ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

কাশিমপুর কারাগারের ঘটনা জঘন্য অপরাধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, গাজীপুরের কাশিমপুর-১ কারাগারে যে ঘটনা ঘটেছে, তা জঘন্য অপরাধ। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি কারাগারে হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ঘটনাকে জঘন্য বলে অভিহিত করেছেন। শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি জঘন্য কাজ। কারাগারে এসব নিষিদ্ধ। এর পেছনে যারা দায়ী প্রাথমিকভাবে তাদের সবাইকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটিও করতে বলা হয়েছে। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব কারাগারের জন্য এটি সতর্কবার্তা। যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকবে, তারাই শাস্তির আওতায় আসবে। কেন না এটি জঘন্যতম অপরাধ।
কারাগারে নারীর সঙ্গে বন্দির সময় কাটানোর ঘটনায় জড়িতরা শাস্তি পাবে’

সূত্র জানায়, হলমার্কের জিএম তুষার আহমেদের সাক্ষাৎ নিয়ে গঠিত কারাগারের তদন্ত কমিটির রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ভেতরে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ একজন নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় পার করেন। এতে সহযোগিতা করেন ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ নিয়ে কারাগারের মধ্যে তোলপাড় শুরু হলে কারা অধিদফতর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে গত ১৮ জানুয়ারি এক আদেশে ওই ঘটনায় সহায়তার দায়ে ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করে কারা সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
হলমার্কের জিএমের সঙ্গে কারাবিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সাক্ষাৎ

২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা-মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি কাশিমপুর গিয়ে তদন্ত করেছেন। অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর আগে ও পরের দৃশ্য কারাগারের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ উদ্ধার করে বিশ্লেষণ করছে তদন্ত কমিটি।

কারাগারে সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি সেখানে আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্মা রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কর্মকর্তাদের কক্ষে প্রবেশ করছেন। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান ডেপুটি জেলার সাকলাইন।

ওই নারী প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলাইন। আনুমানিক ১০ মিনিট পর সেখানে বন্দি তুষারকে আনা হয়। এরপর তারা একটি কক্ষে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন। তবে ওই কক্ষের ভেতরে এ সময় কি হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

কাশিমপুর কারাগারের ঘটনা জঘন্য অপরাধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৪:১৪:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, গাজীপুরের কাশিমপুর-১ কারাগারে যে ঘটনা ঘটেছে, তা জঘন্য অপরাধ। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি কারাগারে হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ঘটনাকে জঘন্য বলে অভিহিত করেছেন। শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি জঘন্য কাজ। কারাগারে এসব নিষিদ্ধ। এর পেছনে যারা দায়ী প্রাথমিকভাবে তাদের সবাইকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটিও করতে বলা হয়েছে। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব কারাগারের জন্য এটি সতর্কবার্তা। যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকবে, তারাই শাস্তির আওতায় আসবে। কেন না এটি জঘন্যতম অপরাধ।
কারাগারে নারীর সঙ্গে বন্দির সময় কাটানোর ঘটনায় জড়িতরা শাস্তি পাবে’

সূত্র জানায়, হলমার্কের জিএম তুষার আহমেদের সাক্ষাৎ নিয়ে গঠিত কারাগারের তদন্ত কমিটির রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ভেতরে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ একজন নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় পার করেন। এতে সহযোগিতা করেন ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ নিয়ে কারাগারের মধ্যে তোলপাড় শুরু হলে কারা অধিদফতর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে গত ১৮ জানুয়ারি এক আদেশে ওই ঘটনায় সহায়তার দায়ে ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করে কারা সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
হলমার্কের জিএমের সঙ্গে কারাবিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সাক্ষাৎ

২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা-মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি কাশিমপুর গিয়ে তদন্ত করেছেন। অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর আগে ও পরের দৃশ্য কারাগারের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ উদ্ধার করে বিশ্লেষণ করছে তদন্ত কমিটি।

কারাগারে সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি সেখানে আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্মা রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কর্মকর্তাদের কক্ষে প্রবেশ করছেন। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান ডেপুটি জেলার সাকলাইন।

ওই নারী প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলাইন। আনুমানিক ১০ মিনিট পর সেখানে বন্দি তুষারকে আনা হয়। এরপর তারা একটি কক্ষে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন। তবে ওই কক্ষের ভেতরে এ সময় কি হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।