রাজশাহীতে নকল অঙ্গীকারনামা তৈরি করে অর্থ লোপাটের অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০২:৫৯:০৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২২ আগস্ট ২০২২
- / ২১৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
রাজশাহী নগরীর সপুরা এলাকার একজন আম ব্যবসায়ির সাথে তারই পার্টনার নগদ অর্থ নিয়ে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গেল আম মৌসুমে ব্যবসা করার নিমিত্তে উভয়ের মধ্যে তিনশত টাকার ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি চুক্তি (অঙ্গীকারনামা) হয়। ব্যবসা শেষে ৩ লাখ ৬৭ হাজার বিনিয়োগ সমেত মুনাফার প্রায় চার লাখ টাকা দ্বিতীয় পক্ষ কর্তৃক আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ প্রথম পক্ষের।
ক্ষতিগ্রস্থ প্রথম পক্ষের অভিযোগ মতে, উক্ত অঙ্গীকারনামায় থাকা স্বাক্ষী চাপাইনবয়াবগঞ্জের রাজারামপুর ঝাপাইপাড়া এলাকার মৃত্যু জুলমত আলী র ছেলে ইসমাইল সহ আরো দু-একজন ব্যক্তি দ্বিতীয় পক্ষ চারঘাট নিবাসী তোহেলের সাথে যোগসাজোস করে হুবাহু নকল একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করে প্রথম পক্ষকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত কাজে চারঘাট থানার এএসআই মামুন সংশ্লিষ্ট থাকায় বিষয়টি রাজশাহীর সার্কেল এএসপি ইফতেখায়ের আলমকে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি নগরীর সপুরা নিবাসি আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্বজনরা অবহিত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ি আব্দুর রাজ্জাক বিজ্ঞ আদালতে আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ির দেয়া অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গেল আম মৌসুমে চারঘাট থানার অনুপমপুর গ্রামের এজারুলের ছেলে তোহেলের সাথে যৌথভাবে বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি আমের বাগান কেনেন রাজশাহী নগরীর সপুরা এলাকার মো: আঃ আজিজের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিস্তারিত আলাপ আলোচনা শেষে উভয়ের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আম বাগান ক্রয় সাপেক্ষে প্রথম পক্ষ আব্দুর রাজ্জাক দ্বিতীয় পক্ষকে ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন। দ্বিতীয় পক্ষ কোন প্রকার বিনিয়োগ না করায় চুক্তি অনুযায়ী আম বাগান ক্রয়, দেখাশুনা, রক্ষনাবেক্ষন ও আম ক্রয়-বিক্রয় সহ যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে বলে উভয়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়াও, উক্ত ব্যবসায় সর্বমোট লাভের উপর ২০ শতাংশ দ্বিতীয় পক্ষ ব্যবসার নিমিত্তে প্রথম পক্ষ আব্দুর রাজ্জাকের কাছে দাবিদরা। ব্যবসা শেষে সর্বমোট ৪ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে বলে জানায় প্রথম পক্ষ আব্দুর রাজ্জাক। উক্ত আমের ব্যবসায় প্রথম পক্ষ আব্দুর রাজ্জাকের বিনিয়োগের ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকাসহ ব্যবসা শেষে মুনাফার ৪ লাখ টাকা এখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারি আব্দুর রাজ্জাককে বুঝিয়ে না দিয়ে দ্বিতীয় পক্ষ নানা টালবাহানায় সময়ক্ষেপন করতে থাকে।
অবশেষে, গত ৩১.০৭.২২ ইং তারিখে উভয় পক্ষের মধ্যে তিনশ টাকার ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা সম্পন্ন হয়। উক্ত অঙ্গীকারনামানুযায়ী, চলতি মাসের গেল ১৫ আগস্ট দ্বিতীয় পক্ষের কাছে থাকা মুনাফার ৪ লাখ টাকাসহ সর্বমোট বিনিয়োগের হিসেব বুঝিয়ে দেবার কথা থাকলেও দ্বিতীয় পক্ষ অভিযুক্ত তোহেল ক্ষতিগ্রস্থ প্রথম পক্ষকে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
উপরন্তু, প্রথম পক্ষের লোকজনের সাথে যোগসাজোসে দ্বিতীয় পক্ষ চারঘাট নিবাসি তোহেল হুবাহু নকল একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করে বিষয়টির রফাদফা হয়ে গেছে বলে গত ২০.৭.২২ ইং তারিখে অনৈতিক দাবি তোলেন। উল্লেখ্য যে, বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ি আব্দুর রাজ্জাক চারঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। উক্ত অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই মামুন স্বশরীরে উপস্থিত থেকে অনৈতিক পন্থায় বিষয়টির রফাদফা করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ আব্দুর রাজ্জাকের।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ি আব্দুর রাজ্জাক জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই মামুনের উপযুক্ত শাস্তি কিংবা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানান।