই এ কুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। প্রতিদিন এই কুপ থেকে ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস ও ১০০ ব্যারেল কনডেনসেট সরবরাহ সম্ভব হবে বলে আশাবাদী রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাপেক্স।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শাহীনুর ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ হতে প্রায় ২ মাস ১ নম্বর কুপে পুনঃখনন কাজ চালিয়ে ওই কূপের ৩ হাজার ৪৫৪ মিটার গভীরে পরীক্ষা করে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। পরীক্ষামূলক অবস্থায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রবাহ হচ্ছে এবং গ্যাসের চাপ রয়েছে ৩১০০ পিএইচ। ওই কূপটিতে আগামী তিনদিন পরীক্ষা চলবে। পরীক্ষা শেষে তখন এ কূপ থেকে কি পরিমাণ গ্যাস দেওয়া সম্ভব হবে তা নিশ্চিত করা যাবে।

তবে, মনে করা হচ্ছে, দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এবং প্রায় ১০০ ব্যারেল কনডেনসেট সরবরাহ করা যাবে বলে জানান গ্যাস ফিল্ডের ওই কর্মকর্তা।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। ১৯৮১ সালে ওই দুটি গ্যাস কুপের খনন কাজ শুরু হলেও ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালের শুরুতে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষদিকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার পর ১ নম্বর কূপে চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও গ্যাসের সন্ধানে খননকাজ শুরু করে রাষ্ট্রায়াত্ত গ্যাস উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স।

এসজিএফএল’র অধীনে থাকা পরিত্যক্ত গ্যাস কূপগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৈলাশটিলা-২, রশীদপুর-২, রশীদপুর-৫ ও হরিপুর-৭ মোট চারটি কূপ।