জোটন দেবনাথের প্রত্যক্ষ মদদে হেরিটেজের একের পর এক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ
- আপডেট টাইম : ০১:০২:০১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২১ আগস্ট ২০২২
- / ২৭৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
কয়েকজন প্রভাবশালী একত্রে বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করে হেরিটেজ নামক কোম্পানীটির মাধ্যমে শাহজাহানপুরের অলিতে গলিতে একের পর এক নকশা না মেনে ভবন নির্মাণ করে চলেছেন। যেসব সরু অলিতে গলিতে এক একটি বহুতল ভবনের নকশা পাশ করিয়েছেন সে নকশা নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন? কারণ টেরিটেজের বেশিরভাগ ভবনই ১০ তলা বিশিষ্ট ভবন যা রাজউক নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের বহুতল ভবনের নকশা সরু গলিতে পাওয়ার কথা নয়। কোম্পানীটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে কোম্পানীর সাথে রাজউকের একাধিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তার যোগসাজস রয়েছে। এছাড়া অথোরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথ কোম্পানীটির নকশা পাইতে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করে আসছেন। করবেন না কেন! হেরিটেজের প্রতিটি নকশা রাজউক থেকে অনুমোদনের জন্য মোটা অংকের অর্থ জোটন দেবনাথসহ আরও কয়েকজন ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে থাকেন অনুন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে। টাকার বিনিময়ে হেরিটেজ এ ধরনের নিয়ম বর্হিভূত নকশা অনুমোদনের পরও ভবন নির্মাণের সময় মানছেন না তারা এ নকশা। ফলে হেরিটেজের এ ধরনের একের পর এক অবৈধ ভবন নির্মাণের জন্য উত্তর শাহজাহানপুর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হচ্ছে। বর্তমানে হেরিটেজের এ ধরনের অবৈধ কর্মকান্ডে একদিকে যেমন এলাকার পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে অন্যদিকে উত্তর শাহজাহানপুরবাসীর জীবন যাপন হচ্ছে সংকটাপূর্ণ যা অদূর ভবিষ্যতে এ এলাকায় জীবন যাপন বিপন্ন হতে পারে বলে ধারনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২৩২, উত্তর শাহজাহানপুর হেরিটেজের একটি নির্মাণাধীন ভবনে অনুসন্ধান করে দেখা যায় ৭/৮ ফুটের সরু রাস্তার সামনে কিছুটা জায়গা ছেড়ে রাস্তা কিছুটা প্রশস্থ করে ভবনটির ১০ তলার নির্মাণ কাজ চলমান। সামনে কিছুটা জায়গা ছাড়া হলেও প্রায় ৪/৫ ফুট ডেভিয়েশন করা হয়েছে উপরের দিকে। এছাড়া বামে ও ডানে জায়গা ছাড়া হয়েছে খুবই সামান্য, তবুও এখানেও রয়েছে ডেভিয়েশন। ভবনটির পেছনের দিকে কোনরূপ জায়গাই ছাড়া হয়নি। এ ধরনের বিপদজনক ভবনস্থগুলোতে ভবিষ্যতে কোন অগ্নিকান্ড ঘটলে বা ভূমিকম্পে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্থ হলে এমন সরু রাস্তায় ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থার কর্মীরা কোনভাবেই যেতে পারবেন না, ফলে উদ্ধার ততপরতা করা যাবে না। ফলে বিপুল পরিমান ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানীর আংশংকা করছেন এলাকাবাসী। হেরিটেজ অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তারা সামনা-সামনি কিছুই বলতে সাহস করেন না। কিন্তু ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তারা ভবনটি উচ্ছেদের দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষের নিকট। এছাড়া এ ধরনের গলিতে বহুতল ভবনের নকশা না দেওয়ারও দাবি করেছেন তারা। সরু গলিতে ১০ তলার নকশা কিভাবে পেল? আবার এ নকশাও হেরিটেজ মানছেন না, এ ব্যাপারে রাজউক কি পদক্ষেপ নিয়েছে? নকশার বিনিময়ে জোটন দেবনাথের অর্থ বাণিজ্য। এছাড়া পদক্ষেপ ছাড়াই ১০ তলা পর্যন্ত কিভাবে হলো? নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জোটন দেবনাথকে মোবাইলে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকি এসএমএস দিয়ে পরিচয় দেওয়ার পরও তিনি ফোন না ধরে কেটে দিয়েছেন। তবে হেরিটেজের সাথে কথা বলার জন্য সাইনবোর্ডে উল্লেখিত ফোন নাম্বারে ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে নিজের পরিচয় গোপন করে তিনি একে,এম আবদুল্লাহ আল বাকীর সাথে কথা বলতে বলেন। তবে বাকীর মোবাইল নম্বর চাইলে তিনি তা দিতে রাজী হননি। হেরিটেজের আরও বেশ কয়েকটি নকমা বর্হিভূত ভবন রয়েছে যা ধারাবাহিকভাবে পাঠকদের জানানো হবে এবং তথ্য অধিকার আইনে চিঠি পাঠানো হয়েছে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসলে পাঠকদের আরও বিস্তারিত জানানো যাবে।