ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়ের রিভিউতে আদালত খালেদা জিয়ার সম্মানহানি করা হয়েছে তনির স্বামী মারা গেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দ করেছে সেনাবাহিনী’, জানা যায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২দিন ব্যাপী সেমিনার ও প্রদর্শনী উদ্বোধন লক্ষ লক্ষ মানুষকে বরণ করতে প্রস্তুত ঐতিহাসিক ‘বালাই হাওর’ আল্লামা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ(রহ.)’র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল বুধবার ঢাকা রাজধানীর শাহজাহানপুর থানা এলাকার থেকে এক চাঁদাবাজ গ্রেফতার করেছেন পুলিশ দুদক সংস্কারে ৪৭ প্রস্তাবনা কমিশন যাদের কেয়ামত হওয়া নিয়ে অবিশ্বাস আছে তাদের জন্য এই দৃশ্য এক প্রকার নিদর্শন জলসুখা গ্রামে দুইশত বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা শেষ হল মোংলায় বঙ্গবন্ধু মহিলা সরকারি কলেজের আয়োজনে তারুণ্য উৎসব পালিত

কয়রায় স্বাস্হ্য সেবা বঞ্চিত হাজার হাজার মানুষ

কয়রা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০২:০৬:৫৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৯২ ৫০০০.০ বার পাঠক

খুলনার কয়রা সদর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থাকার কারণে স্বাস্হ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলা, খুলনা শহর থেকে প্রায় শত কিলোমিটার দূরে থাকার জন্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া এই জনপদের মানুষের কাছে স্বপ্নের মত। সময়মত সুচিকিৎসার অভাবে প্রান হারাচ্ছেন বহু রোগীরা। প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার কারণে জরুরী রোগীদের দূরবর্তী আমাদী ইউনিয়নে অবস্থিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে, হিমশিম হয়ে পড়তে হয়। এমনকি এ জনপদের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাসবাস করায় জেলা শহরে গিয়ে সুচিকিৎসা করতে সক্ষম হয় না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারনে অনেক অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কবলে পড়তে হয়।

সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ জেলে ও বাওয়ালীর কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য জঙ্গলে ও নদীতে ঝূঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয়।
অনেক সময় নদীর কুমীরের ও বনের বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে আহত হলে তাদেরকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।যার ফলে আক্রান্ত আহত অনেক মানুষ মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। প্রকৃতির প্রতিকুলতার সঙ্গে যূদ্ধ করে বেঁচে থাকা এ জনপদের মানুষ চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। দূরবর্তী হাসপাতাল হওয়াতে এলাকার গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে যেতে পারে না। প্রসবকালীন সময়ে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে কয়েকজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। কাছেই হাসপাতাল থাকলে সবাই চিকিৎসা সেবা নিতে পারে। তাই উপজেলা সদরে একটি স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স হলে সবাই সুচিকিৎসা নিতে পারে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য সাইফুল্লাহ আল মামুন, বলেন,এ রকম উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে আমার মনে হয় না। যেখানে উপজেলা থেকে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার।সময় বদলেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে। এগিয়ে যাবে কয়রাও।আর কয়রাকে এগিয়ে নিতে এলাকার স্বাস্হ্য সেবা করার বিকল্প নেই। সমগ্র উপজেলাবাসীর স্বাস্হ্য সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে উপজেলা সদরেই আধুনিক হাসপাতাল বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করা, কয়রা উপজেলাবাসীর প্রানের দাবী।

একজন নারী ধাত্রী আকলিমা খাতুন বলেন, অনেক দূরে হাসপাতাল হওয়াতে এলাকার গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে স্বাস্হ্য কেন্দ্রে যেতে পারে না। প্রসবকালীন সময়ে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে কয়েকজন নারীর মৃত্যু হয়েছে।কাছে হাসপাতাল থাকলে সবাই যেতে পারে সেবা নিতে পারে।তাই উপজেলা সদরে একটি সরকারি হাসপাতাল হলে অনেক ভালো হবে।

