ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অসহায় ও দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সরিষাবাড়ীতে ৪’ শতাধিক হতদরিদ্র পেল শীতবস্ত্র কম্বল বাবা ছিল আওয়ামী লীগ ছেলে যুবলীগের নেতা কে এই মামুন চৌধুরী তারা এই বিগত দিনে কোটার দালালি কড়ে গেছেন এবং ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাষ্ট্র প্রধানের কাছে অভিযোগ তদন্তে গিয়ে বিএনপি নেতার মারধরের শিকার পুলিশ ওসি পরিচয়ে হিন্দু পিতা পুত্রকে অপহরণ,পরে চাঁদা দাবীর অভিযোগে দিনাজপুরে ছাত্রদল নেতা আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন ৬০ বিজিবির অভিযানে ৫২,৮২,৯৫০/-টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল জব্দ শিগগিরই রোডম্যাপ, দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বিদ্যমান, সংস্কারের দাবি নির্বাচনের আগে স্থানীয় ভোট চায় না বিএনপি মাসুদ মোল্লার টিস্টল ও বেকারি তে হামলা ভাংচুরে জড়িত মোস্তাফিজুর রহমান কালু ও রেনু খানম

দুদকের নির্দেশ মানছে না সাধারণ বীমা কর্পোরেশন (পর্ব-২)

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১১:১৭:২৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২
  • / ২৭১ ৫০০০.০ বার পাঠক

দসাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ডিজিএম আব্দুল বারেক সিন্ডিকেটের দুর্নীতি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার ৭মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না, আইডিআরএ ও দুদকের আদেশ আমলেই নিচ্ছে না সাধারণ বীমা কর্পোরেশন। এ বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তাতে কোনো প্রতিকার মিলছে না। অথচ অপরাধীকে রক্ষা করতে সর্বোচ্চ মহলের এক কর্মকর্তার দৌড়-ঝাঁপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,
সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ডিজিএম মোঃ আব্দুল বারেক ও এজিএম মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন আলমের দুর্নীতি বিষয়ক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ( আইডিআরএ) তদন্ত কমিটি তদন্তপূর্বক তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আইডিআরএ এর পরিচালক (উপসচিব) মোঃ সফিউদ্দিন স্মারক নং-৫৩.০৩.০০০০.০৭২.৫৬.০২২.২১.০৫, তারিখ-৫জানুয়ারি ২০২২ মূলে স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও এমডিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক তাদেরকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো। কিন্তু দীর্ঘ ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক এব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আইডিআরএর তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, (ক) ডিজিএম আব্দুল বারেক ও তার স্ত্রী ডিজিএম শাহানা গনি ফ্লাট করার পূর্বে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন থেকে ঋণ গ্রহণ করেন এবং সেই ঋণ পরিশোধিত না হওয়ায় নতুন করে ঋণের আবেদন করেন এবং তা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদন নিয়ে পূর্বের ঋণের সাথে সমন্বয় করে ১কোটি ১০ লাখ টাকা পুনরায় অগ্রিম ঋণ গ্রহণ করার বিষয়টি বিধিসম্মত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
(খ) চাকুরি প্রবিধানমালা-১৯৯৪ এর লংঘন বিধায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ডিজিএম আব্দুল বারেক ও এজিএম নাজিম উদ্দিন আলম সহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে কর্পোরেশনের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
(গ) গাড়ি মেরামত সংক্রান্ত বিষয়ে ঢাকা ও সিলেট অঞ্চলে বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করায় তাদের বিরুদ্ধে কর্পোরেশনের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
(ঘ) ১৯৯৪ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা সহকারী ম্যানেজার শাহ মোঃ সানোয়ার আলম তদন্ত কমিটিতে তার দলিলাদি উপস্থাপন করার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। উক্ত অনিয়মের বিষয়ে ডিজিএম আবদুল বারেক ও তার সহযোগী এজিএম নাজিম উদ্দিন আলমের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
এদিকে এসব বিষয়ের ভিত্তিতে প্রাপ্ত অভিযোগের আলোকে দুর্নীতি দমন কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মন্ডল স্বাক্ষরিত ০০.০১.০০০০.৫০৩.২৬.১৭১.২২-২০৯৬৩ নং স্মারকমুলে ৬ জুন-২০২২ তারিখে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত নির্দেশ প্রেরনের ২মাস পেরিয়ে গেলেও সেই নির্দেশ এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
তবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ ও দুদকের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে ডিজিএম আব্দুল বারেকের দুর্নীতির পূনঃতদন্তের পক্ষে সুপারিশ করেছেন কর্পোরেশনের এমডি সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান। একারণে ডিজিএম আব্দুল বারেক ও এজিএম মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো তদন্তে সত্য প্রমাণিত হওয়ার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তাহারা স্বপদে বহাল থেকে পূর্বের ন্যায় অপকর্ম চালিয়ে সাধারণ বীমা করপোরেশনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। এ-ই বিষয়ে জানতে ডিজিএম আবদুল বারেক এর সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে একাধিক সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ডিজিএম আব্দুল বারেক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অফিসে এক প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়ে পত্রিকার নামে মামলা করার হুমকি প্রদান করেন।(বিস্তারিত আগামী পর্বে)

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুদকের নির্দেশ মানছে না সাধারণ বীমা কর্পোরেশন (পর্ব-২)

আপডেট টাইম : ১১:১৭:২৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২

দসাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ডিজিএম আব্দুল বারেক সিন্ডিকেটের দুর্নীতি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার ৭মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না, আইডিআরএ ও দুদকের আদেশ আমলেই নিচ্ছে না সাধারণ বীমা কর্পোরেশন। এ বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তাতে কোনো প্রতিকার মিলছে না। অথচ অপরাধীকে রক্ষা করতে সর্বোচ্চ মহলের এক কর্মকর্তার দৌড়-ঝাঁপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,
সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ডিজিএম মোঃ আব্দুল বারেক ও এজিএম মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন আলমের দুর্নীতি বিষয়ক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ( আইডিআরএ) তদন্ত কমিটি তদন্তপূর্বক তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আইডিআরএ এর পরিচালক (উপসচিব) মোঃ সফিউদ্দিন স্মারক নং-৫৩.০৩.০০০০.০৭২.৫৬.০২২.২১.০৫, তারিখ-৫জানুয়ারি ২০২২ মূলে স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও এমডিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক তাদেরকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো। কিন্তু দীর্ঘ ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক এব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আইডিআরএর তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, (ক) ডিজিএম আব্দুল বারেক ও তার স্ত্রী ডিজিএম শাহানা গনি ফ্লাট করার পূর্বে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন থেকে ঋণ গ্রহণ করেন এবং সেই ঋণ পরিশোধিত না হওয়ায় নতুন করে ঋণের আবেদন করেন এবং তা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদন নিয়ে পূর্বের ঋণের সাথে সমন্বয় করে ১কোটি ১০ লাখ টাকা পুনরায় অগ্রিম ঋণ গ্রহণ করার বিষয়টি বিধিসম্মত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
(খ) চাকুরি প্রবিধানমালা-১৯৯৪ এর লংঘন বিধায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ডিজিএম আব্দুল বারেক ও এজিএম নাজিম উদ্দিন আলম সহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে কর্পোরেশনের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
(গ) গাড়ি মেরামত সংক্রান্ত বিষয়ে ঢাকা ও সিলেট অঞ্চলে বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করায় তাদের বিরুদ্ধে কর্পোরেশনের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
(ঘ) ১৯৯৪ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা সহকারী ম্যানেজার শাহ মোঃ সানোয়ার আলম তদন্ত কমিটিতে তার দলিলাদি উপস্থাপন করার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। উক্ত অনিয়মের বিষয়ে ডিজিএম আবদুল বারেক ও তার সহযোগী এজিএম নাজিম উদ্দিন আলমের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
এদিকে এসব বিষয়ের ভিত্তিতে প্রাপ্ত অভিযোগের আলোকে দুর্নীতি দমন কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মন্ডল স্বাক্ষরিত ০০.০১.০০০০.৫০৩.২৬.১৭১.২২-২০৯৬৩ নং স্মারকমুলে ৬ জুন-২০২২ তারিখে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত নির্দেশ প্রেরনের ২মাস পেরিয়ে গেলেও সেই নির্দেশ এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
তবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ ও দুদকের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে ডিজিএম আব্দুল বারেকের দুর্নীতির পূনঃতদন্তের পক্ষে সুপারিশ করেছেন কর্পোরেশনের এমডি সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান। একারণে ডিজিএম আব্দুল বারেক ও এজিএম মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো তদন্তে সত্য প্রমাণিত হওয়ার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তাহারা স্বপদে বহাল থেকে পূর্বের ন্যায় অপকর্ম চালিয়ে সাধারণ বীমা করপোরেশনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। এ-ই বিষয়ে জানতে ডিজিএম আবদুল বারেক এর সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে একাধিক সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ডিজিএম আব্দুল বারেক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অফিসে এক প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়ে পত্রিকার নামে মামলা করার হুমকি প্রদান করেন।(বিস্তারিত আগামী পর্বে)