ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০

অভিযানের পর ও থেমে নেই নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে অর্ধশতাধিক কারখানায় অবৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৭:০২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৩০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এর আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক মশার কয়েল তৈরির কারখানা ও খানাডুলির কারখানা(স্টিলের রেক)এসব কারখানার মালিকরা অবৈধভাবে তিতাস গ্যাসসংযোগ লাগিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কারখানাগুলো উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে যার ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে,জালানি সংকটে সরকার হিমশিম খাচ্ছে আর অবৈধ ভাবে রাতের অন্ধকারে একটি চক্র আর্থিক ফায়দা লুটে রাতারাতি হচ্ছে কোটি পতি।এদিকে বৈধ সংযোগ নিয়ে ওভারলোডে আছি। জরিমানা, মামলা করেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানাযায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা কারখানাগুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র বিহিন,বিএসটিআই অনুমোদনবিহিন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই কোন রকম জায়গা ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মশার কয়েল বানানোর কারখানা ও খানাডুলির (রেক)কারখানা। এমনকি প্রতিটি কারখানায় একাধিক নামে কয়েল তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব কয়েল তৈরির কারখানা চালাচ্ছেন মালিকরা। এসব কারখানায় প্রতিনিয়তই ঘটছে অগ্নিকান্ডের মত ঘটনা। অনুমতি না থাকায় কারখানাগুলো করা হয়েছে অলিগলির ভেতরে। ফলে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে ও ব্যাঘাত ঘটছে। যে কারণে আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ কয়েল কারখানায় অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, আর্থিক জরিমানা ও কারখানা সিলগালা করে । তবে অভিযান শেষ করে চলে যাওয়ার পরই মালিকরা আবার গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে কারখানা চালু করেন। বছরের পর বছর ধরে চলছে তিতাস আর কয়েল কারখানার মালিকদের এই চোর পুলিশ অভিযান খেলা।
জাতীয় দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানে ও আমিও বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার হাজেরা মার্কেট এলাকায় এখলাছ মিয়ার ‘বুশরা ও চমক’, প্রিন্সের ‘কুইন’, আসাদ মিয়ার ‘সিভিল ম্যাজিক’; মিজমিজি মাদ্রাসা রোড হারুনের সোনালী,মিজমিজি মতিন সড়কে আলমের ‘ডিকে’; জাহাঙ্গিরের বসুন্ধরা, মিজমিজি ধনু হাজি সড়কে বজলু মিয়ার ‘হক কয়েল’, কামালের ‘গর্জন’ ও ‘পাগলা’; পাইনাদী শাপলা চত্বরে লাভলু মিয়ার ‘মারুফ’; মিজমিজি বাতানপাড়া মহিউদ্দিনের ‘পিসিপি’, ‘নাইট ফোর্স’, ‘বোস্টার’, ‘বাসক পাতা’, ‘অল মার্ডার’; একই এলাকায় সামছুল ইসলামের ‘ভেনিস’ ও ‘পিয়াস’; মিজমিজি পশ্চিমপাড়ায় আনোয়ারের ‘ক্রাউন’, জামানের ‘হিরু’; মিজমিজি কান্দাপাড়ায় সোহরাব হোসেনের ‘সিক্স স্টার গোল্ড’, হোসেনের ‘অ্যাপেক্স’ নামের কয়েলসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কয়েল তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। সবগুলো কারখানায় চলছে অবৈধ গ্যাসসংযোগে।
এ বিষয়ে সিভিল ম্যাজিক কয়েল কারখানার মালিক আসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিতাসের অভিযানের পর এলপি গ্যাস দিয়ে কারখানা চালাচ্ছি।
তিতাসের সঙ্গে বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেওয়া র‌্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযানের পরে আবার কীভাবে কারখানা চালু হয় বা গ্যাসসংযোগ পায়,তা দেখার দায়িত্ব তিতাসের। নারায়ণগঞ্জ তিতাসের উপমহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান বলেন অবৈধ লাইন নিয়ে আমরা অসম্ভব ওভারলোডে আছি। একসময় লাইন সংযোগ দিতে দক্ষ লোক লাগত এখন এলাকার ওয়েল্ডিং ও পানির মিস্ত্রিরা এ কাজটি করতে পারছে। যে কারণে কোনোভাবেই অবৈধ সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। অভিযান চালিয়ে আমরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি নগদ অর্থ জরিমানা- ও মামলা করি। কিন্তু কারখানার মালিকরা এলাকার মিস্ত্রি দিয়েই গোপনে আবার সংযোগ দিয়ে দেয় তবে অচিরেই আমরা আবারও অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবো।
(বিস্তারিত আগামী সংখ্যায়)

