নারায়ণগঞ্জের তিতাসগ্যাস খেকো খায়ের,রফিক,রণি গংরা বেপরোয়া (পর্ব-২)
- আপডেট টাইম : ০৮:১৭:২৯ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৬ আগস্ট ২০২২
- / ৩৪০ ৫০০০.০ বার পাঠক
নারায়ণগঞ্জের তিতাস গ্যাস খেকো খায়ের রফিক রনি গংরা বেপরোয়া এ-ই নিয়ে গত ৩১ই জুলাই দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরে নারায়ণগঞ্জ এর তিতাস গ্যাস খেকো খায়ের রফিক রনি গংরা এ-ই প্রতিবেদকের মোবাইলে ফোন করে বলেন যে আপনি আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের কিছুই করতে পারবেন না তার চেয়ে ভালো হয় আপনার কি লাগবে বলেন,কারণ আমরা তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জ অফিসের সবাইকে ম্যানেজ করেই আমারা অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে আসছি। এ-ই দিকে নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস খেকো খায়ের রফিক রনি গংদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে তার আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিভিন্ন জাগায় নতুন করে আবারও অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়েছে এবং পুরাতন অবৈধ সংযোগ দেওয়া বাসাবাড়ি ও কারখানার মালিকদের থেকে মাসিক বিল তোলার কাজ অব্যাহত রয়েছে। দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চমকপ্রদ তথ্য তিতাস গ্যাস খেকো খায়ের অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ এর টাকায় ঢাকার ডেমরা এলাকার ৬৭ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বক্স নগর এলাকায় বিউটি কুঞ্জ নামে আলিশান দুইটি বাড়ি ও নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন বিশাল সম্পদের পাহাড়। আরেক গ্যাস খেকো রফিক ও অবৈধ তিতাস গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে বাড়ি ও বিশাল সম্পদের মালিক চলাফেরা করেন রাজকীয় ভাবে। আরেক গ্যাস খেকো রণি তিনি ও খায়ের রফিক থেকে কম যাননি তার ও রয়েছে বিশাল বিশাল তিনিটি বাড়ী এবং নামে বেনামে অনেক সম্পদ,
নারায়ণগঞ্জ জেলার শত শত মিল কারখানা ও হাজার হাজার বসতবাড়িতে অবৈধ ভাবে তিতাস গ্যাস সংযোগ দিয়ে খায়ের,রফিক,রনি গংরা হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা এ-ই দিকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত,নারায়ণগঞ্জ জেলার অবৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগ নিয়ে দৈনিক সময়ের কন্ঠ প্রতিবেদন প্রচার করার পর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর নজরে আসলে তিনি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি নারায়ণগঞ্জের জোনাল অফিস কে নারায়ণগঞ্জের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশ মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস অফিস যখনই অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন এর জন্য বেরিয়ে আসে তার সাথে সাথে এই অবৈধ গ্যাস খেকো খায়ের রনি ও রফিক গংরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেন যার কারণে তিতাস গ্যাস অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন কারী টিম এর সত্যতা না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়,এ-ই দিকে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকা দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে ও বিভিন্ন কারখানার অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের সাথে কথা বলে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার মূল নায়ক খায়ের,রফিক ও রনির নাম উঠে আসে।এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন জনৈক খায়ের তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি নারায়ণগঞ্জ শাখায় চাকরি করেন এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এ ছাড়াও জনৈক খায়ের তিতাস গ্যাস কোম্পানির একজন ঠিকাদার। আর রনির বাবা এক সময় তিতাস গ্যাস অফিসের চাকরি করতেন সেই সুবাদে রনি তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে এই সুসম্পর্ক কে পুঁজি করে কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে খায়ের রফিক রনি সিন্ডিকেট নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাজকীয় জীবন-যাপন করছে,এ-ই দিকে তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জের বৈধ গ্রাহকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে খায়েরের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ-ই প্রতিবেদককে বলেন আমি এ-ই বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলবো বলে লাইন বিছিন্ন করে দেন,অন্য দিকে রফিক ও রনির মোবাইলে বার বার কল দিলেও তারা কল রিসিভ করেন নাই,(অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে)