ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় আপিলের রায় ১৭ ফেব্রুয়ারি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:১০:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • / ৩১৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার ॥

২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী হত্যাচেষ্টা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে রায়ের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিন ধার‌্য করেন। আদালত বলেছেন-এ রায় বাংলায় দেবেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ মোহাম্মদ শাহীন মৃধা। পলাতক আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত ছিলেন আইনজীবী অমূল্য কুমার সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আহাসান।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এ আপিল শুনানি শুরু হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়া সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। সমাবেশের দু’দিন আগে ২০ জুলাই কলেজ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

পরে ওই কলেজের উত্তর পাশে সন্তোষ সাধুর দোকানঘরের সামনে থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।

এসব ঘটনায় আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালে মামলা দু’টি ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ডও দেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম।

অন্য মামলায় ৯ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

এরপর নিয়ম অনুসারে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্নের পর এ ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ওমর।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

আসামি আনিসুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও সারোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

২০ বছর করে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন (পলাতক), আনিসুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খান, ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, শাহনেওয়াজ ওরফে আজিজুল হক ও শেখ এনামুল হক (পলাতক)।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলায় আপিলের রায় ১৭ ফেব্রুয়ারি

আপডেট টাইম : ০২:১০:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার ॥

২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী হত্যাচেষ্টা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে রায়ের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিন ধার‌্য করেন। আদালত বলেছেন-এ রায় বাংলায় দেবেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ মোহাম্মদ শাহীন মৃধা। পলাতক আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত ছিলেন আইনজীবী অমূল্য কুমার সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আহাসান।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এ আপিল শুনানি শুরু হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়া সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। সমাবেশের দু’দিন আগে ২০ জুলাই কলেজ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

পরে ওই কলেজের উত্তর পাশে সন্তোষ সাধুর দোকানঘরের সামনে থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।

এসব ঘটনায় আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালে মামলা দু’টি ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ডও দেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম।

অন্য মামলায় ৯ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

এরপর নিয়ম অনুসারে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্নের পর এ ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ওমর।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

আসামি আনিসুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও সারোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

২০ বছর করে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন (পলাতক), আনিসুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খান, ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, শাহনেওয়াজ ওরফে আজিজুল হক ও শেখ এনামুল হক (পলাতক)।