মেম্বারের চাপে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই
- আপডেট টাইম : ০৩:৪০:৩২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২
- / ১৭৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
১৮ আগস্ট জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের ভাতা কার্ড অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য ৮৮০ জন ভাতাভোগীর নিকট থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছিলেন আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিল্টনের চাচাতো ভাই রিগান হোসেন। পরে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সেই টাকা মাইকে ঘোষণা দিয়ে ফেরত দিতে বাধ্য করেছেন ওই ইউনিয়নের সাত ইউপি সদস্য।
বুধবার (১৭ আগস্ট) ভাতাভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। তবে চেয়ারম্যানের দাবি, এ ঘটনায় ইউনিয়নের দুজন উদ্যোক্তাও জড়িত ছিলেন।
জানা যায়, ১০ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়নের হতদরিদ্র ভাতাভোগীদের নামের তালিকা অনলাইনে নিবন্ধন করার জন্য সরকারি খরচে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিবন্ধন করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু তাদের ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে অনলাইনে নিবন্ধন করার কথা বলে ৫০ টাকা করে আদায় করেন চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই রিগান হোসেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন বাবুসহ সাতজন ইউপি সদস্য এর প্রতিবাদ করেন। পরে ইউপি সদস্যদের তোপের মুখে চেয়ারম্যানের ভাই ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার মাইকে ঘোষণা দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা প্রচার করেন প্যানেল চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন বাবু। বুধবার ৮৮০ জন হতদরিদ্র ভাতাভোগীকে ৫০ টাকা ও যাতায়াত ভাড়া হিসেবে অতিরিক্ত ২০ টাকাসহ ৭০ টাকা করে ফেরত দেওয়া হয়।
ভাতাভোগী রসুলপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম, খাসবাট্টা গ্রামের নেহাল উদ্দিন, মৃধপাড়া গ্রামের হাছেন আলীসহ অনেকেই বলেন, চেয়ারম্যানের ভাই রিগান আমাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছে। পরে শুনি টাকা লাগবে না, তাই মেম্বাররা আমাদেরকে ডেকে টাকা ফেরত দিয়েছেন।
ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন বাবু বলেন, অন্যায়ভাবে চেয়ারম্যানের ভাই রিগান পরিষদের সকল কার্যক্রম তদারকি করেন। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তিনি হতদরিদ্রদের কাছে অনলাইন নিবন্ধন করার নামে ৫০ টাকা করে আদায় করেন। অবৈধভাবে নেওয়া ৫০ টাকা ও অপরাধ করার অভিযোগে রিগানের কাছে থেকে ভাতাভোগীদের যাতায়াত ভাড়া বাবদ ২০ টাকা আদায় করে ৭০ টাকা প্রতিজন ভাতাভোগীকে দেওয়া হয়ছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে রিগানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিল্টন বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর রিগান একটু পরিষদে এসে কাজকাম করে। তবে সে পরিষদের কেউ না। এ ঘটনায় রিগান একাই না, পরিষদের দুজন উদ্যোক্তা শামিমা আক্তার ও শ্যামল সরকারও জড়িত।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেন বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়টা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমি ব্যবস্থা নেব।’
আল-কারিয়া চৌধুরী
০১৯৪৩-৪৭৩২২২