ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

টাকা দিয়ে টিকা কিনতে চান না বেশিরভাগ মানুষ

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:০০:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২১
  • ২৫২ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

দেশের ৮৪ শতাংশ মানুষ বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু বেশির ভাগ লোকই টিকাদান কর্মসূচি চালুর শুরুতেই টিকা নিতে প্রস্তুত নন। ৩২ শতাংশ লোক টিকা প্রদান কার্যক্রম চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকা নিতে চান, আর বাকি প্রায় ৫২ শতাংশই কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস অপেক্ষা করে টিকা নিতে চান। কারণ তারা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চান। আর ১৬ শতাংশ কখনই টিকা নিতে চান না।

Nogod

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েবিনারে ‘কোভিড-১৯ টিকার প্রতি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি করা এক গবেষণায় এসব তথ্য জানানো হয়। ‘কোভিড-১৯ টিকা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি, গ্রহণযোগ্যতা এবং চাহিদা’ বিষয়ক এই গবেষণাটি করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট’। দেশের ৮ বিভাগে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওয়েবিনারে গবেষণা দলের সদস্য ছাড়াও সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, এনজিও প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন :বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতটুকু?

দেশের আটটি বিভাগের আটটি জেলা ও ১৬টি উপজেলা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসমাগম বেশি হয় এমন জায়গা যেমন, হাটবাজার, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, মসজিদ, মন্দির ইত্যাদি স্থান থেকে সিস্টেমেটিক দৈবচয়ন পদ্ধতির মাধ্যমে জরিপে ৩ হাজার ৫৬০ জন অংশগ্রহণকারী বাছাই করা হয়। এছাড়া জরিপে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় খানাসমূহে জরিপের কাজ পরিচালনা করা হয়। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট নিজস্ব অর্থায়নে এই গবেষণা কার্যক্রম চালায়। এতে টিকার গ্রহণযোগ্যতা ছাড়াও করোনা নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, টিকার উপকারিতা নিয়ে মানুষের ভাবনা, টিকা নেওয়ার উপকারিতা বা চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে জনগণের মতামত নেওয়া হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামের লোকদের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বেশি। তবে টিকাদান কর্মসূচি চালুর সঙ্গে সঙ্গে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বিষয়ে গ্রাম ও শহরের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। রংপুর বিভাগে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে বিনা মূল্যে দেওয়া না হলে এই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম হবে। কিন্তু ঢাকা সিটিতে টিকা নেওয়ার আগ্রহ তুলনামূলক কম, যা সংখ্যায় ৭২ শতাংশ। পুরুষ ও নারী, বিভিন্ন পেশার লোকদের মধ্যেও এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মতামতের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে। যেমন, নারীদের মধ্যে টিকা গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি। বিনা মূল্যে টিকা দেওয়া হলে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে উচ্চ আয়ের জনগণের তুলনায় টিকা গ্রহণ করার আগ্রহ বেশি দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: করোনার টিকা নিতে আগ্রহী নন বেশিরভাগ মানুষ

কেন এত বিশাল একটা অংশ এই মুহূর্তে টিকা নিতে আগ্রহী নয়—সে বিষয়ে এই গবেষণার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হয়। যারা এই মুহূর্তে নিতে চান না তাদের ৫৪ শতাংশ টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া ৩৪ শতাংশ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নিয়ে শঙ্কিত এবং ১২ শতাংশের মধ্যে আমদানি করা টিকার গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ আছে বলে জানিয়েছেন। যারা একেবারেই নিতে চান না, তারা টিকার মান ও কার্যকারিতা এবং পার্শ্ব ও বিরূপ প্রতিক্রিয়াকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করেন না।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

মোংলায় ডে বোট অপারেটর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

টাকা দিয়ে টিকা কিনতে চান না বেশিরভাগ মানুষ

আপডেট টাইম : ০৫:০০:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

দেশের ৮৪ শতাংশ মানুষ বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু বেশির ভাগ লোকই টিকাদান কর্মসূচি চালুর শুরুতেই টিকা নিতে প্রস্তুত নন। ৩২ শতাংশ লোক টিকা প্রদান কার্যক্রম চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকা নিতে চান, আর বাকি প্রায় ৫২ শতাংশই কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস অপেক্ষা করে টিকা নিতে চান। কারণ তারা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চান। আর ১৬ শতাংশ কখনই টিকা নিতে চান না।

Nogod

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েবিনারে ‘কোভিড-১৯ টিকার প্রতি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি করা এক গবেষণায় এসব তথ্য জানানো হয়। ‘কোভিড-১৯ টিকা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি, গ্রহণযোগ্যতা এবং চাহিদা’ বিষয়ক এই গবেষণাটি করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট’। দেশের ৮ বিভাগে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওয়েবিনারে গবেষণা দলের সদস্য ছাড়াও সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, এনজিও প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন :বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতটুকু?

দেশের আটটি বিভাগের আটটি জেলা ও ১৬টি উপজেলা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসমাগম বেশি হয় এমন জায়গা যেমন, হাটবাজার, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, মসজিদ, মন্দির ইত্যাদি স্থান থেকে সিস্টেমেটিক দৈবচয়ন পদ্ধতির মাধ্যমে জরিপে ৩ হাজার ৫৬০ জন অংশগ্রহণকারী বাছাই করা হয়। এছাড়া জরিপে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় খানাসমূহে জরিপের কাজ পরিচালনা করা হয়। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট নিজস্ব অর্থায়নে এই গবেষণা কার্যক্রম চালায়। এতে টিকার গ্রহণযোগ্যতা ছাড়াও করোনা নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, টিকার উপকারিতা নিয়ে মানুষের ভাবনা, টিকা নেওয়ার উপকারিতা বা চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে জনগণের মতামত নেওয়া হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামের লোকদের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বেশি। তবে টিকাদান কর্মসূচি চালুর সঙ্গে সঙ্গে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বিষয়ে গ্রাম ও শহরের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। রংপুর বিভাগে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে বিনা মূল্যে দেওয়া না হলে এই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম হবে। কিন্তু ঢাকা সিটিতে টিকা নেওয়ার আগ্রহ তুলনামূলক কম, যা সংখ্যায় ৭২ শতাংশ। পুরুষ ও নারী, বিভিন্ন পেশার লোকদের মধ্যেও এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মতামতের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে। যেমন, নারীদের মধ্যে টিকা গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি। বিনা মূল্যে টিকা দেওয়া হলে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে উচ্চ আয়ের জনগণের তুলনায় টিকা গ্রহণ করার আগ্রহ বেশি দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: করোনার টিকা নিতে আগ্রহী নন বেশিরভাগ মানুষ

কেন এত বিশাল একটা অংশ এই মুহূর্তে টিকা নিতে আগ্রহী নয়—সে বিষয়ে এই গবেষণার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হয়। যারা এই মুহূর্তে নিতে চান না তাদের ৫৪ শতাংশ টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া ৩৪ শতাংশ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নিয়ে শঙ্কিত এবং ১২ শতাংশের মধ্যে আমদানি করা টিকার গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ আছে বলে জানিয়েছেন। যারা একেবারেই নিতে চান না, তারা টিকার মান ও কার্যকারিতা এবং পার্শ্ব ও বিরূপ প্রতিক্রিয়াকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করেন না।