ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল বাংলা ৫২ নিউজ ডটকম এর ৯ম বর্ষপূর্তি আজশনিবার সকাল দশটায় পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় উদযাপিত হয় কোনাবাড়িতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল

মাদারীপুরে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লির আংশিক ভূমি অধিগ্রহণে ভুয়া অবকাঠামো বিল প্রস্তুত করার অভিযোগ উঠেছে

মিরাজ খান নিজস্ব প্রতিনিধি ক্রাইম
  • আপডেট টাইম : ০৭:২০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ২২৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

মাদারীপুর জেলাধীন শিবচর উপজেলার ৯২ নং কুতুবপুর

ইউনিয়নে হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি এবং দ্বিতীয় দফায় আংশিক কিছু জমি অধিগ্রহণ করছে মাদারীপুর ডি সি অফিস
কিন্তু ক্ষতি পূরণ বিলের তালিকা থেকে শুরু করে , ক্ষতিপূরণ বিলের চূড়ান্ত আট ধারার নোটিশ , সবকিছুতে জালিয়াতি, জড়িত গণপূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার শাওন ও মাদারিপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিম্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা ও দালাল চক্ররা এমনই অভিযোগ করেন কুতুবপুর ইউনিয়ন এর হাজি আইনুদ্দিন মাদবর কান্দির 20 টি পরিবারের চাইতেও বেশি লোক ।শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি, কর্মসংস্থান হবে ১০ লাখ মানুষের
শরীয়তপুর ও মাদারীপুর সহ আশপাশের জেলার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে, বিশেষ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতপল্লি, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি’। ১ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। এ প্রকল্প ঘিরে ওই এলাকায় চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।
মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ হাসিনা তাঁতপল্লির মাটি ভরাটের কাজ শেষ পর্যায়
পদ্মা সেতুর শরীয়তপুর প্রান্তের রেলস্টেশনের কাছাকাছি নাওডোবা এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে এ তাঁতপল্লি। জেলার জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের নাওডোবা মৌজায় ৫৯ দশমিক ৭৩ একর ও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর মৌজায় ৬০ একর করে মোট ১১৯ দশমিক ৭৩ একর জমিতে তাঁতপল্লি গড়ে উঠতেছে। প্রকল্পের আওতায় তাঁত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কলকারখানার পাশাপাশি কর্মরত তাঁতিদের জন্য থাকছে আবাসন । আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে অধিগ্রহণকৃত সরকারি টাকা লুটপাট করে খাওয়ার আশায় জমি অধিগ্রহণের প্রথম ধাপে ,রাতারাতি তড়িঘড়ি করে মাদারীপুর শিবচর প্রান্তেও শরীয়তপুর জাজিরা প্রান্তে উঠানো হয়েছিল হাজার হাজার নতুন ঘর ও লক্ষ লক্ষ চারা গাছের বাগান কিন্তু সে আশায় বালি। সেখানেই থেমে থাকে নি দালাল চক্ররা পুনরায় আংশিক অধিগ্রহণের আগাম খবর জানতে পেয়ে রাতারাতি অন্যস্থান থেকে পুরাতন ঘর এনে তড়িঘড়ি করে উঠায় শেখ-হাসিনা তাঁতপল্লীর
অবকাঠামো বিল লুটপাটের
ক্ষেত্রে ৮ ধারা নোটিশ চুরান্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ করে জেলা প্রশাসনের ভূমি হুকুমদখল (এলএ) শাখার নিম্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা ও মাদারীপুর গনপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী শাওন বিল প্রস্তত করতে নানা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পায়তারা করছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে,কুতুবপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত হাজী আইনুদ্দিন মাদবর কান্দিএলাকার ফয়জুল খা পিতা মৃত-মানিক খা,মোঃ নুরুল আমীন খা পিতা মৃত-আব্দুর রাজ্জাক খা, মোঃ হালিম খা পিতা মৃত-সাহেদ আলী খা সর্বসাং-হাজী আইনুদ্দিন মাদবর কান্দি ব্যাক্তিগনের ৩টি বাড়িতে মাত্র ৬০ ফুট প্রশ্বস্ত জায়গার মধ্যে অন্যস্থান থেকে একাধিক পুরনো ঘর এনে নতুন করে তুলে সরকারী টাকা হজম করতে পার্শবর্তী নাওডোবা এলাকার চিহ্নিত দালাল দেলোয়ার মুন্সী পিতা মৃত রশিদ মুন্সী সাং-নাওডোবা বাজার সংলগ্ন হাজী মন্নাফ ফকির কান্দি,পদ্মা সেতু দক্ষিন থানা ও নাওডোবা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হাওলাদার পিতা লাল মিয়া হাওলাদার এর মাধ্যমে মাদারীপুরের জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এল.এ শাখায় কর্মরত সার্ভেয়ার মাইনুল ও মাদারীপুর গনপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী শাওন কে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে বহু সংখ্যক ঘর অনিয়মের মাধ্যমে অবকাঠামো বিলের জন্য অন্তর্ভুক্ত করে।
খোঁজনিয়ে জানাগেছে সেখানে অতিরিক্ত অধিকাংশ ঘরই উত্তোলন করেছে দালাল দেলোয়ার মুন্সী ও নাওডোবা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হাওলাদার এবং তার সহযোগী অন্য দালালরা।

স্থানীয় ফয়জুল খা,নুরুল আমীন খা,হালিম খা জানিয়েছে “দালাল দেলোয়ার মুন্সী ও নাওডোবা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হাওলাদারের সাথে তাদের মধ্যে স্ট্যাম্পে চুক্তি হয়েছে, চুক্তি মোতাবেক দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা আমাদের জমিতে নতুন করে অন্যস্থান থেকে পুরনো উপড়ে নীচে পাটাতন করা ঘর এনে সেথায় স্থাপন করেছে, জেলাপ্রশাসকের এল.এ শাখার সার্ভেয়ার ও মাদারীপুর গনপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী শাওনকে দিয়ে থুয়ে যা টাকা আসবে তা আমরা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেব”।

ইতোপুর্বেও পদ্মাসেতু রেলওয়ে প্রকল্পে১৮টি মৌজার ২য় দফা আংশিক অধিগ্রহন করাহয় প্রকল্পে যার এল.এ কেইস নং০৫/২০১৯-২০২০তে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি প্রমানিত হয়।যার কারনে সেই সময় সংবাদ পত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকারী কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হয়।এছারাও শেখ-হাসিনা তাঁতপল্লী প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনের সময় ৯২ নং কুতুবপুর মৌজার ১০৬৭৪,১০৬৭৫,১০৬৯৭,১০৭০০বিআরএস দাগের এক একর সাড়ে ১১ শতাংশ জমির ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে করিমখা গং এবং তৎকালীন মাদারীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হাওলাদার, এতে সব ধরনের সহযোগীতা করেন সার্ভেয়ার মাইনুল।এসব বিলের বিষয়ে অভিযোগ প্রমানিত হয়েছ।

মানীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে একের পর এক মহাপ্রকল্প হাতে নিয়ে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে অথচ সরকারের এসব মহতী উদ্যোগের সুযোগে নিচের সারির কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে দালালদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।এতে করে বহুলাংশে সরকারী ব্যায় বৃদ্ধি পায় নানা প্রকল্পগুলোতে। উপরের উল্লেখিত বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব কে জানালে তিনি বলেন চুক্তি পত্রের স্ট্যাম্প আমাদেরকে দিলে বিষয়টির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদারীপুরে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লির আংশিক ভূমি অধিগ্রহণে ভুয়া অবকাঠামো বিল প্রস্তুত করার অভিযোগ উঠেছে

