ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সুমন হত্যাকান্ডের মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৩

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
  • / ২০৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সুমন নামের এক যুবক কে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক দল মাদক ব্যবসায়ী!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সুমন মিয়া নামে (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল মাদক ব্যবসায়ী।

এ ঘটনায় মুল হোতা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ আগষ্ট২২) ইং বিকালে হবিগঞ্জ জেলা বিচারক আদালতে ৩ আসামী কে সোপর্দ করে মাধবপুর থানা পুলিশ!

স্থানীয় সুত্রে জানা যায় গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড়রা গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একই গ্রামের ফরাস উদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম মিয়া,(৩২)

সিদ্দিক মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া, (৩৩)

মোস্তফা আলীর ছেলে রউফ মিয়া (২৮)ও সাদেক মিয়া তাকে ডেকে নিয়ে যায়।

রাতে বাড়ি না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করেন।

এক পর্যায়ে বেঙ্গাডোবা গ্রামের একটি রাইস মিলের পাশে সুমনের ক্ষতবিক্ষত দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে ওসি আব্দুর রাজ্জাকসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ওয়াসিম, হেলাল ও সাদেক নামে ৩ জনকে আটক করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

এ ছাড়া জড়িতদের নামও প্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদি হয়ে উল্লেখিত ৪ জনসহ আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সুমনের ছোট ভাই রাসেল মিয়া মামলার বাদী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই পুলিশ ও র‌্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছেন।

এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূলে তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতেন।

এ কারণেই এই তিন মাদক ব্যবসায়ী তার ভাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

নিহত সুমন মিয়া ৩ সন্তানের জনক। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, তার শরীরে ১২টির বেশি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

মাধবপুর থানার ওসি জানান, অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে আমরা ৩ জনকে আটক করেছি। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সুমন হত্যাকান্ডের মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৩

আপডেট টাইম : ০৬:৪২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সুমন নামের এক যুবক কে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক দল মাদক ব্যবসায়ী!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সুমন মিয়া নামে (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল মাদক ব্যবসায়ী।

এ ঘটনায় মুল হোতা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ আগষ্ট২২) ইং বিকালে হবিগঞ্জ জেলা বিচারক আদালতে ৩ আসামী কে সোপর্দ করে মাধবপুর থানা পুলিশ!

স্থানীয় সুত্রে জানা যায় গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড়রা গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একই গ্রামের ফরাস উদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম মিয়া,(৩২)

সিদ্দিক মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া, (৩৩)

মোস্তফা আলীর ছেলে রউফ মিয়া (২৮)ও সাদেক মিয়া তাকে ডেকে নিয়ে যায়।

রাতে বাড়ি না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করেন।

এক পর্যায়ে বেঙ্গাডোবা গ্রামের একটি রাইস মিলের পাশে সুমনের ক্ষতবিক্ষত দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে ওসি আব্দুর রাজ্জাকসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ওয়াসিম, হেলাল ও সাদেক নামে ৩ জনকে আটক করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

এ ছাড়া জড়িতদের নামও প্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদি হয়ে উল্লেখিত ৪ জনসহ আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সুমনের ছোট ভাই রাসেল মিয়া মামলার বাদী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই পুলিশ ও র‌্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছেন।

এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূলে তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতেন।

এ কারণেই এই তিন মাদক ব্যবসায়ী তার ভাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

নিহত সুমন মিয়া ৩ সন্তানের জনক। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, তার শরীরে ১২টির বেশি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

মাধবপুর থানার ওসি জানান, অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে আমরা ৩ জনকে আটক করেছি। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।