ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের

গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:২৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / ২৮৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। উক্ত গোল্ডেন মনির গত বছরের ২১ নবেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে বিপুল অর্থ, অস্ত্র ও মদসহ গ্রেফতার হয়।

অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার দায়িত্বরত পুলিশের এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, মহানগর হাকিম শাহিনুল ইসলাম মাদক মামলর অভিযোগপত্রে ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষর করেন। আর অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র স্বাক্ষর করেন মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ।

মেরুল বাড্ডার বাড়ি থেকে মনিরকে গ্রেফতারর করে র‌্যাব। সেখান থেকে জব্দ করা হয় নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সোনা চোরাচালানে’ জড়িত থাকার কারণে তাকে সবাই ‘গোল্ডেন মনির’ নামে চেনে। সোনা চোরাচালান দিয়ে সম্পদ গড়া শুরু করলেও পরে জমির ব্যবসায় জড়িয়ে ‘মাফিয়া’ হয়ে উঠেছিলেন মনির। তার গাড়ির ব্যবসাও রয়েছে।

তদন্তকারীরা বলছেন, মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার উপরে সম্পদ রয়েছে। বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা ও নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে তার।

মনিরকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব। পরে সেসব মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। এর মধ্যে দুটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ল।

মনির অবৈধভাবে এক কোটি ৬১ লাখ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে সেগুলো তার মা ও স্ত্রীর নামে দিয়েছেন- এমন অভিযোগে ২০১২ সালে একটি মামলা করেছিল দুদক।

দীর্ঘদিন সেই মামলার তদন্ত ঝুলে থাকার পর মনির গ্রেফতার হলে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেখানে ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত তিন কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

অবৈধ কারবার ও জালিয়াতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মনিরের বিরুদ্ধে আরেকটি নতুন অনুসন্ধানও শুরু করেছে দুদক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ

আপডেট টাইম : ১২:২৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুই মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। উক্ত গোল্ডেন মনির গত বছরের ২১ নবেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে বিপুল অর্থ, অস্ত্র ও মদসহ গ্রেফতার হয়।

অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার দায়িত্বরত পুলিশের এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, মহানগর হাকিম শাহিনুল ইসলাম মাদক মামলর অভিযোগপত্রে ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষর করেন। আর অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র স্বাক্ষর করেন মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ।

মেরুল বাড্ডার বাড়ি থেকে মনিরকে গ্রেফতারর করে র‌্যাব। সেখান থেকে জব্দ করা হয় নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সোনা চোরাচালানে’ জড়িত থাকার কারণে তাকে সবাই ‘গোল্ডেন মনির’ নামে চেনে। সোনা চোরাচালান দিয়ে সম্পদ গড়া শুরু করলেও পরে জমির ব্যবসায় জড়িয়ে ‘মাফিয়া’ হয়ে উঠেছিলেন মনির। তার গাড়ির ব্যবসাও রয়েছে।

তদন্তকারীরা বলছেন, মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার উপরে সম্পদ রয়েছে। বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা ও নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে তার।

মনিরকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব। পরে সেসব মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। এর মধ্যে দুটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ল।

মনির অবৈধভাবে এক কোটি ৬১ লাখ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে সেগুলো তার মা ও স্ত্রীর নামে দিয়েছেন- এমন অভিযোগে ২০১২ সালে একটি মামলা করেছিল দুদক।

দীর্ঘদিন সেই মামলার তদন্ত ঝুলে থাকার পর মনির গ্রেফতার হলে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেখানে ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত তিন কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

অবৈধ কারবার ও জালিয়াতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মনিরের বিরুদ্ধে আরেকটি নতুন অনুসন্ধানও শুরু করেছে দুদক।