আপডেট টাইম : ০৭:২০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২

মাদারীপুর জেলাধীন শিবচর উপজেলার ৯২ নং কুতুবপুর

ইউনিয়নে হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি এবং দ্বিতীয় দফায় আংশিক কিছু জমি অধিগ্রহণ করছে মাদারীপুর ডি সি অফিস
কিন্তু ক্ষতি পূরণ বিলের তালিকা থেকে শুরু করে , ক্ষতিপূরণ বিলের চূড়ান্ত আট ধারার নোটিশ , সবকিছুতে জালিয়াতি, জড়িত গণপূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার শাওন ও মাদারিপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিম্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা ও দালাল চক্ররা এমনই অভিযোগ করেন কুতুবপুর ইউনিয়ন এর হাজি আইনুদ্দিন মাদবর কান্দির 20 টি পরিবারের চাইতেও বেশি লোক ।শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি, কর্মসংস্থান হবে ১০ লাখ মানুষের
শরীয়তপুর ও মাদারীপুর সহ আশপাশের জেলার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে, বিশেষ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতপল্লি, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি’। ১ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। এ প্রকল্প ঘিরে ওই এলাকায় চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।
মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ হাসিনা তাঁতপল্লির মাটি ভরাটের কাজ শেষ পর্যায়
পদ্মা সেতুর শরীয়তপুর প্রান্তের রেলস্টেশনের কাছাকাছি নাওডোবা এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে এ তাঁতপল্লি। জেলার জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের নাওডোবা মৌজায় ৫৯ দশমিক ৭৩ একর ও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর মৌজায় ৬০ একর করে মোট ১১৯ দশমিক ৭৩ একর জমিতে তাঁতপল্লি গড়ে উঠতেছে। প্রকল্পের আওতায় তাঁত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কলকারখানার পাশাপাশি কর্মরত তাঁতিদের জন্য থাকছে আবাসন । আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে অধিগ্রহণকৃত সরকারি টাকা লুটপাট করে খাওয়ার আশায় জমি অধিগ্রহণের প্রথম ধাপে ,রাতারাতি তড়িঘড়ি করে মাদারীপুর শিবচর প্রান্তেও শরীয়তপুর জাজিরা প্রান্তে উঠানো হয়েছিল হাজার হাজার নতুন ঘর ও লক্ষ লক্ষ চারা গাছের বাগান কিন্তু সে আশায় বালি। সেখানেই থেমে থাকে নি দালাল চক্ররা পুনরায় আংশিক অধিগ্রহণের আগাম খবর জানতে পেয়ে রাতারাতি অন্যস্থান থেকে পুরাতন ঘর এনে তড়িঘড়ি করে উঠায় শেখ-হাসিনা তাঁতপল্লীর
অবকাঠামো বিল লুটপাটের
ক্ষেত্রে ৮ ধারা নোটিশ চুরান্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ করে জেলা প্রশাসনের ভূমি হুকুমদখল (এলএ) শাখার নিম্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা ও মাদারীপুর গনপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী শাওন বিল প্রস্তত করতে নানা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পায়তারা করছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে,কুতুবপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত হাজী আইনুদ্দিন মাদবর কান্দিএলাকার ফয়জুল খা পিতা মৃত-মানিক খা,মোঃ নুরুল আমীন খা পিতা মৃত-আব্দুর রাজ্জাক খা, মোঃ হালিম খা পিতা মৃত-সাহেদ আলী খা সর্বসাং-হাজী আইনুদ্দিন মাদবর কান্দি ব্যাক্তিগনের ৩টি বাড়িতে মাত্র ৬০ ফুট প্রশ্বস্ত জায়গার মধ্যে অন্যস্থান থেকে একাধিক পুরনো ঘর এনে নতুন করে তুলে সরকারী টাকা হজম করতে পার্শবর্তী নাওডোবা এলাকার চিহ্নিত দালাল দেলোয়ার মুন্সী পিতা মৃত রশিদ মুন্সী সাং-নাওডোবা বাজার সংলগ্ন হাজী মন্নাফ ফকির কান্দি,পদ্মা সেতু দক্ষিন থানা ও নাওডোবা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হাওলাদার পিতা লাল মিয়া হাওলাদার এর মাধ্যমে মাদারীপুরের জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এল.এ শাখায় কর্মরত সার্ভেয়ার মাইনুল ও মাদারীপুর গনপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী শাওন কে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে বহু সংখ্যক ঘর অনিয়মের মাধ্যমে অবকাঠামো বিলের জন্য অন্তর্ভুক্ত করে।
খোঁজনিয়ে জানাগেছে সেখানে অতিরিক্ত অধিকাংশ ঘরই উত্তোলন করেছে দালাল দেলোয়ার মুন্সী ও নাওডোবা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হাওলাদার এবং তার সহযোগী অন্য দালালরা।

স্থানীয় ফয়জুল খা,নুরুল আমীন খা,হালিম খা জানিয়েছে “দালাল দেলোয়ার মুন্সী ও নাওডোবা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হাওলাদারের সাথে তাদের মধ্যে স্ট্যাম্পে চুক্তি হয়েছে, চুক্তি মোতাবেক দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা আমাদের জমিতে নতুন করে অন্যস্থান থেকে পুরনো উপড়ে নীচে পাটাতন করা ঘর এনে সেথায় স্থাপন করেছে, জেলাপ্রশাসকের এল.এ শাখার সার্ভেয়ার ও মাদারীপুর গনপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী শাওনকে দিয়ে থুয়ে যা টাকা আসবে তা আমরা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেব”।

ইতোপুর্বেও পদ্মাসেতু রেলওয়ে প্রকল্পে১৮টি মৌজার ২য় দফা আংশিক অধিগ্রহন করাহয় প্রকল্পে যার এল.এ কেইস নং০৫/২০১৯-২০২০তে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি প্রমানিত হয়।যার কারনে সেই সময় সংবাদ পত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকারী কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হয়।এছারাও শেখ-হাসিনা তাঁতপল্লী প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনের সময় ৯২ নং কুতুবপুর মৌজার ১০৬৭৪,১০৬৭৫,১০৬৯৭,১০৭০০বিআরএস দাগের এক একর সাড়ে ১১ শতাংশ জমির ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে করিমখা গং এবং তৎকালীন মাদারীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হাওলাদার, এতে সব ধরনের সহযোগীতা করেন সার্ভেয়ার মাইনুল।এসব বিলের বিষয়ে অভিযোগ প্রমানিত হয়েছ।

মানীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে একের পর এক মহাপ্রকল্প হাতে নিয়ে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে অথচ সরকারের এসব মহতী উদ্যোগের সুযোগে নিচের সারির কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে দালালদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।এতে করে বহুলাংশে সরকারী ব্যায় বৃদ্ধি পায় নানা প্রকল্পগুলোতে। উপরের উল্লেখিত বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব কে জানালে তিনি বলেন চুক্তি পত্রের স্ট্যাম্প আমাদেরকে দিলে বিষয়টির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।