থেমে নেই নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া (পর্ব-১)
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৮:৫৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২
- / ২৯৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের হাজেরা মার্কেটে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ বিছিন্ন করার পর নাটকিয় ভাবে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিনিময়ে সংযোগ পেয়ে যায় অবৈধ কারখানার মালিকরা।
সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি এলকায় ছোট বড় কারখানা গড়ে উঠেছে ব্যাঙ্গের ছাতার মত। এই এলাকাকে অবৈধ কারখানার মালিকরা নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নেওয়ার একটাই কারণ এখানে গ্যাস বিল না দিয়ে চালাতে পারে তাদের ব্যবসা হওয়ায় যায় রাতারাতি হওয়া যায় কোটি পতি।বৈধ গ্রাহকরা গ্যাসের জন্য বিভিন্ন সময় মানববন্ধন করলেও তার কোন সুফল পাচ্ছে না বৈধ গ্রাহকরা। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন একটি বিশেষ পেশার একজন ও রনি নামের তিতাস গ্যাসের এক দালালের মাধ্যমে এবং তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জ শাখার কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারিদের ম্যানেজ করে সিদ্ধিরগঞ্জে হাজেরা মার্কেট এলাকায় অর্ধশতাধিক কয়েল কারখানা ও খানাডুলির (রেক) কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারী সেই অর্ধশত কারখানা মালিকদের থেকে মাসিক মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে থাকেন বিশেষ পেশার সেই ব্যক্তি ও দালাল রনি। পরিতাপের বিষয় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারী কারখানার মালিকরা কম্পেসারের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকার গ্যাস পুড়িয়ে কয়েল ও খানাডুলি (রেক) কারখানার মালিকরা একেক জন বনেগেছে কোটি কোটি টাকা মালিক আর সরকার হারিয়েছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কয়েল কারখানার মালিক বলেন আমাদেরকে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ দিয়ে এবং আমাদের থেকে মাসিক মাসোহারার টাকায় লালে লাল হয়ে গেছে একটি বিশেষ পেশার সেই একজন ও রনি নামের গ্যাসের দালাল সাথে তিতাস গ্যাস এ-র সেই সব দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীরা।এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায় মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সময় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হলে তিতাসের লোকেরা লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে এবং দিনের বেলা সংযোগ বিছিন্ন করে রাখে রাতে সংযোগ লাগিয়ে দিয়ে ফের চালু করে তাদের ব্যবসা। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর অবৈধ গ্যাস দিয়ে কয়েল কারখানা ও খানাডুলি (রেক) কারখানা গুলোর কাজ। আর এ-ই দিকে বৈধ গ্রাহকরা ভিবিন্ন সময় মহাসড়কে মানববন্ধন ও অবরোধ করেও এর কোন সুফল পাচ্ছে না। গত জুন মাসে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি হাজেরা মার্কেট এলাকায় দুইটি কয়েল তৈরির কারখানা ও তিনটি খানা ডুলি (রেক) কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল । সেই সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদ বলেন তারা একএকটি কারখানায় প্রতিমাসে প্রায় ১০ লাখ টাকার গ্যাস চুরি করে।সেসময় তিতাস গ্যাসের প্রধান সংযোগটি বন্ধ করে দেয়া হয় যার কারনে বৈধ গ্রাহকরাও বিপাকে পড়েন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশেষ পেশার সেই একজন ও গ্যাসের দালাল রনি এলাকাবাসীকে ফুসলিয়ে বৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার দাবিতে এলাকাবাসীকে দিয়ে মহাসড়কে মানববন্ধন করায়,এরপর গ্যাস সংযোগ টি খুলেদেয়া হয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাজেরা মার্কেটে গ্যাসের সংযোগ বিছিন্ন করা কারখানা গুলোতে নাটকীয় ভাবে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে সংযোগ পেল অবৈধ কারখানার মালিকরা যাহা কারখানা মালিক সূত্রে জানাযায়। এদিকে সরকার যেখানে জাতীয় প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) বৃদ্ধির জন্য মিল-কারখানা গুলোতে বৈধভাবে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য রাখতে হিমশিম খাচ্ছে সেই সময় ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী ও এলাকার স্থানীয় দালালরা সরকারের মূল্য বান সম্পদ গ্যাস নিয়ে লুটপাট করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।এব্যপারে দালাল রনির কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় হাজেরা মার্কেটে গত জুন মাসে অবৈধ কয়েল ও খানাডুলির কারখানার গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করা কারখানা গুলো কি ভাবে সংযোগ পেল?তখন দালাল রনি বলেন একটি কারখানায় বিভিন্ন পাশ দিয়ে গ্যাস সংযোগ লাগানো থাকে একটি সংযোগ বিছিন্ন করলে অন্য সংযোগ চালু করে। আর টাকার ব্যপারে আমি কিছু জানিনা, আমি গ্যাসের কাজ করিনা,আপনি যা শুনেছেন তা সঠিক না এ-ই কথা বলে দালাল রনি এড়িয়ে যায়।
এব্যপারে তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জ শাখার ম্যানেজার সাকিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন টাকার ব্যপারে আমি জানিনা তিতাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে কেউ বাসাবাড়ি এবং কারখানা চালাতে পারবেনা,এমনকি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করা দন্ডনীয় অপরাধ,এবং কিছু দিনের মধ্যে আবারও হাজেরা মার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।তিনি আরো বলেন তিতাস গ্যাস আইনে আছে যেই সব এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বেশি সেই সব এলাকায় বৈধ সংযোগ বন্ধ করার এখতিয়ার রাখে তিতাস কোম্পানি।
(বিস্তারিত আগামী পর্বে)