ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তাবন্দি তরুণী উদ্ধার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নারীর রিমান্ড মঞ্জুর
- আপডেট টাইম : ১০:২০:০৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২ আগস্ট ২০২২
- / ২০৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
ঠাকুরগাঁওয়ে মাহফুজা খাতুন নামে এক তরুণীকে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা ও অপহরণ মামলায় গুলজান বেগম (ফিরোজাকে) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ মামলার চার আসামীর মধ্যে বাকি তিন আসামী পলাতক রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
সোমবার (০১ আগস্ট) মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি গুলজান বেগমকে আদালতে হাজির করা হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ কুমার এ নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিযুষ চন্দ্র সরকার।
চলতি বছরের গত ২১ জুলাই সকালে বস্তাবন্দি করে ওই তরুণীকে ঠাকুরগাঁও শহরের টাঙ্গন ব্রিজের নিচে ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয়রা ওই তরুণীকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
উদ্ধার হওয়া তরুণী দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজহাট এলাকার বিজয়পুর গ্রামের মোস্তফা কামালের মেয়ে।
বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধারকৃত তরুণী ও তার পরিবার জানান, ঘটনার এক মাস আগে মাহফুজা খাতুনকে লেখাপড়ার উদ্দেশে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি মাদরাসায় ভর্তি করায় পরিবার। ভর্তির পর ঈদের ছুটি কাটিয়ে মাদরাসায় ফিরলে ২১ জুলাই ভোর রাতে মাহফুজাকে একদল যুবক কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে নির্যাতন করে হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে শহরের টাঙ্গন নদীর ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়। কিন্তু বস্তা গড়িয়ে ব্রিজের ধারে আটকে থাকে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওই তরুণীর ভাই জানান, ‘গুলজান বেগম আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি কুপরামর্শ দিয়ে আমার বোনকে গ্রামের সাহাবুল ইয়ামিন নামের এক কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। তিনিই ইয়ামিনকে গত রমজান মাসে একদিন সেহেরির পর আমার বোনের ঘরে ঢুকিয়ে দেন। সে সময় পরিবারের লোকজন ইয়ামিনকে আটক করলে পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় তার সঙ্গে আমার বোনের অ্যাফিডেভিট করে বিয়ে হয় ও গুলজান বেগম আমার বোনের আপত্তিকর ছবি তুলে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা চালায়।
এঘটনায় বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধারকৃত ওই তরুণীর ভাই বাদি হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত গুলজান বেগমকে গত ২২ জুলাই শুক্রবার ভোর রাতে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হলেও বাকি তিন আসামী পলাতক রয়েছে । পরে ওই দিন সন্ধ্যায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আটককৃত গুলজানকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।