ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতারা নিরুৎসাহিত হবে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৯:৪২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২১
  • / ৪০০ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
বাজেটে একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ও সুশাসনের কথা থাকলেও যেভাবে অপ্রদর্শিত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, তা স্ববিরোধিতা। মাত্র ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করলে কোনো সংস্থা কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না—এভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতাদের আরো নিরুত্সাহিত করা হবে। যথাযথ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে কালো টাকা আয়-উপার্জনের পথ বন্ধ করা এবং উদ্ধারে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক প্রস্তাবনায় ফোরামের পক্ষ থেকে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি

এতে বলা হয়েছে, রাজস্ব আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনীতির কিছু সূচকের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত হওয়া দরকার। বাস্তবতাকে স্বীকার করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হওয়া উচিত। করোনার সময়ে বাংলাদেশ ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছে, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে বড় উলম্ফন হতে যাচ্ছে—এ ধরনের অনুমান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ভুল বার্তা দিতে পারে। এ বছর আপাতত প্রবৃদ্ধির চেয়ে মানুষের নজর জীবনযাত্রা ও কর্মসংস্থান কতটা টিকে থাকবে সেদিকে নজর রাখতেই হবে।

দেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে: অর্থমন্ত্রী

করোনাসংকটে বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কর্মসংস্থান। করোনার প্রভাবে বাজেট প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের গুরুত্ব আলোচিত হলেও, শিক্ষা, দক্ষ জনসম্পদ তৈরি, কর্মসৃজনমূলক শিল্প উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষে নিতে হবে। গত বাজেটে কৃষি ও কৃষকের বিমার প্রস্তাবনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রান্তিক চাষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা, খামারি, মাছ চাষির কাছে প্রণোদনার টাকা পৌঁছায়নি। ব্যাংক বা আর্থিক খাতে বিশাল ব্যধির সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি। ধনী আরও ধনী হওয়ার সহজ সুযোগে আয় বৈষম্য বেড়েই চলেছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য সামাজিক সুরক্ষার আওতায় বরাদ্দ আরও বেশি থাকা দরকার। ব্যাংকিং খাতকে যথা আস্থার স্থানে ফিরিয়ে আনতে না পারলে সেটি হবে অর্থনীতির জন্য করোনার চাইতে ভয়াবহ সংক্রামক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতারা নিরুৎসাহিত হবে

আপডেট টাইম : ০৫:১৯:৪২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
বাজেটে একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ও সুশাসনের কথা থাকলেও যেভাবে অপ্রদর্শিত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, তা স্ববিরোধিতা। মাত্র ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করলে কোনো সংস্থা কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না—এভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতাদের আরো নিরুত্সাহিত করা হবে। যথাযথ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে কালো টাকা আয়-উপার্জনের পথ বন্ধ করা এবং উদ্ধারে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক প্রস্তাবনায় ফোরামের পক্ষ থেকে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি

এতে বলা হয়েছে, রাজস্ব আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনীতির কিছু সূচকের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত হওয়া দরকার। বাস্তবতাকে স্বীকার করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হওয়া উচিত। করোনার সময়ে বাংলাদেশ ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছে, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে বড় উলম্ফন হতে যাচ্ছে—এ ধরনের অনুমান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ভুল বার্তা দিতে পারে। এ বছর আপাতত প্রবৃদ্ধির চেয়ে মানুষের নজর জীবনযাত্রা ও কর্মসংস্থান কতটা টিকে থাকবে সেদিকে নজর রাখতেই হবে।

দেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে: অর্থমন্ত্রী

করোনাসংকটে বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কর্মসংস্থান। করোনার প্রভাবে বাজেট প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের গুরুত্ব আলোচিত হলেও, শিক্ষা, দক্ষ জনসম্পদ তৈরি, কর্মসৃজনমূলক শিল্প উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষে নিতে হবে। গত বাজেটে কৃষি ও কৃষকের বিমার প্রস্তাবনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রান্তিক চাষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা, খামারি, মাছ চাষির কাছে প্রণোদনার টাকা পৌঁছায়নি। ব্যাংক বা আর্থিক খাতে বিশাল ব্যধির সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি। ধনী আরও ধনী হওয়ার সহজ সুযোগে আয় বৈষম্য বেড়েই চলেছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য সামাজিক সুরক্ষার আওতায় বরাদ্দ আরও বেশি থাকা দরকার। ব্যাংকিং খাতকে যথা আস্থার স্থানে ফিরিয়ে আনতে না পারলে সেটি হবে অর্থনীতির জন্য করোনার চাইতে ভয়াবহ সংক্রামক।