ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

হৃদয় হত্যাকাণ্ড: সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মা

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর সুজন ওরফে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য শুরু হয়েছে সোমবার। আদালতে সাক্ষ্য দিতে উঠে একমাত্র ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুজন ওরফে হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম।

এ সময় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৮ জন কিশোর অপরাধী উপস্থিত ছিল।

সুজন ওরফে হৃদয় ওই সময় বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। মৃত্যুর ৩ দিন পরে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে এ গ্রেড প্রাপ্ত হয় হৃদয়।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ মে বিকাল সাড়ে ৫টায় বরগুনা সদর উপজেলার গোলবুনিয়া পায়রা নদীর তীরে চায়না প্রজেক্টের ব্লক ইয়ার্ডে ঘুরতে গেলে সুজন ওরফে হৃদয়ের বন্ধু কিশোর অপরাধী ইউনুস কাজির সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া হয়। এ সময় ইউনুস কাজির সঙ্গে অন্য কিশোর গ্যাং হৃদয়কে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। হৃদয় বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে।

হৃদয়কে পেটানোর ভিডিও দৃশ্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়। হৃদয়ের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। হৃদয়কে পিটিয়ে ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। হৃদয়কে ওই দিন বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল নেওয়ার পথেই মারা যায়।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত ২৮ জন আসামি। তদন্তকারী কর্মকর্তা শরজিৎ কুমার ঘোষ ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ২ খণ্ডে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

হৃদয়ের মা গনমাধ্যমকে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে হৃদয়কে আসামিরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হৃদয় আজ নেই। আমার ছেলের ইচ্ছা ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হবে। মৃত্যুর তিন দিন পরে রেজাল্ট বের হয়। আমার ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। আসামিরা আমাকে টাকা দিয়ে আপস করতে চেয়েছে। আমি হৃদয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক

হৃদয় হত্যাকাণ্ড: সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মা

আপডেট টাইম : ০৫:৪০:৫২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর সুজন ওরফে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য শুরু হয়েছে সোমবার। আদালতে সাক্ষ্য দিতে উঠে একমাত্র ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুজন ওরফে হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম।

এ সময় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৮ জন কিশোর অপরাধী উপস্থিত ছিল।

সুজন ওরফে হৃদয় ওই সময় বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। মৃত্যুর ৩ দিন পরে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে এ গ্রেড প্রাপ্ত হয় হৃদয়।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ মে বিকাল সাড়ে ৫টায় বরগুনা সদর উপজেলার গোলবুনিয়া পায়রা নদীর তীরে চায়না প্রজেক্টের ব্লক ইয়ার্ডে ঘুরতে গেলে সুজন ওরফে হৃদয়ের বন্ধু কিশোর অপরাধী ইউনুস কাজির সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া হয়। এ সময় ইউনুস কাজির সঙ্গে অন্য কিশোর গ্যাং হৃদয়কে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। হৃদয় বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে।

হৃদয়কে পেটানোর ভিডিও দৃশ্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়। হৃদয়ের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। হৃদয়কে পিটিয়ে ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। হৃদয়কে ওই দিন বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল নেওয়ার পথেই মারা যায়।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত ২৮ জন আসামি। তদন্তকারী কর্মকর্তা শরজিৎ কুমার ঘোষ ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ২ খণ্ডে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

হৃদয়ের মা গনমাধ্যমকে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে হৃদয়কে আসামিরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হৃদয় আজ নেই। আমার ছেলের ইচ্ছা ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হবে। মৃত্যুর তিন দিন পরে রেজাল্ট বের হয়। আমার ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। আসামিরা আমাকে টাকা দিয়ে আপস করতে চেয়েছে। আমি হৃদয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।