ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা

গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:২৯:০০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২১
  • ২৩১ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। উক্ত গোল্ডেন মনির গত বছরের ২১ নবেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে বিপুল অর্থ, অস্ত্র ও মদসহ গ্রেফতার হয়।

অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার দায়িত্বরত পুলিশের এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, মহানগর হাকিম শাহিনুল ইসলাম মাদক মামলর অভিযোগপত্রে ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষর করেন। আর অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র স্বাক্ষর করেন মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ।

মেরুল বাড্ডার বাড়ি থেকে মনিরকে গ্রেফতারর করে র‌্যাব। সেখান থেকে জব্দ করা হয় নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সোনা চোরাচালানে’ জড়িত থাকার কারণে তাকে সবাই ‘গোল্ডেন মনির’ নামে চেনে। সোনা চোরাচালান দিয়ে সম্পদ গড়া শুরু করলেও পরে জমির ব্যবসায় জড়িয়ে ‘মাফিয়া’ হয়ে উঠেছিলেন মনির। তার গাড়ির ব্যবসাও রয়েছে।

তদন্তকারীরা বলছেন, মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার উপরে সম্পদ রয়েছে। বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা ও নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে তার।

মনিরকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব। পরে সেসব মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। এর মধ্যে দুটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ল।

মনির অবৈধভাবে এক কোটি ৬১ লাখ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে সেগুলো তার মা ও স্ত্রীর নামে দিয়েছেন- এমন অভিযোগে ২০১২ সালে একটি মামলা করেছিল দুদক।

দীর্ঘদিন সেই মামলার তদন্ত ঝুলে থাকার পর মনির গ্রেফতার হলে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেখানে ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত তিন কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

অবৈধ কারবার ও জালিয়াতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মনিরের বিরুদ্ধে আরেকটি নতুন অনুসন্ধানও শুরু করেছে দুদক।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ

আপডেট টাইম : ১২:২৯:০০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। উক্ত গোল্ডেন মনির গত বছরের ২১ নবেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে বিপুল অর্থ, অস্ত্র ও মদসহ গ্রেফতার হয়।

অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার দায়িত্বরত পুলিশের এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, মহানগর হাকিম শাহিনুল ইসলাম মাদক মামলর অভিযোগপত্রে ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষর করেন। আর অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র স্বাক্ষর করেন মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ।

মেরুল বাড্ডার বাড়ি থেকে মনিরকে গ্রেফতারর করে র‌্যাব। সেখান থেকে জব্দ করা হয় নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সোনা চোরাচালানে’ জড়িত থাকার কারণে তাকে সবাই ‘গোল্ডেন মনির’ নামে চেনে। সোনা চোরাচালান দিয়ে সম্পদ গড়া শুরু করলেও পরে জমির ব্যবসায় জড়িয়ে ‘মাফিয়া’ হয়ে উঠেছিলেন মনির। তার গাড়ির ব্যবসাও রয়েছে।

তদন্তকারীরা বলছেন, মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার উপরে সম্পদ রয়েছে। বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা ও নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে তার।

মনিরকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব। পরে সেসব মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। এর মধ্যে দুটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ল।

মনির অবৈধভাবে এক কোটি ৬১ লাখ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে সেগুলো তার মা ও স্ত্রীর নামে দিয়েছেন- এমন অভিযোগে ২০১২ সালে একটি মামলা করেছিল দুদক।

দীর্ঘদিন সেই মামলার তদন্ত ঝুলে থাকার পর মনির গ্রেফতার হলে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেখানে ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত তিন কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

অবৈধ কারবার ও জালিয়াতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মনিরের বিরুদ্ধে আরেকটি নতুন অনুসন্ধানও শুরু করেছে দুদক।