ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অপারেশন ডেভিল হান্টে মোংলায় ২ জনকে আটক জামায়াত নেতা আজহার লিভ টু আপিলের অনুমতি পাবেন, আদেশ বুধবার শতাধিক সদস্যের কমিটি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে ছাত্রদের নতুন দল জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে মানবন্ধন ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার

হৃদয় হত্যাকাণ্ড: সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মা

চৌধুরী মোঃ ইকবাল হোসেন, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৪৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর সুজন ওরফে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য শুরু হয়েছে সোমবার। আদালতে সাক্ষ্য দিতে উঠে একমাত্র ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুজন ওরফে হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম।

এ সময় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৮ জন কিশোর অপরাধী উপস্থিত ছিল।

সুজন ওরফে হৃদয় ওই সময় বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। মৃত্যুর ৩ দিন পরে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে এ গ্রেড প্রাপ্ত হয় হৃদয়।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ মে বিকাল সাড়ে ৫টায় বরগুনা সদর উপজেলার গোলবুনিয়া পায়রা নদীর তীরে চায়না প্রজেক্টের ব্লক ইয়ার্ডে ঘুরতে গেলে সুজন ওরফে হৃদয়ের বন্ধু কিশোর অপরাধী ইউনুস কাজির সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া হয়। এ সময় ইউনুস কাজির সঙ্গে অন্য কিশোর গ্যাং হৃদয়কে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। হৃদয় বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে।

হৃদয়কে পেটানোর ভিডিও দৃশ্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়। হৃদয়ের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। হৃদয়কে পিটিয়ে ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। হৃদয়কে ওই দিন বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল নেওয়ার পথেই মারা যায়।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত ২৮ জন আসামি। তদন্তকারী কর্মকর্তা শরজিৎ কুমার ঘোষ ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ২ খণ্ডে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

হৃদয়ের মা গনমাধ্যমকে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে হৃদয়কে আসামিরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হৃদয় আজ নেই। আমার ছেলের ইচ্ছা ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হবে। মৃত্যুর তিন দিন পরে রেজাল্ট বের হয়। আমার ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। আসামিরা আমাকে টাকা দিয়ে আপস করতে চেয়েছে। আমি হৃদয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হৃদয় হত্যাকাণ্ড: সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মা

আপডেট টাইম : ০৫:৪০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর সুজন ওরফে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য শুরু হয়েছে সোমবার। আদালতে সাক্ষ্য দিতে উঠে একমাত্র ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুজন ওরফে হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম।

এ সময় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৮ জন কিশোর অপরাধী উপস্থিত ছিল।

সুজন ওরফে হৃদয় ওই সময় বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। মৃত্যুর ৩ দিন পরে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে এ গ্রেড প্রাপ্ত হয় হৃদয়।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ মে বিকাল সাড়ে ৫টায় বরগুনা সদর উপজেলার গোলবুনিয়া পায়রা নদীর তীরে চায়না প্রজেক্টের ব্লক ইয়ার্ডে ঘুরতে গেলে সুজন ওরফে হৃদয়ের বন্ধু কিশোর অপরাধী ইউনুস কাজির সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া হয়। এ সময় ইউনুস কাজির সঙ্গে অন্য কিশোর গ্যাং হৃদয়কে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। হৃদয় বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে।

হৃদয়কে পেটানোর ভিডিও দৃশ্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়। হৃদয়ের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। হৃদয়কে পিটিয়ে ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। হৃদয়কে ওই দিন বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল নেওয়ার পথেই মারা যায়।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত ২৮ জন আসামি। তদন্তকারী কর্মকর্তা শরজিৎ কুমার ঘোষ ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ২ খণ্ডে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

হৃদয়ের মা গনমাধ্যমকে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে হৃদয়কে আসামিরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হৃদয় আজ নেই। আমার ছেলের ইচ্ছা ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হবে। মৃত্যুর তিন দিন পরে রেজাল্ট বের হয়। আমার ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। আসামিরা আমাকে টাকা দিয়ে আপস করতে চেয়েছে। আমি হৃদয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।