হল কিংবা ল্যাব নয় বশেমুরবিপ্রবির উন্নয়নে নির্মাণ হবে হাইটেক পার্ক
- আপডেট টাইম : ০৯:৫২:০৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
- / ১৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্যের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এবং এ বিষয়টি তত্ত্বাবধানে স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিকা পালন করছেন।
ভারতীয় অর্থায়নে দেশে প্রথমবারের মতো ১২ টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ হচ্ছে। ১২ টি হাইটেক পার্কের মধ্যে ২ টি পার্ক নির্মাণের সুযোগ পেয়েছে ২ টি বিশ্ববিদ্যালয়। একটি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
কিন্তু হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এর বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা। তারা মনে করেন “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্প জায়গা অর্থাৎ ৫৫ একরের মধ্যে আমরা হাইটেক পার্ক চাইনা। মাষ্টার প্ল্যান অনুযায়ী যেখানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ হওয়ার কথা সেখানে অন্য কিছু হওয়ার কথা।তারা বলেন, আমরা হাইটেক পার্ক নির্মাণের বিপক্ষে না। হাইটেক পার্ক নির্মাণ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো কিছু অংশ জায়গা অধিগ্রহণ করে নির্মাণ করতে হবে।
এ বিষয়ে মাননীয় উপাচার্য স্যারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভারতীয় অর্থায়নে ১২টি হাইটেক পার্কের মধ্যে ২টি পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। তার মধ্যে একটি আমরা পাচ্ছি। এটা যে কত বড় সৌভাগ্যের বিষয় কাউকে বোঝাতে পারছিনা। এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে হাইটেক পার্কটা হোক। হাইটেক পার্ক নির্মাণ হলে সবচেয়ে বেশি তোমরাই উপকৃত হবে। এখানে বিভিন্ন প্রজেক্টের ট্রেনিং হবে। তোমরা দক্ষ করে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে। চাকরির ক্ষেত্রে তোমরা আরো বেশি উপকৃত হবে।”
তিনি আরো বলেন, হাইটেক পার্ক নির্মাণ শেষ হলে ডিসি মহোদয় আমাদের আরো ১৫ একর জমি বর্ধিত করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। আর হাইটেক পার্ক না হলে ইউজিসি থেকে শিক্ষক নিয়োগ সহ কিছু সুবিধা বন্ধ করে দিবেন বলে ইউজিসি আমাকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেছেন।
সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে কোনো সভা আয়োজন করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন,”খুব দ্রুতই আমরা এটা নিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে আলাদা আলাদা সাধারণ সভা করবো। আমি উপাচার্য আমার মেয়াদ ৪ বছর। অর্থাৎ ৪ বছর পরে আমি চলে যাবো। কিন্তু এখান শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে আজীবন। আইটি পার্ক আমাদের মালিকানায়ই থাকবে। শিক্ষার্থীরা কনফারেন্স রুমসহ যেকোন রুম ব্যবহার করতে পারবে।”