ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

কয়রায় স্বাস্হ্য সেবা বঞ্চিত হাজার হাজার মানুষ

কয়রা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০২:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২০১ ৫০০০.০ বার পাঠক

খুলনার কয়রা সদর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থাকার কারণে স্বাস্হ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলা, খুলনা শহর থেকে প্রায় শত কিলোমিটার দূরে থাকার জন্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া এই জনপদের মানুষের কাছে স্বপ্নের মত। সময়মত সুচিকিৎসার অভাবে প্রান হারাচ্ছেন বহু রোগীরা। প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার কারণে জরুরী রোগীদের দূরবর্তী আমাদী ইউনিয়নে অবস্থিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে, হিমশিম হয়ে পড়তে হয়। এমনকি এ জনপদের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাসবাস করায় জেলা শহরে গিয়ে সুচিকিৎসা করতে সক্ষম হয় না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারনে অনেক অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কবলে পড়তে হয়।

সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ জেলে ও বাওয়ালীর কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য জঙ্গলে ও নদীতে ঝূঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয়।
অনেক সময় নদীর কুমীরের ও বনের বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে আহত হলে তাদেরকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।যার ফলে আক্রান্ত আহত অনেক মানুষ মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। প্রকৃতির প্রতিকুলতার সঙ্গে যূদ্ধ করে বেঁচে থাকা এ জনপদের মানুষ চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। দূরবর্তী হাসপাতাল হওয়াতে এলাকার গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে যেতে পারে না। প্রসবকালীন সময়ে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে কয়েকজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। কাছেই হাসপাতাল থাকলে সবাই চিকিৎসা সেবা নিতে পারে। তাই উপজেলা সদরে একটি স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স হলে সবাই সুচিকিৎসা নিতে পারে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য সাইফুল্লাহ আল মামুন, বলেন,এ রকম উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে আমার মনে হয় না। যেখানে উপজেলা থেকে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার।সময় বদলেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে। এগিয়ে যাবে কয়রাও।আর কয়রাকে এগিয়ে নিতে এলাকার স্বাস্হ্য সেবা করার বিকল্প নেই। সমগ্র উপজেলাবাসীর স্বাস্হ্য সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে উপজেলা সদরেই আধুনিক হাসপাতাল বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করা, কয়রা উপজেলাবাসীর প্রানের দাবী।

একজন নারী ধাত্রী আকলিমা খাতুন বলেন, অনেক দূরে হাসপাতাল হওয়াতে এলাকার গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে স্বাস্হ্য কেন্দ্রে যেতে পারে না। প্রসবকালীন সময়ে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে কয়েকজন নারীর মৃত্যু হয়েছে।কাছে হাসপাতাল থাকলে সবাই যেতে পারে সেবা নিতে পারে।তাই উপজেলা সদরে একটি সরকারি হাসপাতাল হলে অনেক ভালো হবে।

এ ব্যাপারে খুলনার সিভিল সার্জন ডাক্তার সুজাত আহমেদ বলেন,কয়রা উপজেলা থেকে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব ১৫–১৬ কিলোমিটার। তাই জরুরী রোগীদের সেবা পেতে অনেক বেগ পেতে হয়।আমার দাবি উপজেলা সদরে একটি হাসপাতাল হলে অনেক সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন,কয়রা সদরে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল অনুমোদন হয়েছে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কয়রায় স্বাস্হ্য সেবা বঞ্চিত হাজার হাজার মানুষ

আপডেট টাইম : ০২:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

খুলনার কয়রা সদর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থাকার কারণে স্বাস্হ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলা, খুলনা শহর থেকে প্রায় শত কিলোমিটার দূরে থাকার জন্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া এই জনপদের মানুষের কাছে স্বপ্নের মত। সময়মত সুচিকিৎসার অভাবে প্রান হারাচ্ছেন বহু রোগীরা। প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার কারণে জরুরী রোগীদের দূরবর্তী আমাদী ইউনিয়নে অবস্থিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে, হিমশিম হয়ে পড়তে হয়। এমনকি এ জনপদের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাসবাস করায় জেলা শহরে গিয়ে সুচিকিৎসা করতে সক্ষম হয় না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারনে অনেক অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কবলে পড়তে হয়।

সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ জেলে ও বাওয়ালীর কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য জঙ্গলে ও নদীতে ঝূঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয়।
অনেক সময় নদীর কুমীরের ও বনের বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে আহত হলে তাদেরকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।যার ফলে আক্রান্ত আহত অনেক মানুষ মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। প্রকৃতির প্রতিকুলতার সঙ্গে যূদ্ধ করে বেঁচে থাকা এ জনপদের মানুষ চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। দূরবর্তী হাসপাতাল হওয়াতে এলাকার গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে যেতে পারে না। প্রসবকালীন সময়ে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে কয়েকজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। কাছেই হাসপাতাল থাকলে সবাই চিকিৎসা সেবা নিতে পারে। তাই উপজেলা সদরে একটি স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স হলে সবাই সুচিকিৎসা নিতে পারে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য সাইফুল্লাহ আল মামুন, বলেন,এ রকম উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে আমার মনে হয় না। যেখানে উপজেলা থেকে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার।সময় বদলেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে। এগিয়ে যাবে কয়রাও।আর কয়রাকে এগিয়ে নিতে এলাকার স্বাস্হ্য সেবা করার বিকল্প নেই। সমগ্র উপজেলাবাসীর স্বাস্হ্য সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে উপজেলা সদরেই আধুনিক হাসপাতাল বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করা, কয়রা উপজেলাবাসীর প্রানের দাবী।

একজন নারী ধাত্রী আকলিমা খাতুন বলেন, অনেক দূরে হাসপাতাল হওয়াতে এলাকার গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে স্বাস্হ্য কেন্দ্রে যেতে পারে না। প্রসবকালীন সময়ে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে কয়েকজন নারীর মৃত্যু হয়েছে।কাছে হাসপাতাল থাকলে সবাই যেতে পারে সেবা নিতে পারে।তাই উপজেলা সদরে একটি সরকারি হাসপাতাল হলে অনেক ভালো হবে।

এ ব্যাপারে খুলনার সিভিল সার্জন ডাক্তার সুজাত আহমেদ বলেন,কয়রা উপজেলা থেকে স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব ১৫–১৬ কিলোমিটার। তাই জরুরী রোগীদের সেবা পেতে অনেক বেগ পেতে হয়।আমার দাবি উপজেলা সদরে একটি হাসপাতাল হলে অনেক সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন,কয়রা সদরে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল অনুমোদন হয়েছে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।