ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

খাদ্য কর্মকর্তা যখন ডাক্তার, ৫০০ টাকা ভিজিট তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার আচার্য্য নিজেকে ডিএএমএস (ঢাকা) সিপিএম প্যারামেডিক্যাল ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিজ নামে প্যাড তৈরী করে নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতাল সংলগ্ন আঁচল ফার্মেসীতে বসে ভিজিট নিয়ে প্রতিনিয়ত রোগী দেখছেন। মাঝে মধ্যে মানুষের বাসা ও দোকানে গিয়ে ৫০০ টাকা ভিজিট নিয়েও রোগী দেখার কথা শুনা যাচ্ছে। জানাগেছে নাসিরনগর সদরে অবস্থিত অনন্ত হোটেলের মালিক নিরাঞ্জন মল্লিককে তার কান ব্যাথার চিকিৎসা দিয়ে ৫০০ টাকা ভিজিটও নিয়েছেন। এ বিষয়ে নিরাঞ্জন মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করে কথা বললে তিনি বলেন উনি প্রায়ই আমার হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে। সে দিন আমি ক্যাশে বসা ছিলাম হঠাৎ আমার কানে একটু একটু ব্যাথা শুরু হয়। তখন আমি আমার কর্মচারী নন্দলাল কে বলি আমার একটা কান ব্যাথা করছে। এ সময় উনি আমার পাশে ছিলেন। আমার কথা শুনে বিপ্লব কুমার আচার্য্য আমাকে তার অফিসে যাওয়ার কথা বলে। ওই দিন আমি আর যেতে পারি না। পরদিন খাওয়ার সময় উনি নিজেই আবার আমার হোটেলে এসে আমার কান ব্যাথার কথা জিজ্ঞেস করে একটি প্রেসকিপশনে কিছু ঔষধ লিখে দেয়। তখন তিনি আমার কাছ থেকে ভিজিট হিসেবে ৫০০ টাকা নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে মোবাইল ফোনে বিপ্লব কুমার আচার্য্যরে সাথে এক জন রোগী দেখাতে চাইলে তিনি বলেন আমি আজ নাসিরনগরের বাহিরে আছি কাল সকাল ৮ ঘটিকার সময় আঁচল ফার্মেসীতে নিয়ে আসেন। ভিজিট সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন এমনে ২০০ টাকা ভিজিট নেই আর বাহিরে গেলে আরো বেশি নেই। প্যারামেডিক্যাল বা ডিপ্লোমাধারিরা ডাক্তার লেখতে পারে কি না সেই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকার আমাদের ডাক্তার লেখার ক্ষমতা দিয়েছে। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অভিজিৎ রায়ের সাথে যোগযোগ করে ডিপ্লোমাধারিরা নিজেকে ডাক্তার লিখতে পারে কি না এবং রোগী দেখে ভিজিট নিতে পারে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সে কোন অবস্থাতেই ডাক্তার ও লেখতে পারে না ভিজিট ও নিতে পারে না। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার একরাম উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আমাকে জানানোর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোনাব্বর হোসেনের সাথে যোগযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রচন্ড খড়া রোদে ডিএমপি কমিশনারের স্বস্থির উদ্যোগ

খাদ্য কর্মকর্তা যখন ডাক্তার, ৫০০ টাকা ভিজিট তার

আপডেট টাইম : ০৬:১০:২৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার আচার্য্য নিজেকে ডিএএমএস (ঢাকা) সিপিএম প্যারামেডিক্যাল ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিজ নামে প্যাড তৈরী করে নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতাল সংলগ্ন আঁচল ফার্মেসীতে বসে ভিজিট নিয়ে প্রতিনিয়ত রোগী দেখছেন। মাঝে মধ্যে মানুষের বাসা ও দোকানে গিয়ে ৫০০ টাকা ভিজিট নিয়েও রোগী দেখার কথা শুনা যাচ্ছে। জানাগেছে নাসিরনগর সদরে অবস্থিত অনন্ত হোটেলের মালিক নিরাঞ্জন মল্লিককে তার কান ব্যাথার চিকিৎসা দিয়ে ৫০০ টাকা ভিজিটও নিয়েছেন। এ বিষয়ে নিরাঞ্জন মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করে কথা বললে তিনি বলেন উনি প্রায়ই আমার হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে। সে দিন আমি ক্যাশে বসা ছিলাম হঠাৎ আমার কানে একটু একটু ব্যাথা শুরু হয়। তখন আমি আমার কর্মচারী নন্দলাল কে বলি আমার একটা কান ব্যাথা করছে। এ সময় উনি আমার পাশে ছিলেন। আমার কথা শুনে বিপ্লব কুমার আচার্য্য আমাকে তার অফিসে যাওয়ার কথা বলে। ওই দিন আমি আর যেতে পারি না। পরদিন খাওয়ার সময় উনি নিজেই আবার আমার হোটেলে এসে আমার কান ব্যাথার কথা জিজ্ঞেস করে একটি প্রেসকিপশনে কিছু ঔষধ লিখে দেয়। তখন তিনি আমার কাছ থেকে ভিজিট হিসেবে ৫০০ টাকা নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে মোবাইল ফোনে বিপ্লব কুমার আচার্য্যরে সাথে এক জন রোগী দেখাতে চাইলে তিনি বলেন আমি আজ নাসিরনগরের বাহিরে আছি কাল সকাল ৮ ঘটিকার সময় আঁচল ফার্মেসীতে নিয়ে আসেন। ভিজিট সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন এমনে ২০০ টাকা ভিজিট নেই আর বাহিরে গেলে আরো বেশি নেই। প্যারামেডিক্যাল বা ডিপ্লোমাধারিরা ডাক্তার লেখতে পারে কি না সেই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকার আমাদের ডাক্তার লেখার ক্ষমতা দিয়েছে। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অভিজিৎ রায়ের সাথে যোগযোগ করে ডিপ্লোমাধারিরা নিজেকে ডাক্তার লিখতে পারে কি না এবং রোগী দেখে ভিজিট নিতে পারে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সে কোন অবস্থাতেই ডাক্তার ও লেখতে পারে না ভিজিট ও নিতে পারে না। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার একরাম উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আমাকে জানানোর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোনাব্বর হোসেনের সাথে যোগযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।