নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার খদ্দঘোষ পাড়া মৌজার ৩১৪ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন তিন নং ওয়াড স্থানীয় কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ও শাহজাহান সাজুর বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ড্রেজারের পাইব দিয়ে বালু ভরাট করে জবরদখল করে ইট দিয়ে ঘর উঠানোর চিত্র আরও দেখা যায় কাউন্সিলরের সন্ত্রাসি বাহিনীর ড্রেজারের বালুতে বাড়ি ঘরের দেয়াল বালুর নিচে তলিয়ে গেছে।ভোক্তভোগী জমির মালিক মানিক, খায়রুন,সানোরা,নুরজাহান,মুন্নি,জানান। কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ২০,৩০জন সন্ত্রাসি বাহিনী নিয়ে আমাদের ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে ছেলে সন্তান নিয়ে দিন কাটাচ্ছি এমনকি কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বাড়ি ঘর ছাড়ার জন্য এবং আমরা যদি বাড়ী ঘর ছেড়ে না যাই তা না হলে বলডুজার দিয়ে সব গুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে যায়। বর্তমানে স্থানীয় তিন নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল এর সন্ত্রাসী বাহিনী পালাক্রমে আমাদের পাহারা বসিয়েছে আমাদের জায়গায়।
ইতিপূর্বে বিডিডিএল থাকলেও বর্তমানে সাজু ডেবেলাপার্স এর আবির্ভাব ঘটেছে। এ-ই দিকে ভুক্তভোগীরা জানান ১৯৩৮ সালে মথুরা মোহন শাহা থেকে আমাদের বাপ চাচা ইসহাক মীয়া,চান মীয়া ও সুরুজ মিঞা এ-ই জায়গা ক্রয় করেন সেই থেকে যুগের পর যুগ থেকে আমরা বাপ দাদার জায়গায় বস বাস করে আসছি এর আগে বিডিডিএল আমাদেরকে উঠানোর চেস্টা করে তারা সেটা পারেনি কিন্তু নাসিক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের সন্ত্রাসি বাহিনী দিয়ে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে আমাদের পথে বশিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নাসিক তিন (৩)নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাজালাল বাদলের নেতৃত্বে নিয়মিত সন্ত্রাসী নিয়ে সানারপাড় খদ্দঘোষ পাড়া মৌজার ইমান আলী গংদের বাপ-দাদার সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে তথাকথিত ডেভলপার কোম্পানীর মালিক শাহাজান সাজুকে বুঝিয়ে দেয় আর বাপ-দাদার বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পর ইমান আলী গংরা ৩৪ পরিবার বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করছ।এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন ইমাম আলী গংদের বাবা ও চাচা,ইশাক মীয়া চান মীয়া,সুরুজ মীয়া ১৯৩৮ সালে এক একর ৬০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন মথুরা মোহন শাহা থেকে ইমাম আলী গংদের বাবা এবং পরবর্তীতে তারা বসবাস করে আসছেন এবং বর্তমানে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য ইমাম আলী গংরা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা রজু করেন,মামলা নং ১৪৭/২০২২।
ইমাম আলী গংরা জানান বাপ দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস সহ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমাদের সম্পত্তি ও জীবন রক্ষায় আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,ভূমি মন্ত্রী সহ প্রশাসনের সকল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সাজু ডেবেলাপার্স এর কর্নধর শাহজাহান সাজুর ফোনে একাধিক বার ফোন করে ও তাকে পাওয়া যায়নি।
নাসিক ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের মোবাইলে ফোনে জানতে চাওয়া হয় আপনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কিভাবে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ইমাম আলী গংদের বাপ দাদার জায়গায় দখল করতে পারলেন,এ-ই প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল মোবাইল লাইন বিছিন্ন করে দেন। উল্লেখ তিন(৩) নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল নারায়ণগঞ্জ এর বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেন এর ভাতিজা (বড় নুর ছালাম এর ছেলে)
(অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী সংখ্যায়)