এ ব্যাপারে খুলনার সিভিল সার্জন ডাক্তার সুজাত আহমেদ বলেন,কয়রা উপজেলা থেকে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব ১৫–১৬ কিলোমিটার। তাই জরুরী রোগীদের সেবা পেতে অনেক বেগ পেতে হয়।আমার দাবি উপজেলা সদরে একটি হাসপাতাল হলে অনেক সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন,কয়রা সদরে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল অনুমোদন হয়েছে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কয়রায় স্বাস্হ্য সেবা বঞ্চিত হাজার হাজার মানুষ

আপডেট টাইম : ০২:০৬:৫৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

খুলনার কয়রা সদর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থাকার কারণে স্বাস্হ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলা, খুলনা শহর থেকে প্রায় শত কিলোমিটার দূরে থাকার জন্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া এই জনপদের মানুষের কাছে স্বপ্নের মত। সময়মত সুচিকিৎসার অভাবে প্রান হারাচ্ছেন বহু রোগীরা। প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার কারণে জরুরী রোগীদের দূরবর্তী আমাদী ইউনিয়নে অবস্থিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে, হিমশিম হয়ে পড়তে হয়। এমনকি এ জনপদের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাসবাস করায় জেলা শহরে গিয়ে সুচিকিৎসা করতে সক্ষম হয় না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারনে অনেক অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কবলে পড়তে হয়।

সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ জেলে ও বাওয়ালীর কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য জঙ্গলে ও নদীতে ঝূঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয়।
অনেক সময় নদীর কুমীরের ও বনের বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে আহত হলে তাদেরকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।যার ফলে আক্রান্ত আহত অনেক মানুষ মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। প্রকৃতির প্রতিকুলতার সঙ্গে যূদ্ধ করে বেঁচে থাকা এ জনপদের মানুষ চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। দূরবর্তী হাসপাতাল হওয়াতে এলাকার গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে যেতে পারে না। প্রসবকালীন সময়ে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে কয়েকজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। কাছেই হাসপাতাল থাকলে সবাই চিকিৎসা সেবা নিতে পারে। তাই উপজেলা সদরে একটি স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স হলে সবাই সুচিকিৎসা নিতে পারে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য সাইফুল্লাহ আল মামুন, বলেন,এ রকম উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে আমার মনে হয় না। যেখানে উপজেলা থেকে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার।সময় বদলেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে। এগিয়ে যাবে কয়রাও।আর কয়রাকে এগিয়ে নিতে এলাকার স্বাস্হ্য সেবা করার বিকল্প নেই। সমগ্র উপজেলাবাসীর স্বাস্হ্য সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে উপজেলা সদরেই আধুনিক হাসপাতাল বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করা, কয়রা উপজেলাবাসীর প্রানের দাবী।

একজন নারী ধাত্রী আকলিমা খাতুন বলেন, অনেক দূরে হাসপাতাল হওয়াতে এলাকার গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে স্বাস্হ্য কেন্দ্রে যেতে পারে না। প্রসবকালীন সময়ে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে কয়েকজন নারীর মৃত্যু হয়েছে।কাছে হাসপাতাল থাকলে সবাই যেতে পারে সেবা নিতে পারে।তাই উপজেলা সদরে একটি সরকারি হাসপাতাল হলে অনেক ভালো হবে।

এ ব্যাপারে খুলনার সিভিল সার্জন ডাক্তার সুজাত আহমেদ বলেন,কয়রা উপজেলা থেকে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব ১৫–১৬ কিলোমিটার। তাই জরুরী রোগীদের সেবা পেতে অনেক বেগ পেতে হয়।আমার দাবি উপজেলা সদরে একটি হাসপাতাল হলে অনেক সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন,কয়রা সদরে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল অনুমোদন হয়েছে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।