গাজীপুর ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের গেটের মূল্য ৮০ লক্ষ ও তালার মূল্য দেড় লক্ষ! নজরে নেই দুদকের
- আপডেট টাইম : ০৩:৪৬:২৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৩৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাজীপুর মহানগর ৩ নং ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইতিমধ্যেই জনগনের ঘৃনার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছেন কাউন্সিলর সাইজ উদ্দিন মোল্লা। সরেজমিনে দেখা যায়, মহানগরীর কাশিমপুর ৩ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে মসজিদ-মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর বেহাল অবস্থা।
১৯৮৮ সালে তিনি জিবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তবে দেশে এসেও তার অবস্থার উন্নতি করতে পারেননি। ছোট ভাই ইদ্রিস মোল্লা সামান্য একজন দর্জি দোকানদার ছিলেন কোনো মতে খেয়ে পরে বেঁচে ছিলেন নুন আনতে পান্তা ফুরাতো সাইজ উদ্দিন মোল্লার।
একসময় বিএনপি সমর্থিত লোকদের সাথে সক্ষতা গড়ে তোলেন। এখন সে আবার আওয়ামী লীগের মাথায় কাঁঠাল রেখে কোষ তুলে খেয়ে বর্তমানে তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক।
এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগন বলেন, সাইজ উদ্দিন মোল্লা ও তার ভ্রাতা ইদ্রিস মোল্লা কি আলাদীনের চেরাগ পেলো দু’দিন আগেও যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরাতো আজ তারা বাড়ির গেইট তৈরি করেছেন ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে তালা তৈরি করেছেন ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে। তাদের ব্যবসা হলো গরীব দুঃখী নিপীড়িত জনতাদের ঠকানো,তার কার এদিকে জমি কিনতে সহযোগিতা করার, আশ্বাস দিয়ে জমির মালিকদের কাছ থেকে কাগজপত্র হাতিয়ে নিয়ে সে তার ভাই ইদ্রিস মোল্লাকে দিয়ে তাদের নামে খাড়া দলিল করে ভূমির মালিকদের কে তার বাহিনী দিয়ে আর হুমকি প্রদান করে এলাকা ছাড়া করেন ।
দূর্নীতিবাজ খুনি জাল-জালিয়াতির কারিগর সাইজ উদ্দিন মোল্লা লোক দেখানো পদক পেয়েছেন কয়েকটা। ২০১৫ অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল ও শেরে বাংলা স্বর্ণপদক পুরস্কার । ২০১৭ সালে মহাত্মা গান্ধী শান্তি পদক পুরস্কার দেখিয়েছেন মানুষকে বোকা বানানোর কৌশল টা শিখছে ভালো। দেশে কোনো পদক নেই দেশে কোনো মেডেল নেই শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই তিনি ভারত থেকে পদক পাচ্ছেন! ২০২২ সালে ভারত বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়াও ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ভারতের কলকাতায় আন্তর্জাতিক সাহিত্য সন্মেলনে ভারত মাতা স্বর্ণপদক পেয়েছেন, তার পদকগুলো সব ভারত থেকে আগত।
তিনি এসব জানালেন কিভাবে বিভিন্ন আন্ডারগ্রাউন্ড মিডিয়া দিয়ে।
তিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কাশিমপুর থানার সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। পয়সার বিনিময়ে পদ বানিজ্য করতেও লবিং করছেন মর্মে জানাগেছে তিনি জমি দখল, জাল দলিল, রেকর্ড, পর্চাসহ ভূমি সংক্রান্ত সব কিছুই ভূমি কর্মকর্তাদের মোটা টাকার বিনিময়ে করে নিয়ে ধরাকে সরায় পরিনত করেই চলছেন।
বারেন্ডা মৌজায় হতদরিদ্র হাবেল গং এর সম্পদ সে তার বাহিনী দিয়ে দখল করেন। বারেন্ডা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৩৮ শতাংশ জমি সাইজদ্দিন মোল্লা জাল দলিল করে ছিলো মসজিদ কমিটির কাছে জাল দলিল ধরা খাওয়ার পর বলেছিলো, আমি মসজিদে জমি দিয়ে দিলাম এবং আর কিছু টাকা দেন আমি কাগজ ঠিক করে দেই।
এলাকাবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুরব্বিদের মুখে শোনা যায়
গত কয়েক দিন আগে সমেজ নামের এক ব্যাক্তির ক্রয় কৃত সম্পদে ঘর নির্মানে বাঁধা প্রদান করেন সাইজ উদ্দিন মোল্লা ও তার ভ্রাতা ইদ্রিস মোল্লা। পরে অসহায় সমেজ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা যায়। আরো গরম খবর দেখতে পাবেন দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার পাতায়,নিউজ ছবি সংগৃহীত।