জোটন দেবনাথের নকশা বাণিজ্য হেরিটেজের ভবন নিমার্ণে বিতর্কিত নকশারও বিচ্যুতি

- আপডেট টাইম : ১০:১৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
- / ২৮০ ৫০০০.০ বার পাঠক
উত্তর শাহজাহানপুরের অলিতে গলিতে হেরিটেজ নামক একটি
ডেভেলপারর্স কোম্পানী অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন নিমার্ণের মাধ্যমে বিপদজনক করে
তুলেছে এলাকাবাসীকে। হেরিটেজের এক একটি ভবন যেন এক একটি মরন ফাঁদ। যেসব
অলিতে গলিতে সামান্য একটি প্রাইভেট কারও ঢুকতে পারে না সেসব অলিতে গলিতে বহুতল
নকশা কিভাবে পেল? এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে ক্সদনিক সময়ের
কণ্ঠের কয়েকজন সংবাদকমীর্। বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এলাকাবাসীর সূত্রে দাবী করছে কয়েকজন প্রভাবশালী তাদের কালো টাকা হজম করতে নাম
সর্বস্ত ২/৩ জনকে ফ্রন্ট লাইনে রেখে কোম্পানীটির যাত্রা শুরু করে মাত্র কয়েকবছর পূর্বে।
ইতিমধ্যে তারা শতকোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে কয়েকটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছেন এবং বেশ
কয়েকটি প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। এছাড়া নতুন করে নকশার জন্যও তদবীর করছেন একাধিক
প্রজেক্টের জন্য। পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যেসব অলিতে গলিতে সচারচর নিয়ম অনুযায়ী
বহুতল ভবন নিমার্ণের নকশা পাবার কথা নয় সেসব অলিতে গলিতে হেরিটেজ অনায়াশেই
বহুতল ভবনের নকশা পেয়ে যাচ্ছে। আবার সে নকশারও অমান্য করে হেরিটেজ নির্মিত করে
যাচ্ছে একের পর এক বহুতল ভবন। এসব অসম্ভব কর্মকান্ডকে ক্সবধ করার ‣নপথ্যে রয়েছে
ক্ষমতার দাপট ও অথোরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথের অর্থলোভী মানসিকতা। জোটন
দেবনাথ হেরিটেজের এক একটি নকশার বিনিময়ে ২৫—৩০ লক্ষ টাকা বা কখনও কখনও তার
চেয়েও বেশি টাকা বাণিজ্য করে আসছেন এমন দাবী রাজউকেরই একাধিক কর্মকতার্র।
এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো কোন দূর্ঘটনার কবলে পড়লে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য থাকছে
না কোন ব্যবস্থা, এমনকি উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য কোন যানবাহনও ঢুকার সুযোগ নেই
এসব সরু রাস্তায়। হেরিটেজের ৪৮২/৪৮৩ নং বাড়িটির দিকে তাকালে যে কেউ চমকে উঠতে
বাধ্য হবে। নিমার্ণাধীন এ বাড়িটির সামনে ৬/৭ ফুট চওড়া একটি রাস্তা রয়েছে। তবে ভবনটি
নিমার্নের সময় আরও ২/৩ ফুট জায়গা ছেড়ে ৮/১০ ফুট রাস্তা দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষেরাস্তাটির অন্য জায়গাগুলিতে ৬/৭ ফুটের বেশি হবে না। এছাড়া ভবনটি ১০ তলা নিমার্ণাধীন,
নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের রাস্তায় কোনভাবেই ১০ তলার নকশা পাওয়ার কথা নয়। কোন
কারিশমা করে নকশা পেলেও মোট জায়গার হিংসভাগ জায়গা ছেড়ে কিছুটা নিরাপদ করার
নিয়ম রয়েছে। কিন্তু হেরিটেজ ভবনটি নিমার্ণের জন্য ডানে বামে পেছনে কোনরূপ জোয়গাই
ছাড়েনি। অর্থাৎ এক প্রকার মরন ফাঁদ ক্সতরি করেছেন এমন অভিযোগ করলেও দোষের কিছু
নেই। বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে হেরিটেজের মোবাইলে ফোন করলে তিনি নিজেকে মার্কেটিং
অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতিবেদককে নানাভাবে হুমকি প্রদান করেন। নকশা কিভাবে পেল?
প্রতিটি নকশায় ২৫—৩০ লক্ষ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ? বিতর্কিত নকশারও ব্যত্যয় ঘটিয়ে ১০
তলা ভবন নিমার্ণ কাজ কিভাবে সমাপ্তির পথে? এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিমার্ণ রোধে ভবিষ্যৎ
পরিকল্পনা কি? ইত্যাদি নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে অভিযুক্ত জোটন দেবনাথকে ফোন করলে
তিনি ফোন কেটে দেন। এমনকি পরিচয় দিয়ে এসএমএস করে পুনরায় বারবার ফোন করলেও
তিনি ফোন করেনি। ফোন না ধরার ব্যাপারে বিশ্লেষকেরা মনে করেন অপরাধী সব সময়
নিজেকে আড়াল করতে নানা কে․শল অবলম্বন করে থাকেন। কারণ সাংবাদিকের জেরায় আরও
সূত্র বের হয়ে আসবে বলে মত দেন তারা। তারা আরও মনে করেন অভিযোগগুলির একটি
নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। কারণ যার হাতে প্রধান দায়িত্ব সে যদি এ ধরনের অপকর্মে
জরিয়ে পড়েন তাহলে তার হাতে কেউ নিরাপদ নয়। এছাড়া তারা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে
জোটন দেবনাথকে কঠোর আইনের আওতায় আনারও দাবী করেছেন এবং অভিলম্বে
হেরিটেজের ভবনগুলি উচ্ছেদের মাধ্যমে জনগনকে নিরাপদ করারও দাবি করেছেন তারা।
হেরিটেজের ভবনগুলির ব্যাপারে রাজউকে তথ্যের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে পূণাঙ্গ তথ্য হাতে
পেলে আরও বিস্তারিত পাঠকগণের জানানো হবে।