প্রতিবেশী মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায় বাংলাদেশ
- আপডেট টাইম : ০১:৫৩:৫৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
- / ২৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের অনুসন্ধান রিপোর্ট।।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় দেশটিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত দেখতে চেয়ে বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার ভোরে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে এবং রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি ও ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে।
এ ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় বলেছে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে এবং আশা করে যে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক এরেঞ্জমেন্ট বজায় থাকবে। মিয়ানমারের শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায় নিকট ও বন্ধু প্রতিবেশী বাংলাদেশ। দেশটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বার্তায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ অন্যান্য সহযোগী প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ।
এর আগে, ভোরে দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। মিয়ানমার সেনারা অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবদমাধ্যম আল জাজিরা।
সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন টেলিভিশনে ঘোষণা করা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাং-এর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের চেষ্টা বা দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণে প্রতিবন্ধকতা তৈরির যে কোনও প্রয়াসের বিরোধী। এসব পদক্ষেপ বাতিল করা না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।