ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

খাদ্য কর্মকর্তা যখন ডাক্তার, ৫০০ টাকা ভিজিট তার

সুমন গোপ,নাসিরনগর, ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া ) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ২১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার আচার্য্য নিজেকে ডিএএমএস (ঢাকা) সিপিএম প্যারামেডিক্যাল ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিজ নামে প্যাড তৈরী করে নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতাল সংলগ্ন আঁচল ফার্মেসীতে বসে ভিজিট নিয়ে প্রতিনিয়ত রোগী দেখছেন। মাঝে মধ্যে মানুষের বাসা ও দোকানে গিয়ে ৫০০ টাকা ভিজিট নিয়েও রোগী দেখার কথা শুনা যাচ্ছে। জানাগেছে নাসিরনগর সদরে অবস্থিত অনন্ত হোটেলের মালিক নিরাঞ্জন মল্লিককে তার কান ব্যাথার চিকিৎসা দিয়ে ৫০০ টাকা ভিজিটও নিয়েছেন। এ বিষয়ে নিরাঞ্জন মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করে কথা বললে তিনি বলেন উনি প্রায়ই আমার হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে। সে দিন আমি ক্যাশে বসা ছিলাম হঠাৎ আমার কানে একটু একটু ব্যাথা শুরু হয়। তখন আমি আমার কর্মচারী নন্দলাল কে বলি আমার একটা কান ব্যাথা করছে। এ সময় উনি আমার পাশে ছিলেন। আমার কথা শুনে বিপ্লব কুমার আচার্য্য আমাকে তার অফিসে যাওয়ার কথা বলে। ওই দিন আমি আর যেতে পারি না। পরদিন খাওয়ার সময় উনি নিজেই আবার আমার হোটেলে এসে আমার কান ব্যাথার কথা জিজ্ঞেস করে একটি প্রেসকিপশনে কিছু ঔষধ লিখে দেয়। তখন তিনি আমার কাছ থেকে ভিজিট হিসেবে ৫০০ টাকা নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে মোবাইল ফোনে বিপ্লব কুমার আচার্য্যরে সাথে এক জন রোগী দেখাতে চাইলে তিনি বলেন আমি আজ নাসিরনগরের বাহিরে আছি কাল সকাল ৮ ঘটিকার সময় আঁচল ফার্মেসীতে নিয়ে আসেন। ভিজিট সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন এমনে ২০০ টাকা ভিজিট নেই আর বাহিরে গেলে আরো বেশি নেই। প্যারামেডিক্যাল বা ডিপ্লোমাধারিরা ডাক্তার লেখতে পারে কি না সেই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকার আমাদের ডাক্তার লেখার ক্ষমতা দিয়েছে। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অভিজিৎ রায়ের সাথে যোগযোগ করে ডিপ্লোমাধারিরা নিজেকে ডাক্তার লিখতে পারে কি না এবং রোগী দেখে ভিজিট নিতে পারে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সে কোন অবস্থাতেই ডাক্তার ও লেখতে পারে না ভিজিট ও নিতে পারে না। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার একরাম উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আমাকে জানানোর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোনাব্বর হোসেনের সাথে যোগযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খাদ্য কর্মকর্তা যখন ডাক্তার, ৫০০ টাকা ভিজিট তার

আপডেট টাইম : ০৬:১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার আচার্য্য নিজেকে ডিএএমএস (ঢাকা) সিপিএম প্যারামেডিক্যাল ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিজ নামে প্যাড তৈরী করে নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতাল সংলগ্ন আঁচল ফার্মেসীতে বসে ভিজিট নিয়ে প্রতিনিয়ত রোগী দেখছেন। মাঝে মধ্যে মানুষের বাসা ও দোকানে গিয়ে ৫০০ টাকা ভিজিট নিয়েও রোগী দেখার কথা শুনা যাচ্ছে। জানাগেছে নাসিরনগর সদরে অবস্থিত অনন্ত হোটেলের মালিক নিরাঞ্জন মল্লিককে তার কান ব্যাথার চিকিৎসা দিয়ে ৫০০ টাকা ভিজিটও নিয়েছেন। এ বিষয়ে নিরাঞ্জন মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করে কথা বললে তিনি বলেন উনি প্রায়ই আমার হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে। সে দিন আমি ক্যাশে বসা ছিলাম হঠাৎ আমার কানে একটু একটু ব্যাথা শুরু হয়। তখন আমি আমার কর্মচারী নন্দলাল কে বলি আমার একটা কান ব্যাথা করছে। এ সময় উনি আমার পাশে ছিলেন। আমার কথা শুনে বিপ্লব কুমার আচার্য্য আমাকে তার অফিসে যাওয়ার কথা বলে। ওই দিন আমি আর যেতে পারি না। পরদিন খাওয়ার সময় উনি নিজেই আবার আমার হোটেলে এসে আমার কান ব্যাথার কথা জিজ্ঞেস করে একটি প্রেসকিপশনে কিছু ঔষধ লিখে দেয়। তখন তিনি আমার কাছ থেকে ভিজিট হিসেবে ৫০০ টাকা নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে মোবাইল ফোনে বিপ্লব কুমার আচার্য্যরে সাথে এক জন রোগী দেখাতে চাইলে তিনি বলেন আমি আজ নাসিরনগরের বাহিরে আছি কাল সকাল ৮ ঘটিকার সময় আঁচল ফার্মেসীতে নিয়ে আসেন। ভিজিট সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন এমনে ২০০ টাকা ভিজিট নেই আর বাহিরে গেলে আরো বেশি নেই। প্যারামেডিক্যাল বা ডিপ্লোমাধারিরা ডাক্তার লেখতে পারে কি না সেই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকার আমাদের ডাক্তার লেখার ক্ষমতা দিয়েছে। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অভিজিৎ রায়ের সাথে যোগযোগ করে ডিপ্লোমাধারিরা নিজেকে ডাক্তার লিখতে পারে কি না এবং রোগী দেখে ভিজিট নিতে পারে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সে কোন অবস্থাতেই ডাক্তার ও লেখতে পারে না ভিজিট ও নিতে পারে না। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার একরাম উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আমাকে জানানোর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোনাব্বর হোসেনের সাথে যোগযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।