নাসিরনগরে চোখ উঠা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি-ড্রপ সংকট,অয়েনমেন্ট নেই বাজারে

- আপডেট টাইম : ০৪:১৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ২৪৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এখন চোখ উঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।চোখ উঠার কারনে অনেকের চোখ লাল হয়ে পানি পড়তে দেখা গেছে।আবার কারো কারো চোখের পাতা ফুলে চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে। অনেকেই আবার চোখের যন্ত্রনা অস্থির হয়ে পড়েছে।চোখ উঠার কারনে অনেক নারী পুরুষকে চোখে কালো চশমা পরিধান করে চলাচল করতে দেখা গেছে।বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসীতে গিয়ে রোগীরা চোখ উঠার ঔষধ ও অয়েনমেন্ট খোজে পাচ্ছেন না।বাজারে ফার্মেসী গুলোতে চোখ উঠা রোগের ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে।বাজারে চোখ উঠা রোগের ঔষধ সংকটের কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রমি ফার্মেসীর মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম খান জানান,প্রায় ১৫ দিন যাবৎ চোখের রোগী প্রচুর পরিমানে আসছে।তিনি বলেন শুধু নাসিরনগর নয়, সারা বাংলাদেশেই এখন চোখের রোগ প্রকোপ বিস্তার করছে।আর ঔষধ কোম্পানী গুলো সাধারণত চোখের রোগের ঔষধ কম উৎপাদন করে থাকে।কারন ওই জাতীয় ঔষধ কম চলে,অনেক সময় দেখা যায় ফার্মেসীতে থাকতে থাকতে মেয়াদ চলে যায়।আর সারা বাংলাদেশে একযোগে রোগটি দেখা দেয়ার কারনে সব ফার্মেসীর মালিকরা এক সাথে অর্ডার করতে শুরু করায় সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাসিরনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর,এম,ও) ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন,চোখ উঠা একটি কনজান্কটিভাইটিস ভাইরাস জনিত রোগ।এ রোগের প্রথম কাজ হচ্ছে চোখে পর্যাপ্ত পরিমান পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে।তার পরও যদি কাজ না হয়,তাহলে ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।তিনি বলেন,বেশ কিছু দিন যাবৎ শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্বরা পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।প্রতিদিন অনেক রোগী আসছে আমাদের হাসপাতালে।তিনি আরো বলেন আমাদের হাসপাতালে আর বেশী চোখের ড্রপ নেই।যা আছে মনে হয় কয়েক দিন চলতে পারে।