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অভিযানের পর ও থেমে নেই নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে অর্ধশতাধিক কারখানায় অবৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগ

আপডেট টাইম : ১০:৫৭:০২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এর আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক মশার কয়েল তৈরির কারখানা ও খানাডুলির কারখানা(স্টিলের রেক)এসব কারখানার মালিকরা অবৈধভাবে তিতাস গ্যাসসংযোগ লাগিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কারখানাগুলো উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে যার ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে,জালানি সংকটে সরকার হিমশিম খাচ্ছে আর অবৈধ ভাবে রাতের অন্ধকারে একটি চক্র আর্থিক ফায়দা লুটে রাতারাতি হচ্ছে কোটি পতি।এদিকে বৈধ সংযোগ নিয়ে ওভারলোডে আছি। জরিমানা, মামলা করেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানাযায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা কারখানাগুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র বিহিন,বিএসটিআই অনুমোদনবিহিন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই কোন রকম জায়গা ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মশার কয়েল বানানোর কারখানা ও খানাডুলির (রেক)কারখানা। এমনকি প্রতিটি কারখানায় একাধিক নামে কয়েল তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব কয়েল তৈরির কারখানা চালাচ্ছেন মালিকরা। এসব কারখানায় প্রতিনিয়তই ঘটছে অগ্নিকান্ডের মত ঘটনা। অনুমতি না থাকায় কারখানাগুলো করা হয়েছে অলিগলির ভেতরে। ফলে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে ও ব্যাঘাত ঘটছে। যে কারণে আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ কয়েল কারখানায় অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, আর্থিক জরিমানা ও কারখানা সিলগালা করে । তবে অভিযান শেষ করে চলে যাওয়ার পরই মালিকরা আবার গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে কারখানা চালু করেন। বছরের পর বছর ধরে চলছে তিতাস আর কয়েল কারখানার মালিকদের এই চোর পুলিশ অভিযান খেলা।
জাতীয় দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানে ও আমিও বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার হাজেরা মার্কেট এলাকায় এখলাছ মিয়ার ‘বুশরা ও চমক’, প্রিন্সের ‘কুইন’, আসাদ মিয়ার ‘সিভিল ম্যাজিক’; মিজমিজি মাদ্রাসা রোড হারুনের সোনালী,মিজমিজি মতিন সড়কে আলমের ‘ডিকে’; জাহাঙ্গিরের বসুন্ধরা, মিজমিজি ধনু হাজি সড়কে বজলু মিয়ার ‘হক কয়েল’, কামালের ‘গর্জন’ ও ‘পাগলা’; পাইনাদী শাপলা চত্বরে লাভলু মিয়ার ‘মারুফ’; মিজমিজি বাতানপাড়া মহিউদ্দিনের ‘পিসিপি’, ‘নাইট ফোর্স’, ‘বোস্টার’, ‘বাসক পাতা’, ‘অল মার্ডার’; একই এলাকায় সামছুল ইসলামের ‘ভেনিস’ ও ‘পিয়াস’; মিজমিজি পশ্চিমপাড়ায় আনোয়ারের ‘ক্রাউন’, জামানের ‘হিরু’; মিজমিজি কান্দাপাড়ায় সোহরাব হোসেনের ‘সিক্স স্টার গোল্ড’, হোসেনের ‘অ্যাপেক্স’ নামের কয়েলসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কয়েল তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। সবগুলো কারখানায় চলছে অবৈধ গ্যাসসংযোগে।
এ বিষয়ে সিভিল ম্যাজিক কয়েল কারখানার মালিক আসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিতাসের অভিযানের পর এলপি গ্যাস দিয়ে কারখানা চালাচ্ছি।
তিতাসের সঙ্গে বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেওয়া র‌্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযানের পরে আবার কীভাবে কারখানা চালু হয় বা গ্যাসসংযোগ পায়,তা দেখার দায়িত্ব তিতাসের। নারায়ণগঞ্জ তিতাসের উপমহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান বলেন অবৈধ লাইন নিয়ে আমরা অসম্ভব ওভারলোডে আছি। একসময় লাইন সংযোগ দিতে দক্ষ লোক লাগত এখন এলাকার ওয়েল্ডিং ও পানির মিস্ত্রিরা এ কাজটি করতে পারছে। যে কারণে কোনোভাবেই অবৈধ সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। অভিযান চালিয়ে আমরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি নগদ অর্থ জরিমানা- ও মামলা করি। কিন্তু কারখানার মালিকরা এলাকার মিস্ত্রি দিয়েই গোপনে আবার সংযোগ দিয়ে দেয় তবে অচিরেই আমরা আবারও অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবো।
(বিস্তারিত আগামী সংখ্যায়)