ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু জামালপুরে ধানের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীরদের দখলে রানীশংকৈলে জিপিএ—৫ পাওয়া ৪ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের বাধা অর্থিক সংকট কালিয়াকৈরে এক নারী মাদক ব্যবসায়ী হেরোইনসহ গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উৎযাপন উপলক্ষে সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হারানো টাকা মালিকের হাতে ফেরত দিয়ে দিষ্টান্ত স্হাপন করলো পুলিশ ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কতৃক মসজিদ পরিস্কার অভিযান ফুলবাড়ীতে ভুট্টা বোঝাই ট্রলির চালক নিজ গাড়িতে চাপা পড়ে নিহত বিবাহিত অছাত্র কিশোরগ্যাং এর লিডার রুবেল হোসেন জয়কে দিয়ে এবার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি করা হলো কুষ্টিয়ায় পদ্মায় ডুবে যাওয়া নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

সংলাপে অংশ গ্রহন করেনি বিএনপি, অপেক্ষা করবে ইসি

  • নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪০:০১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
  • ১২৭ ০.০০০ বার পাঠক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপি সংলাপে না এলেও তাদের জন্য অপেক্ষা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে চতুর্থ দিনের মতো বুধবার (২০শে জুলাই) বেলা ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারিত ছিল। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছিল যে, এই আওয়ামী নির্বাচন কমিশনের কোনো সংলাপে তারা অংশ নেবে না।

ইসির সংলাপে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের মূল দাবি নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার। নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। অন্যদিকে বর্তমান কমিশনও সরকারের আজ্ঞাবহ, তা এরইমধ্যে প্রমাণিত। ফলে এই কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে, বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা নির্বাচন কমিশন চিনি না, নির্বাচন কমিশন বুঝি না, নির্বাচন কমিশন মানি না। আমরা চাই এ সরকার থাকবে না। এই পার্লামেন্ট থাকবে না। এই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন এক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সেই নির্বাচনে আমরা যাব।

এমন পরিস্থিতিতেও বিএনপির সঙ্গে সংলাপের হাল ছাড়তে নারাজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন তিনি বিএনপি’র জন্য অপেক্ষা করবেন।

বুধবার (২০শে জুলাই) সকালে নির্বাচন ভবনে গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিএনপি সংলাপে আসছে না এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, আমরা ওয়েট করব। বিএনপিকে সংলাপে আনার জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা জানতে চাইলে এর কোনো উত্তর দেননি সিইসি।

সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো পার্টি সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের সকলের মনোভাব ইতিবাচক। ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে বলেছেন তাঁরা। ইসিও তাদের এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে।

সিইসি আরও বলেন, আমরাও বলেছি সত্যিকার অর্থে এটিই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব যে প্রত্যেকটা ভোটার যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এটাই গণতন্ত্রের ভিত্তি। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সিইসি আরও বলেন, প্রতিটি দলই বলেছে তারা ঐকমত্যে বিশ্বাস করে। ঐকমত্য তো হতেও পারে, নাও হতে পারে। কিন্তু ঐকমত্যের জন্য ইসি চেষ্টা চালিয়ে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যের চেষ্টা করলে ইসি আনন্দিত হবে।

এই সংলাপের মধ্য দিয়ে ইসির প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর অনাস্থা দূর হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসির প্রতি অনাস্থা সব সময় আছে বা নাই দুটোই জিনিস। আপনারা তো পেপারেই দেখছেন একটা দলের হয়তো অনাস্থা আছে। আবার আমাদের সঙ্গে যারা বসেছে তাদের প্রত্যেকের আমাদের প্রতি আস্থা আছে।

গণতন্ত্রী পার্টির সাত দফা:

এদিন সংলাপে বসেছে বাংলাদেশ গণতন্ত্রী পার্টি। আগামী নির্বাচনে সব দলের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টির আহ্বান জানায় দলটি। নির্বাচনে কালোটাকা বন্ধ, ইসির নিরপেক্ষ অবস্থানসহ ৭ দফা দাবি জানায় গণতন্ত্রী পার্টি।

গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ড. শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেন। এসময় দলটির সভাপতি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ, সব দলের অংশগ্রহণ এবং প্রার্থীদের কালো টাকার প্রভাব বন্ধসহ কমিশনকে সাত দফা প্রস্তাব দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপে অন্য চার কমিশনার এবং ইসি সচিব ও অতিরিক্ত সচিব উপস্থিত রয়েছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি দলের সঙ্গে চলমান এ ধারাবাহিক সংলাপে মাত্র তিনটি দলের (আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি) সঙ্গে সংলাপের জন্য দুই ঘণ্টা সময় রেখেছে ইসি। অন্য ৩৬টি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে এক ঘণ্টা করে।

১৭ই জুলাই শুরু হওয়া এ ধারাবাহিক সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। প্রায় প্রতিদিনই চারটি করে দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। তবে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের দিন তিনটি দল এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের দিন দুটি দলের সঙ্গে সংলাপ করবে কমিশন। সংলাপের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জুলাই ইসির সঙ্গে বসবে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু

সংলাপে অংশ গ্রহন করেনি বিএনপি, অপেক্ষা করবে ইসি

আপডেট টাইম : ০৩:৪০:০১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপি সংলাপে না এলেও তাদের জন্য অপেক্ষা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে চতুর্থ দিনের মতো বুধবার (২০শে জুলাই) বেলা ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারিত ছিল। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছিল যে, এই আওয়ামী নির্বাচন কমিশনের কোনো সংলাপে তারা অংশ নেবে না।

ইসির সংলাপে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের মূল দাবি নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার। নির্বাচনকালীন সরকার ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। অন্যদিকে বর্তমান কমিশনও সরকারের আজ্ঞাবহ, তা এরইমধ্যে প্রমাণিত। ফলে এই কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে, বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা নির্বাচন কমিশন চিনি না, নির্বাচন কমিশন বুঝি না, নির্বাচন কমিশন মানি না। আমরা চাই এ সরকার থাকবে না। এই পার্লামেন্ট থাকবে না। এই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন এক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সেই নির্বাচনে আমরা যাব।

এমন পরিস্থিতিতেও বিএনপির সঙ্গে সংলাপের হাল ছাড়তে নারাজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন তিনি বিএনপি’র জন্য অপেক্ষা করবেন।

বুধবার (২০শে জুলাই) সকালে নির্বাচন ভবনে গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিএনপি সংলাপে আসছে না এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, আমরা ওয়েট করব। বিএনপিকে সংলাপে আনার জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা জানতে চাইলে এর কোনো উত্তর দেননি সিইসি।

সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো পার্টি সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের সকলের মনোভাব ইতিবাচক। ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে বলেছেন তাঁরা। ইসিও তাদের এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে।

সিইসি আরও বলেন, আমরাও বলেছি সত্যিকার অর্থে এটিই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব যে প্রত্যেকটা ভোটার যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এটাই গণতন্ত্রের ভিত্তি। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সিইসি আরও বলেন, প্রতিটি দলই বলেছে তারা ঐকমত্যে বিশ্বাস করে। ঐকমত্য তো হতেও পারে, নাও হতে পারে। কিন্তু ঐকমত্যের জন্য ইসি চেষ্টা চালিয়ে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যের চেষ্টা করলে ইসি আনন্দিত হবে।

এই সংলাপের মধ্য দিয়ে ইসির প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর অনাস্থা দূর হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসির প্রতি অনাস্থা সব সময় আছে বা নাই দুটোই জিনিস। আপনারা তো পেপারেই দেখছেন একটা দলের হয়তো অনাস্থা আছে। আবার আমাদের সঙ্গে যারা বসেছে তাদের প্রত্যেকের আমাদের প্রতি আস্থা আছে।

গণতন্ত্রী পার্টির সাত দফা:

এদিন সংলাপে বসেছে বাংলাদেশ গণতন্ত্রী পার্টি। আগামী নির্বাচনে সব দলের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টির আহ্বান জানায় দলটি। নির্বাচনে কালোটাকা বন্ধ, ইসির নিরপেক্ষ অবস্থানসহ ৭ দফা দাবি জানায় গণতন্ত্রী পার্টি।

গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ড. শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেন। এসময় দলটির সভাপতি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ, সব দলের অংশগ্রহণ এবং প্রার্থীদের কালো টাকার প্রভাব বন্ধসহ কমিশনকে সাত দফা প্রস্তাব দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপে অন্য চার কমিশনার এবং ইসি সচিব ও অতিরিক্ত সচিব উপস্থিত রয়েছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি দলের সঙ্গে চলমান এ ধারাবাহিক সংলাপে মাত্র তিনটি দলের (আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি) সঙ্গে সংলাপের জন্য দুই ঘণ্টা সময় রেখেছে ইসি। অন্য ৩৬টি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে এক ঘণ্টা করে।

১৭ই জুলাই শুরু হওয়া এ ধারাবাহিক সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। প্রায় প্রতিদিনই চারটি করে দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। তবে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের দিন তিনটি দল এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের দিন দুটি দলের সঙ্গে সংলাপ করবে কমিশন। সংলাপের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জুলাই ইসির সঙ্গে বসবে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।