ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত

গত ১.৫ বছরে গণপূর্তের শামীমের জন্য রাষ্ট্রের ক্ষতি ৮ হাজার কোটির উপরে, রয়েছে বহুবিধ দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ আগস্ট ২০২২
  • / ৩০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রতি বছর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভবন নির্মাণ বাবদ গড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে।  এ সকল প্রকল্প কোন কনসাল্টিং ফার্মের মাধ্যমে করতে গেলে সরকারকে অতিরিক্ত ১৫-২০% অতিরিক্ত খরচ করতে হত। সে হিসেবে গণপূর্তের প্রকৌশলীগণ বছরে ৭-১০ হাজার কোটি টাকার বাস্তবায়ন খরচ সেভ করছেন।

কিন্তু মোহাম্মদ শামীম আখতার চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পর থেকে কোন প্রকল্প নিতে না পারায় রাষ্ট্র প্রকৌশলীদের সেবা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।  বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তারের কাজের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা এবং মুরিদ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বদলি ও ঠিকাদারি বাণিজ্যের কারণে গণপূর্ত মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কাজ না বুঝার কারণে গণপূর্তে এখন লেজেগোবরে অবস্থা।
গণপূর্তে গত ১.৫ বছরে কোন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেন নি শামীম আখতার। পূর্বের প্রধান প্রকৌশলীর রেখে যাওয়া প্রকল্প নিয়ে গণপূর্ত এতদিন কাজ করছে। বর্তমানে নতুন কোন প্রকল্প না থাকায় গণপূর্তের প্রকৌশলীবৃন্দ ঢিলেঢালাভাবে অফিস করছেন।  বিপুল সংখ্যক প্রকৌশলীকে বেতন ভাতা দিয়ে রাষ্ট্রের মেধার অপচয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা। যেখানে কনসাল্টিং ফার্মের মাধ্যমে কাজ করতে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতো সেখানে নতুন নতুন প্রকল্পের কাজ গণপূর্তের প্রকৌশলীগণের মাধ্যমে সম্পাদন হলে রাষ্ট্রের কোন অতিরিক্ত খরচ হতো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন , শুধুমাত্র বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর চরম অদক্ষতা , মুরিদ সিন্ডিকেট এবং পটুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মৃধার ছেলে গণপূর্তের এক নির্বাহী প্রকৌশলী এর বদলি বাণিজ্যের কারণে গণপূর্তে চলছে চরম অরাজকতা। এসকল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
*শুধু তাই নয় , প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তার পূর্বের কর্মস্থলে সীমাহীন অনিয়ম করেছেন বলে জানা গেছে এক তদন্তে। তদন্তে বেরিয়ে আসছে শামীম আখতারের নানা দুর্নীতি।
* তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় , অটোম্যাটিক ব্লক তৈরির প্ল্যান্ট স্থাপন কাজে কোন ধরণের চুক্তি ছাড়াই মুরিদের ফার্ম কিংডম বিল্ডার্সকে সমুদয় ১ কোটি ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা প্রদান করেছেন শামীম আখতার , অথচ প্ল্যান্টটির নির্মাণ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ ও অকেজো অবস্থায় রয়েছে।
এখানে মজার বিষয় হলো , কিংডম বিল্ডার্সকে নোটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড (NOA) দেয়া হয় ১৯ মে , ২০২১ তারিখে।  কিন্তু NOA প্রাপ্তির ৫ দিন আগেই চায়নার Dongyue Machinery Group কর্তৃক কিংডম বিল্ডার্স বরাবর প্রেরিত invoice ছিল ১৪ মে , ২০২১ তারিখে। এখন প্রশ্ন জাগে , NOA পাওয়ার আগে কিংডম বিল্ডার্স invoice পেয়েছে নিশ্চয় শামীম সাহেব তাকে আগে থেকেই কাজ দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।  অর্থাৎ পুরো ক্রয় প্রক্রিয়া ছিল যোগসাজসের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে শামীম আখতার সাহেব তার মুরিদ কিংডম বিল্ডার্সের কর্ণধার নুসরাত হোসেনকে অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন এবং পিপিআর ২০০৮ সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছেন।
এর সাথে যুক্ত হয়েছে প্রধান প্রকৌশলীর মুরিদ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব।

*তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় , একটি ৮০০ কেভিএ সাবস্টেশন এবং একটি জেনারেটর ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন শামীম আখতার।  সাবস্টেশন ও জেনারেটর ক্রয়ের চুক্তিমূল্য ৮৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬১৯ টাকা।  উক্ত সাবস্টেশন চালু না হলেও বিনা পরিমাপে ৮,১৮,৩৮১ টাকা বেশি প্রদান করা হয়েছে।  এভাবেই হরিলুট হয়েছে সরকারি টাকা।
*তদন্তে আরো উঠে এসেছে এইচ বি আর আই এর নিরাপত্তার জন্য আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগে মানা হয়নি আউটসোর্সিং নীতিমালা। সরকারি আউটসোর্সিং নীতিমালা অনুযায়ী ওপেন টেন্ডার এর মাধ্যমে নিয়োগের বিধান থাকলেও শামীম আখতার সাহেব নিয়মের থোড়াই কেয়ার করে শুধুমাত্র নথি অনুমোদন করে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন।
শুধু অনিয়ম করেই ক্ষ্যান্ত হননি , ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে মোট ৪১ জন জনবলের টাকা উত্তোলন করলেও জনবল ছিল মাত্র ২৮ জন।  বাকি ১৩ জন জনবলের টাকা তসরূপ হয়েছে বলে তদন্তে প্রতীয়মান হয়।
এছাড়াও শামীম আখতারের বিরুদ্ধে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ , বিধি ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে উর্ধতন পদে নিয়োগ এবং মাছ চাষ , সবজি চাষ সংক্রান্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।
গণপূর্তের একাধিক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গণপূর্তকে বাঁচাতে এবং রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি বন্ধে শামীম আখতারকে প্রধান প্রকৌশলীর পদ থেকে অপসারণ এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।  অন্যথায় , দেশ ও জাতি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গত ১.৫ বছরে গণপূর্তের শামীমের জন্য রাষ্ট্রের ক্ষতি ৮ হাজার কোটির উপরে, রয়েছে বহুবিধ দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১১:৫৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ আগস্ট ২০২২

গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রতি বছর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভবন নির্মাণ বাবদ গড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে।  এ সকল প্রকল্প কোন কনসাল্টিং ফার্মের মাধ্যমে করতে গেলে সরকারকে অতিরিক্ত ১৫-২০% অতিরিক্ত খরচ করতে হত। সে হিসেবে গণপূর্তের প্রকৌশলীগণ বছরে ৭-১০ হাজার কোটি টাকার বাস্তবায়ন খরচ সেভ করছেন।

কিন্তু মোহাম্মদ শামীম আখতার চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পর থেকে কোন প্রকল্প নিতে না পারায় রাষ্ট্র প্রকৌশলীদের সেবা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।  বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তারের কাজের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা এবং মুরিদ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বদলি ও ঠিকাদারি বাণিজ্যের কারণে গণপূর্ত মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কাজ না বুঝার কারণে গণপূর্তে এখন লেজেগোবরে অবস্থা।
গণপূর্তে গত ১.৫ বছরে কোন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেন নি শামীম আখতার। পূর্বের প্রধান প্রকৌশলীর রেখে যাওয়া প্রকল্প নিয়ে গণপূর্ত এতদিন কাজ করছে। বর্তমানে নতুন কোন প্রকল্প না থাকায় গণপূর্তের প্রকৌশলীবৃন্দ ঢিলেঢালাভাবে অফিস করছেন।  বিপুল সংখ্যক প্রকৌশলীকে বেতন ভাতা দিয়ে রাষ্ট্রের মেধার অপচয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা। যেখানে কনসাল্টিং ফার্মের মাধ্যমে কাজ করতে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতো সেখানে নতুন নতুন প্রকল্পের কাজ গণপূর্তের প্রকৌশলীগণের মাধ্যমে সম্পাদন হলে রাষ্ট্রের কোন অতিরিক্ত খরচ হতো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন , শুধুমাত্র বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর চরম অদক্ষতা , মুরিদ সিন্ডিকেট এবং পটুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মৃধার ছেলে গণপূর্তের এক নির্বাহী প্রকৌশলী এর বদলি বাণিজ্যের কারণে গণপূর্তে চলছে চরম অরাজকতা। এসকল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
*শুধু তাই নয় , প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তার পূর্বের কর্মস্থলে সীমাহীন অনিয়ম করেছেন বলে জানা গেছে এক তদন্তে। তদন্তে বেরিয়ে আসছে শামীম আখতারের নানা দুর্নীতি।
* তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় , অটোম্যাটিক ব্লক তৈরির প্ল্যান্ট স্থাপন কাজে কোন ধরণের চুক্তি ছাড়াই মুরিদের ফার্ম কিংডম বিল্ডার্সকে সমুদয় ১ কোটি ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা প্রদান করেছেন শামীম আখতার , অথচ প্ল্যান্টটির নির্মাণ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ ও অকেজো অবস্থায় রয়েছে।
এখানে মজার বিষয় হলো , কিংডম বিল্ডার্সকে নোটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড (NOA) দেয়া হয় ১৯ মে , ২০২১ তারিখে।  কিন্তু NOA প্রাপ্তির ৫ দিন আগেই চায়নার Dongyue Machinery Group কর্তৃক কিংডম বিল্ডার্স বরাবর প্রেরিত invoice ছিল ১৪ মে , ২০২১ তারিখে। এখন প্রশ্ন জাগে , NOA পাওয়ার আগে কিংডম বিল্ডার্স invoice পেয়েছে নিশ্চয় শামীম সাহেব তাকে আগে থেকেই কাজ দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।  অর্থাৎ পুরো ক্রয় প্রক্রিয়া ছিল যোগসাজসের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে শামীম আখতার সাহেব তার মুরিদ কিংডম বিল্ডার্সের কর্ণধার নুসরাত হোসেনকে অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন এবং পিপিআর ২০০৮ সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছেন।
এর সাথে যুক্ত হয়েছে প্রধান প্রকৌশলীর মুরিদ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব।

*তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় , একটি ৮০০ কেভিএ সাবস্টেশন এবং একটি জেনারেটর ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন শামীম আখতার।  সাবস্টেশন ও জেনারেটর ক্রয়ের চুক্তিমূল্য ৮৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬১৯ টাকা।  উক্ত সাবস্টেশন চালু না হলেও বিনা পরিমাপে ৮,১৮,৩৮১ টাকা বেশি প্রদান করা হয়েছে।  এভাবেই হরিলুট হয়েছে সরকারি টাকা।
*তদন্তে আরো উঠে এসেছে এইচ বি আর আই এর নিরাপত্তার জন্য আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগে মানা হয়নি আউটসোর্সিং নীতিমালা। সরকারি আউটসোর্সিং নীতিমালা অনুযায়ী ওপেন টেন্ডার এর মাধ্যমে নিয়োগের বিধান থাকলেও শামীম আখতার সাহেব নিয়মের থোড়াই কেয়ার করে শুধুমাত্র নথি অনুমোদন করে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন।
শুধু অনিয়ম করেই ক্ষ্যান্ত হননি , ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে মোট ৪১ জন জনবলের টাকা উত্তোলন করলেও জনবল ছিল মাত্র ২৮ জন।  বাকি ১৩ জন জনবলের টাকা তসরূপ হয়েছে বলে তদন্তে প্রতীয়মান হয়।
এছাড়াও শামীম আখতারের বিরুদ্ধে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ , বিধি ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে উর্ধতন পদে নিয়োগ এবং মাছ চাষ , সবজি চাষ সংক্রান্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।
গণপূর্তের একাধিক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গণপূর্তকে বাঁচাতে এবং রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি বন্ধে শামীম আখতারকে প্রধান প্রকৌশলীর পদ থেকে অপসারণ এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।  অন্যথায় , দেশ ও জাতি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন