সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস ভ্যাট সার্কেল সুপার দীপক কুমার মজুমদার এর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ (পর্ব-১)
- আপডেট টাইম : ১০:০৫:২৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২
- / ১৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
নারায়ণগঞ্জ জেলা জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ
কাস্টমস অ্যান্ড্রয়েড অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কারখানার মালিকরা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেন,বিভিন্ন কারখানার মালিকদের অভিযোগ এর ভিত্তিতে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধির নেতৃত্বে অনুসন্ধানে উঠে আসে সিদ্ধিরগঞ্জে কাস্টমস অফিসের সার্কেল সুপার দীপক কুমার মজুমদারের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস সার্কেল অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য ভুক্তভোগী বিভিন্ন কারখানার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস এন্ড ভ্যাট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টাকা না দিলে ফাইল মাসের পর মাস টেবিলে পড়ে থাকে। ভুক্তভোগী কারখানার মালিকদের অভিযোগ সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস কর্মকর্তা সার্কেল সুপার দীপক কুমার মজুমদার কারখানার প্রকারভেদে কারখানা মালিকদের থেকে ত্রিশ হাজার ( ৩০০০০)টাকা বিশ হাজার টাকা (২০০০০) দশ হাজার টাকা (১০০০০)করে প্রতিমাসে মাসে মাসিক মাসোহারা নিয়ে থাকে। আর এ-ই মাসিক মাসোহারা ঢাকা প্রতি মাসের ১০- ১৫-তারিখের ভিতরে দিতে হয়,বাসা ভাড়ার টাকা সময়মত সার্কের দীপক কুমার মজুমদারের একটি গত কোষাগারে না পৌছালে কারখানার মালিকদের বিভিন্ন সময় মামলার ভয় দেখিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টম সার্কেল দীপক কুমার মজুমদার লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের কোষাগার পরিপূর্ণ করে। ভুক্তভোগী বিভিন্ন কারখানার মালিকরা বলেন সিদ্ধিরগঞ্জে কাস্টম সার্কেল দীপক কুমার মজুমদার এর বেআইনি অত্যাচারের কারণে আমরা ঠিক মত ব্যবসা করতে পারিনা । ভুক্তভোগী অন্য একটি কারখানার নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস সার্কেল দীপক কুমার মজুমদার এর মাসিক মাশোয়ারার টাকা না দিলে তিনি দলবল নিয়ে আমাদের কারখানায় এসে হাজির হয়ে কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের সামনে আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখায় আমরা ভয়ে তার সামনে আসতাম না। দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানী ক্যামেরায় ধরা পড়ে এমন একটি দৃশ্য দেখা যায় ডিকে মশার কয়েল কোম্পানির মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস এন্ড ভ্যাট অফিসে গিয়ে কাস্টম সার্কেল সুপার দীপক কুমার মজুমদারকে সার্কেল বিশ হাজার টাকা (২০০০০) উৎকোচ দিলে তিনি সন্তুষ্ট না হয়ে কারখানা মালিক আলমগীর সাহেবের কাছে আরো টাকা দাবি করেন,(তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষিত আছে) এদিকে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের শিল্প কারখানা মালিকদের বিভিন্ন সময় প্রণোদনা দিয়ে আসছে,কিন্তু দুঃখের বিষয় সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস সার্কেল সুপার দীপক কুমার মজুমদারের মত দুর্নীতিবাজ অসাধু কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে বিভিন্ন শিল্প কারখানার মালিকরা শিল্প-কারখানার উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন আর এর প্রভাব পড়বে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ( জিডিপিতে)। এই সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিদ্ধিরগঞ্জে কাস্টমস সার্কেল সুপার দীপক কুমার মজুমদারের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। ( অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে)