ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আর ফ্যাসিবাদী সহযোগীর মিলনে গণতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা ।।ঠাকুরগাঁওয়ে শামসুজ্জামান দুদু জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মোংলা উপজেলার ২নং বুড়িডাঙ্গা ইউনিয়নের ওর্য়াড কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন টাঙ্গাইলে আলহাজ্ব মোজাম্মেল হককে ও জাতীয় পার্টির কার্যক্রমকে কঠোর হস্তে দমন করবে বিএনপি-জামায়াত নেতারা, আওয়ামী-জাপা দালাল সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব রোজার আগে পণ্যের দাম নিয়ে যে বার্তা দিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ফের নিষেধাজ্ঞা? বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৫ আয়োজিত ১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য আইএমএফের শর্তে রাজস্ব আহরণে কতটা সফল, জানতে চায় অর্থ বিভাগ আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০২:৪১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৭৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির এস এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

তিন বছরের চেয়ারে তিনি পাঁচ বছর ধরে বহাল রয়েছেন। সম্প্রতি ঘটা করে হয়েছে পূর্তি অনুষ্ঠান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জেলা প্রশাসনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নাজির পদে দায়িত্ব পান। পদটিতে চলতি বছরের জুলাইয়ে তার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম নাজির হওয়ার আগে সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর টঙ্গী সার্কেলের অফিস সহকারী ছিলেন। নাজির পদে যোগদানের বছর খানেক পর তিনি উচ্চমান সহকারী পদে পদোন্নতি পান।

এর আগে রফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে তথ্য অফিস কর্তৃক সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারণা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে।

পরে তাকে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করা হয়। সাবেক জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের আমলে তিনি প্রভাবশালী কর্মচারী হয়ে ওঠেন।

রফিকুল ইসলাম বর্তমানে জেলা কালেক্টরেট সহকারী সমিতিরও সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলামের নাজির পদে পাঁচ বছর পূর্তিতে জেলা প্রশাসন চত্বরে সমিতির কার্যালয়ে গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় কেক কেটে আনন্দ অনুষ্ঠান করা হয়েছে। কেকের মধ্যেও পাঁচ বছর পূর্তি লেখা ছিল।

প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, নাজির কারও চাকরির আজীবনের পদ নয়। বিধি অনুযায়ী তিন বছর পরও বদলি না করায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ পেয়েছে।

একাধিক কর্মচারী বলেন, রফিকুল ইসলাম অত্যন্ত চতুর। তিনি বিভিন্ন বরাদ্দের ব্যয় ভাউচার, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিলিং লাইসেন্স, হোটেল-রিসোর্টের লাইসেন্স, ইটভাটার লাইসেন্স, শিল্প কারখানার দাহ্য পদার্থের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন এবং অপমৃত্যু সংক্রান্ত বরাদ্দ থেকে বাণিজ্য করছেন।

এ ব্যাপারে নাজির রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, আমি ২০১৭ সাল থেকে নাজিরের চলতি দায়িত্বে আছি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি।

বিভিন্ন লাইসেন্স ও বরাদ্দ থেকে বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলোর একটাও তার কাজ নয়। যারা অপমৃত্যুর বিল নেন, তারা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

আপডেট টাইম : ০২:৪১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির এস এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

তিন বছরের চেয়ারে তিনি পাঁচ বছর ধরে বহাল রয়েছেন। সম্প্রতি ঘটা করে হয়েছে পূর্তি অনুষ্ঠান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জেলা প্রশাসনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নাজির পদে দায়িত্ব পান। পদটিতে চলতি বছরের জুলাইয়ে তার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম নাজির হওয়ার আগে সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর টঙ্গী সার্কেলের অফিস সহকারী ছিলেন। নাজির পদে যোগদানের বছর খানেক পর তিনি উচ্চমান সহকারী পদে পদোন্নতি পান।

এর আগে রফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে তথ্য অফিস কর্তৃক সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারণা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে।

পরে তাকে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করা হয়। সাবেক জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের আমলে তিনি প্রভাবশালী কর্মচারী হয়ে ওঠেন।

রফিকুল ইসলাম বর্তমানে জেলা কালেক্টরেট সহকারী সমিতিরও সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলামের নাজির পদে পাঁচ বছর পূর্তিতে জেলা প্রশাসন চত্বরে সমিতির কার্যালয়ে গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় কেক কেটে আনন্দ অনুষ্ঠান করা হয়েছে। কেকের মধ্যেও পাঁচ বছর পূর্তি লেখা ছিল।

প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, নাজির কারও চাকরির আজীবনের পদ নয়। বিধি অনুযায়ী তিন বছর পরও বদলি না করায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ পেয়েছে।

একাধিক কর্মচারী বলেন, রফিকুল ইসলাম অত্যন্ত চতুর। তিনি বিভিন্ন বরাদ্দের ব্যয় ভাউচার, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিলিং লাইসেন্স, হোটেল-রিসোর্টের লাইসেন্স, ইটভাটার লাইসেন্স, শিল্প কারখানার দাহ্য পদার্থের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন এবং অপমৃত্যু সংক্রান্ত বরাদ্দ থেকে বাণিজ্য করছেন।

এ ব্যাপারে নাজির রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, আমি ২০১৭ সাল থেকে নাজিরের চলতি দায়িত্বে আছি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি।

বিভিন্ন লাইসেন্স ও বরাদ্দ থেকে বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলোর একটাও তার কাজ নয়। যারা অপমৃত্যুর বিল নেন, তারা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন।দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন