পাংশায় সড়ক নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী ও অনিয়মের অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০২:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০২২
- / ১৭২ ৫০০০.০ বার পাঠক
রাজবাড়ীর পাংশায় নিম্ন মানের ইটের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সড়কটি নির্মাণ কাজে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের শলুয়া গ্রামের মালঠিপাড়া থেকে বড়খোলা পর্যন্ত ২ কিলোমিটারেরও অধিক সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি নির্মাণ কাজ করছেন ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫-২০ দিন আগে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কাজের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ কাজ চলমান থাকা অবস্থায় বেশিরভাগ সময়ই কাজ তদারকি করার জন্য কোন অফিসার থাকেন না। সম্প্রতি খুবই নিম্ন মানের ইটের খোয়া ও ইটেরগুড়ো দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। নেই কোন তদারকি কর্মকর্তা। স্থানীরা আরোও জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা না বলতে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাদের।
শনিবার(১৩ আগস্ট) সরেজমিনে গেলে স্থানীয় ইমান আলী মোল্লা বলেন, যে খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে তা ভালো নয় এবং খুবই নিম্ন মানের। আমরা এলাকার লোকজন অনেক বার বলেছি, তারা বলে এর থেকে ভালো খোয়া দেশে নাই।
মো. রাব্বি হাসান বলেন, এখন বালি আর খোয়া মিক্স করে দেওয়া হচ্ছে। কোনমত খোয়া ছিটিয়ে দিচ্ছে। ১০০% এর মধ্যে ৯০% বালি আর ১০% খোয়া হবে। এই সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতি হচ্ছে।
আতর আলী বলেন, এর ১০-১২ দিন আগে কাজ শুরুর দিয়ে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে রাস্তা করছিলো। আমরা এই কথা বলেছিলাম বলে এখনো আমাদের উপর ক্ষেপে আছে ঠিকাদার।
সড়ক নির্মাণ কজে নিয়োজিত মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমাদের যে ভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমরা সে ভাবেই কাজ করছি। কোন অনিয়ম করিনি। ইটের খোয়ার মান নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দুই গাড়ি ইটের খোয়া একটু নিম্ন মানের হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী সাচ্ছুকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
জানা যায় সড়কটি নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা উপজেলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী সাইফুর রহমান। সরেজমিনে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি আজ সাইডে নেই। খোয়া ও কাজের মান আগমীকাল দেখবো। আমি সাইডে না থাকলেও আমাদের অফিসের শাহিন নামের এক জন স্টাফ কাজটি দেখভাল করা জন্য রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান বলেন, তদারকি কর্মকর্তা হয়তো অন্য কোন সাইডে আছে। তবে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।