ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আগুলিয়ায় ফেক হোয়াটসঅ্যাপ আইডি ও বিকাশ নম্বর ব্যবহার করে হয়রানির অভিযোগ চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের বাছাইকৃত কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত কাশিমপুরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ‘হানিফ সরিষার তৈল পোস্ট মাস্টার শ্বশুর জালিয়াতি করে ১৫ বছর যাবৎ দুই পদের বেতন আত্মসাৎ ঠাকুরগাঁওয়ে ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা খুলনায় মাহিন্দ্রা ও লরির সংঘর্ষে নিহত ৩ মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ১৭ মে: বাংলাদেশের অনেক ‘প্রথমের’ একদিন

চাটমোহরে পাশাপাশি তিন বাড়িতে ৩০ মৌচাক

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩৩৫ ১৫০০০.০ বার পাঠক

পাবনা রিপোর্টার।।
চাটমোহর-ফৈলজানা সড়কের পাশে মূলগ্রাম ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে পাশাপাশি তিনটি বাড়ি এখন যেন মৌবাড়িতে পরিণত হয়েছে। একটি বাড়ির ছাদের কার্নিশ জুড়ে, দরজা-জানালার সঙ্গে, একটি বাড়ির চালের সঙ্গে, বাঁশের সঙ্গে এবং অন্য একটি বাড়ির দরজা-জানালা আর আঙিনায় ছোট আমগাছসহ বিভিন্ন গাছে ঝুলছে ৩০টি মৌচাক। ছোট ছোট আরো দুই-তিনটি মৌচাকও রয়েছে।

এর মধ্যে ইন্তার আলী নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত পাকা বাড়ি রয়েছে। অন্য দুটি বাড়ির এসব মৌচাকের লাখো মৌমাছির সঙ্গেই বসবাস করছেন বাড়ির লোকজন। বাড়ির মালিক আ. মজিদ ও জাকির হোসেন। চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে সাত-আট কিলোমিটার দূরে মূলগ্রামের শাহপুর গ্রামের তিনটি বাড়িতে এ দৃশ্য দেখা গেছে। সরেজমিনে শাহপুর গ্রামের ঐ তিন বাড়ির চারদিক ঘুরে দেখা গেছে কেবল মৌচাক আর মৌচাক।

আরও পড়ুন: এক বাড়িতে ২০টি মৌচাক

বাড়ির মালিক জাকির হোসেন জানান, এর আগে বাড়িটিতে প্রতি বছর দুই-একটা মৌচাক বসত। তবে এবার এত মৌচাক বসবে তা তিনি কল্পনাও করেননি। পাশের ইন্তার আলীর পরিত্যক্ত বাড়িটিই মূলত মৌমাছির ঘাঁটি। সেখান থেকেই আমাদের পাশের দুই বাড়িতে এর বিস্তার।

তিনি বলেন, ‘গ্রামের বাড়ি বলে সবার কাজকর্ম একটু বেশিই। মৌমাছিরও তো ছোটাছুটির অন্ত নেই। কাজ করতে গেলেই মৌমাছির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। মৌমাছিগুলো যেন তাদের পরিবারেরই সদস্য হয়ে গেছে। এই গ্রামে কখনো এক বাড়িতে একসঙ্গে এত মৌচাক তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন মূলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, মধুর সন্ধানে মৌমাছি বনে গিয়ে মৌচাক তৈরি করে। বাড়ি বা বাড়ির পাশের গাছে মৌচাক থাকে। কিন্তু যদি এত পরিমাণ মৌচাক একসঙ্গে থাকে, তাহলে সত্যিই বিস্ময়কর। এলাকাটি সরিষা চাষ প্রধান হওয়ায় মৌমাছি এখানে ভিড় করেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাটমোহরে পাশাপাশি তিন বাড়িতে ৩০ মৌচাক

আপডেট টাইম : ০৬:০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

পাবনা রিপোর্টার।।
চাটমোহর-ফৈলজানা সড়কের পাশে মূলগ্রাম ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে পাশাপাশি তিনটি বাড়ি এখন যেন মৌবাড়িতে পরিণত হয়েছে। একটি বাড়ির ছাদের কার্নিশ জুড়ে, দরজা-জানালার সঙ্গে, একটি বাড়ির চালের সঙ্গে, বাঁশের সঙ্গে এবং অন্য একটি বাড়ির দরজা-জানালা আর আঙিনায় ছোট আমগাছসহ বিভিন্ন গাছে ঝুলছে ৩০টি মৌচাক। ছোট ছোট আরো দুই-তিনটি মৌচাকও রয়েছে।

এর মধ্যে ইন্তার আলী নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত পাকা বাড়ি রয়েছে। অন্য দুটি বাড়ির এসব মৌচাকের লাখো মৌমাছির সঙ্গেই বসবাস করছেন বাড়ির লোকজন। বাড়ির মালিক আ. মজিদ ও জাকির হোসেন। চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে সাত-আট কিলোমিটার দূরে মূলগ্রামের শাহপুর গ্রামের তিনটি বাড়িতে এ দৃশ্য দেখা গেছে। সরেজমিনে শাহপুর গ্রামের ঐ তিন বাড়ির চারদিক ঘুরে দেখা গেছে কেবল মৌচাক আর মৌচাক।

আরও পড়ুন: এক বাড়িতে ২০টি মৌচাক

বাড়ির মালিক জাকির হোসেন জানান, এর আগে বাড়িটিতে প্রতি বছর দুই-একটা মৌচাক বসত। তবে এবার এত মৌচাক বসবে তা তিনি কল্পনাও করেননি। পাশের ইন্তার আলীর পরিত্যক্ত বাড়িটিই মূলত মৌমাছির ঘাঁটি। সেখান থেকেই আমাদের পাশের দুই বাড়িতে এর বিস্তার।

তিনি বলেন, ‘গ্রামের বাড়ি বলে সবার কাজকর্ম একটু বেশিই। মৌমাছিরও তো ছোটাছুটির অন্ত নেই। কাজ করতে গেলেই মৌমাছির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। মৌমাছিগুলো যেন তাদের পরিবারেরই সদস্য হয়ে গেছে। এই গ্রামে কখনো এক বাড়িতে একসঙ্গে এত মৌচাক তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন মূলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, মধুর সন্ধানে মৌমাছি বনে গিয়ে মৌচাক তৈরি করে। বাড়ি বা বাড়ির পাশের গাছে মৌচাক থাকে। কিন্তু যদি এত পরিমাণ মৌচাক একসঙ্গে থাকে, তাহলে সত্যিই বিস্ময়কর। এলাকাটি সরিষা চাষ প্রধান হওয়ায় মৌমাছি এখানে ভিড় করেছে।