ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ পাকিস্তানের আকাশ সীমায় নারীর হামলায় ভারত অধ্যাদেশ বাতিল চায় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ৩ দিনের কলম বিরতি লক্ষ্মীপুর আল মুঈন মাদ্রসা থেকে ছাত্রের মরাদেহ উদ্ধার মরহুম সিদ্দিকুর রহমান সাহেবের ২৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত রছুল্লাবাদ শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত পুশ ইন করা ৭৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এবং ৩ জন ভারতীয় মুসলিমকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না: ডিএনসিসি প্রশাসক

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভিক্ষায় চলেছে পাগলী বেওয়ার দিন

এম সাহেব আলী মন্ডল, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬৭১ ১৫০০০.০ বার পাঠক

তারিখ – ৮ নভেম্বর ২০২২ ইং। ১১৫ বছরেও দিব্যি সুস্থ। আসল নাম কেউ জানেনা। পাগলি নামেই সবাই চেনেন তাকে। কুড়িগ্রামের উলিপুরে শহীদ পরিবারের সদস্য বাকপ্রতিবন্ধী পাগলি বেওয়ার দিন চলছে ভিক্ষা করে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের রামখানা গ্রামে জন্ম পাগলি বেওয়ার। জন্ম থেকেই সে বাকপ্রতিবন্ধী। পাকিস্তান আমলে একই ইউনিয়নের নীলকন্ঠ গ্রামে বিয়ে হয় তার। বিয়ের ছয় মাস পার হতে না হতেই মারা যান তার স্বামী। অভাব অনটন ছিল তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। সংসারে ছিল এক ভাই, এক বোন ও বৃদ্ধ পিতা। ছোট ভাই আবুল হোসেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে দাগারকুঠি নামক স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। তার লাশ রাস্তায় শিয়াল কুকুরকে খাওয়ানো হয়। ছেলের এমন করুন পরিণতি দেখে পিতা কানছিয়াশেখ সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এক সময় ধরলা নদীর কড়াল গ্রাসে ভেঙে যায় রামখানা গ্রাম। বিলিন হয়ে যায় পাগলীদের বেওয়ার বসতভিটা। সেই থেকে তার আশ্রয় হয় ভগ্নিপতি তছলিমের বাড়ীতে। বছর কয়েক পর ভগ্নিপতি তছলিমও মারা যান। সেখানেও তার আর থাকা হয়নি। বর্তমানে অনন্তপুর ফেডারেশন গ্রামে জাবেদ আলীর বাড়িতে একটি খুপরি ঘরে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও পেটের দায়ে সারাদিন ভিক্ষা করে যা পান তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করছেন। সরকারি ভাবে শহীদ পরিবারকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করলেও কোনটাই জোটেনি তার ভাগ্যে। এ ব্যাপারে হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম নয়া বলেন, পাগলী বেওয়া প্রতিবন্ধী ভাতা পান। তবে তিনি অতি সহজ সরল। যে কোন বরাদ্দ পেলেই আমি তাকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করবো।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভিক্ষায় চলেছে পাগলী বেওয়ার দিন

আপডেট টাইম : ১০:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

তারিখ – ৮ নভেম্বর ২০২২ ইং। ১১৫ বছরেও দিব্যি সুস্থ। আসল নাম কেউ জানেনা। পাগলি নামেই সবাই চেনেন তাকে। কুড়িগ্রামের উলিপুরে শহীদ পরিবারের সদস্য বাকপ্রতিবন্ধী পাগলি বেওয়ার দিন চলছে ভিক্ষা করে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের রামখানা গ্রামে জন্ম পাগলি বেওয়ার। জন্ম থেকেই সে বাকপ্রতিবন্ধী। পাকিস্তান আমলে একই ইউনিয়নের নীলকন্ঠ গ্রামে বিয়ে হয় তার। বিয়ের ছয় মাস পার হতে না হতেই মারা যান তার স্বামী। অভাব অনটন ছিল তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। সংসারে ছিল এক ভাই, এক বোন ও বৃদ্ধ পিতা। ছোট ভাই আবুল হোসেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে দাগারকুঠি নামক স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। তার লাশ রাস্তায় শিয়াল কুকুরকে খাওয়ানো হয়। ছেলের এমন করুন পরিণতি দেখে পিতা কানছিয়াশেখ সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এক সময় ধরলা নদীর কড়াল গ্রাসে ভেঙে যায় রামখানা গ্রাম। বিলিন হয়ে যায় পাগলীদের বেওয়ার বসতভিটা। সেই থেকে তার আশ্রয় হয় ভগ্নিপতি তছলিমের বাড়ীতে। বছর কয়েক পর ভগ্নিপতি তছলিমও মারা যান। সেখানেও তার আর থাকা হয়নি। বর্তমানে অনন্তপুর ফেডারেশন গ্রামে জাবেদ আলীর বাড়িতে একটি খুপরি ঘরে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও পেটের দায়ে সারাদিন ভিক্ষা করে যা পান তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করছেন। সরকারি ভাবে শহীদ পরিবারকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করলেও কোনটাই জোটেনি তার ভাগ্যে। এ ব্যাপারে হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম নয়া বলেন, পাগলী বেওয়া প্রতিবন্ধী ভাতা পান। তবে তিনি অতি সহজ সরল। যে কোন বরাদ্দ পেলেই আমি তাকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করবো।