ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. রেজাউল করিম মসজিদের ইমাম হত্যা মামলার খুনিদের বাঁচাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে ৫ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক: গভর্নর ৩০ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবারও বসছে ঐকমত্য কমিশন রাজধানীতে ৫ মাসে ১৬৮ খুনের মামলা, আন্ডার ওয়ার্ল্ড গডফাদারের সংশ্লিষ্টতা এক লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি আসছে ইরানের হামলায় ইসরাইলে নিহত ৮, আহত ২০০ আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ধারী দালাল এখন বিগত রাতে কমপক্ষে ১০০জামাত বিএনপি ধরে হাজত দেওয়ার পরও এখনো কর্মগত অবস্থায় কিভাবে আকবেন নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বোয়ালমারীত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের এসআই নিহত আবারও ইরানে ইসরাইলের হামলা শুরু

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০২:৪১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • / ৩২৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির এস এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

তিন বছরের চেয়ারে তিনি পাঁচ বছর ধরে বহাল রয়েছেন। সম্প্রতি ঘটা করে হয়েছে পূর্তি অনুষ্ঠান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জেলা প্রশাসনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নাজির পদে দায়িত্ব পান। পদটিতে চলতি বছরের জুলাইয়ে তার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম নাজির হওয়ার আগে সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর টঙ্গী সার্কেলের অফিস সহকারী ছিলেন। নাজির পদে যোগদানের বছর খানেক পর তিনি উচ্চমান সহকারী পদে পদোন্নতি পান।

এর আগে রফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে তথ্য অফিস কর্তৃক সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারণা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে।

পরে তাকে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করা হয়। সাবেক জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের আমলে তিনি প্রভাবশালী কর্মচারী হয়ে ওঠেন।

রফিকুল ইসলাম বর্তমানে জেলা কালেক্টরেট সহকারী সমিতিরও সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলামের নাজির পদে পাঁচ বছর পূর্তিতে জেলা প্রশাসন চত্বরে সমিতির কার্যালয়ে গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় কেক কেটে আনন্দ অনুষ্ঠান করা হয়েছে। কেকের মধ্যেও পাঁচ বছর পূর্তি লেখা ছিল।

প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, নাজির কারও চাকরির আজীবনের পদ নয়। বিধি অনুযায়ী তিন বছর পরও বদলি না করায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ পেয়েছে।

একাধিক কর্মচারী বলেন, রফিকুল ইসলাম অত্যন্ত চতুর। তিনি বিভিন্ন বরাদ্দের ব্যয় ভাউচার, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিলিং লাইসেন্স, হোটেল-রিসোর্টের লাইসেন্স, ইটভাটার লাইসেন্স, শিল্প কারখানার দাহ্য পদার্থের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন এবং অপমৃত্যু সংক্রান্ত বরাদ্দ থেকে বাণিজ্য করছেন।

এ ব্যাপারে নাজির রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, আমি ২০১৭ সাল থেকে নাজিরের চলতি দায়িত্বে আছি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি।

বিভিন্ন লাইসেন্স ও বরাদ্দ থেকে বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলোর একটাও তার কাজ নয়। যারা অপমৃত্যুর বিল নেন, তারা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

আপডেট টাইম : ০২:৪১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির এস এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

তিন বছরের চেয়ারে তিনি পাঁচ বছর ধরে বহাল রয়েছেন। সম্প্রতি ঘটা করে হয়েছে পূর্তি অনুষ্ঠান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জেলা প্রশাসনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নাজির পদে দায়িত্ব পান। পদটিতে চলতি বছরের জুলাইয়ে তার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম নাজির হওয়ার আগে সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর টঙ্গী সার্কেলের অফিস সহকারী ছিলেন। নাজির পদে যোগদানের বছর খানেক পর তিনি উচ্চমান সহকারী পদে পদোন্নতি পান।

এর আগে রফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে তথ্য অফিস কর্তৃক সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারণা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে।

পরে তাকে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করা হয়। সাবেক জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের আমলে তিনি প্রভাবশালী কর্মচারী হয়ে ওঠেন।

রফিকুল ইসলাম বর্তমানে জেলা কালেক্টরেট সহকারী সমিতিরও সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলামের নাজির পদে পাঁচ বছর পূর্তিতে জেলা প্রশাসন চত্বরে সমিতির কার্যালয়ে গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় কেক কেটে আনন্দ অনুষ্ঠান করা হয়েছে। কেকের মধ্যেও পাঁচ বছর পূর্তি লেখা ছিল।

প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, নাজির কারও চাকরির আজীবনের পদ নয়। বিধি অনুযায়ী তিন বছর পরও বদলি না করায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ পেয়েছে।

একাধিক কর্মচারী বলেন, রফিকুল ইসলাম অত্যন্ত চতুর। তিনি বিভিন্ন বরাদ্দের ব্যয় ভাউচার, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিলিং লাইসেন্স, হোটেল-রিসোর্টের লাইসেন্স, ইটভাটার লাইসেন্স, শিল্প কারখানার দাহ্য পদার্থের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন এবং অপমৃত্যু সংক্রান্ত বরাদ্দ থেকে বাণিজ্য করছেন।

এ ব্যাপারে নাজির রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, আমি ২০১৭ সাল থেকে নাজিরের চলতি দায়িত্বে আছি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি।

বিভিন্ন লাইসেন্স ও বরাদ্দ থেকে বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলোর একটাও তার কাজ নয়। যারা অপমৃত্যুর বিল নেন, তারা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন