প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয়
- আপডেট টাইম : ০৭:৪৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২১
- / ৩০৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
সংসদ রিপোর্টার।।
করোনা ভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্য দিয়ে কীভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ সঙ্কট মোকাবিলায় নিজেকে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার শুরুতে যারা শঙ্কা প্রকাশ করেছিল, পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিল, টেলিভিশনের পর্দা গরম করেছিল যে হাজার হাজার লাশ পড়ে থাকবে, অনাহারে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে, তাদের সেই শঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সঙ্কট কিভাবে মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হয়; তার উদাহরণ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম
বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এর মধ্যে ঢাকা আরও ঘনবসতিপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশ করোনা ভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পায়নি। বাংলাদেশও রক্ষা পায়নি, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। বিএনপি এই অর্জনের প্রশংসা করতে পারে না। কিন্তু বিএনপি প্রশংসা করতে না পারলেও বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
’ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পৃথিবীতে জিডিপি গ্রোথ ধরে রাখতে বাংলাদেশ এক নম্বরে আছে। সরকার ৭ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। এই করোনা মহামারীর মধ্যে নয়াপল্টনের অফিসে বসে অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলেন। তারা এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এক তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, আবার তারা সুস্থ হয়ে মানুষের জন্য কাজে নেমে পড়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে আশান্বিত করেছেন। মানুষ শুধু আশান্বিতই হননি, মানুষ আলোকিত হয়েছেন। গ্রামে আজ কুঁড়ে ঘর নেই। কবিতায় কুঁড়ে ঘর আছে বাস্তবে নেই। কুঁড়ে ঘর এখন পাকা ঘরে রূপান্তরিত হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশকে এগিয়ে নিতে চান না, দেশের নতুন প্রজন্মকে মেধায় সমৃদ্ধ করে এগিয়ে নিতে চান। শুধু বস্তুগত উন্নতি নয়, নতুন প্রজন্মের আত্মিক উন্নতিও তিনি ঘটাতে চান। এখন দেশে উন্নয়ন অর্জনে একটি নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ইউরোপে স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা না থাকলেও বাংলাদেশে আছে। স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ইউরোপে স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা নাই। যদি কোনো স্ত্রীকে স্বামী ডিভোর্স দেয়, কোনো ভাতা পায় না। কিন্তু বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা চালু করেছেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ নানা ধরনের ভাতা পাচ্ছে। এই করোনাকালে কেউ আশা করেনি মোবাইল ফোনে টাকা পাবে। কিন্তু টাকা চলে গেছে। আমাদের আশপাশে শ্রীলংকা, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান- কোনো দেশে এই সহায়তা দেয়া হয়নি।’তিনি বলেন, ‘সংগ্রামে-উন্নয়নে একটি নাম, তিনি হলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে আজকে আমরা সংকট পাড়ি দিয়েছি।’
মধ্যযুগে বাংলাদেশ ধনী দেশ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ধনী ছিলাম বলেই এখানে বর্গীরা এসেছিল, ওলন্দাজরা এসেছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দৃশ্যপট আবার উল্টে দিতে চাই। আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ আবারো উন্নত ও ধনী দেশে রূপান্তরিত হবো। আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই।