দেরিতে আমন চাষ, পর্যাপ্ত সার মজুদ ডিলারদের কাছে
- আপডেট টাইম : ০৩:৫২:৫৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৭৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
চলতি আমন মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি না হওয়ায় দেরীতে আমন চাষ করেছে কৃষকরা। ফলে কৃষকরা দীর্ঘদিন সার ক্রয় না করায়, পর্যাপ্ত সার মজুদ থাকার কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় বি সি আই সি ডিলাররা। এদিকে সার সংকট এবং বেশি দামে খুচরা ডিলাররা বিক্রি করতে না পারে সেজন্য ঘন ঘন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সহ, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত সার, বীজ কেনাবেচার বিষয়ে মনিটরিং করছেন বলে জানা গেছে ।জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের রোপণ কাজ শেষ পর্যায়ে। যে কারণে বিগত আগস্ট মাসের সার কৃষকরা ক্রয় না করায়, সারের অনেকটা মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন ডিলাররা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা সার, বীজ মনিটিরিং সভায় সকল বিসিআইসি ডিলারদের উপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম উপদেষ্টা এবং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব অনিমেষ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকল বিসিআইসি ও খুচরা ডিলারদের সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম না নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রতিটি দোকানে লাল কাপড়ে সারের মূল্য তালিকা ঝুলানোর নির্দেশ দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিটি ডিলারকে কৃষকদের কে সার বিক্রির মূল্য তালিকা নিতে বলেন ।সন্ধ্যায় বিসিআইসি ডিলাররা এ সময় কর্তৃপক্ষকে জানান, কর্তৃপক্ষকে জানান, এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত সার তাদের কাছে রয়েছে। কারণ গত জুলাই ও আগস্ট মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা সময়মতো বীজতলা এবং রোপন কাজ করতে না পারায় দীর্ঘ এক মাস ধরে বেচাকেনা হয়নি ।সে কারণে তাদের প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা ডিলারদের কাছে সার মজুদ আছে।
তারা বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করে কৃষকের হাতে ক্যাশ মেমো দেওয়া হচ্ছে ।যে কারণে তাদের প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা ডিলারদের কাছে সার মজুদ আছে ।মহারাজপুর গ্রামের কৃষক মোখলেসুর ও নজরুল কাজী জানান, দুই দিন আগে তারা রোপন কাজ শেষ করেছে এবং চাহিদামত সার তারা কিনেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন ,তিনি সম্প্রতি কয়েকটি বাজারে সারের দোকানে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির প্রমান সহ কোন কৃষকের কাছ থেকে অভিযোগ পায়নি। উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন,গত আগস্ট মাসে এ উপজেলায় ২৮১, সেপ্টেম্বর মাসে ২৪১, এবং অতিরিক্ত আরো ৩০১ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং অন্যান্য সার ও অনুরূপ বরাদ্দ পাওয়ায় এই মুহূর্তে সারের কোন সংকট নেই। এছাড়া সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।