ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মতিঝিল উত্তর থানা জামায়াত কর্তৃক সেহরি ও ইফতার ফুড প্যাকেট উপহার প্রদান জামায়াতে ইসলামী শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে মূল্যায়ন করে – ডা. শফিকুর রহমান ৩ বছর পর পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ নিখোঁজ আনোয়ার হোসেন শিকদার কে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন আ.লীগ নিষিদ্ধ হবে নাকি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে- কী বলছেন ড. ইউনূস আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত, জানালেন উপদেষ্টা আসিফ বিসিবির ১৮তম সভা আজ, জানা যাবে সিমন্সের ভাগ্য নতি স্বীকার জেলেনস্কির, জানালেন চুক্তি সইয়ে প্রস্তুত ইউক্রেন অগ্রনী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বকতিয়ার আহম্মেদ এর পদত্যাগ ও অপসারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ক্রমান্বয়ে দেশের মানুষ জামায়াতের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠছে –রুহুল আমিন ভুইঁয়া

কাশিমপুর কারাগারের ঘটনা জঘন্য অপরাধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১
  • / ২৮৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, গাজীপুরের কাশিমপুর-১ কারাগারে যে ঘটনা ঘটেছে, তা জঘন্য অপরাধ। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি কারাগারে হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ঘটনাকে জঘন্য বলে অভিহিত করেছেন। শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি জঘন্য কাজ। কারাগারে এসব নিষিদ্ধ। এর পেছনে যারা দায়ী প্রাথমিকভাবে তাদের সবাইকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটিও করতে বলা হয়েছে। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব কারাগারের জন্য এটি সতর্কবার্তা। যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকবে, তারাই শাস্তির আওতায় আসবে। কেন না এটি জঘন্যতম অপরাধ।
কারাগারে নারীর সঙ্গে বন্দির সময় কাটানোর ঘটনায় জড়িতরা শাস্তি পাবে’

সূত্র জানায়, হলমার্কের জিএম তুষার আহমেদের সাক্ষাৎ নিয়ে গঠিত কারাগারের তদন্ত কমিটির রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ভেতরে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ একজন নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় পার করেন। এতে সহযোগিতা করেন ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ নিয়ে কারাগারের মধ্যে তোলপাড় শুরু হলে কারা অধিদফতর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে গত ১৮ জানুয়ারি এক আদেশে ওই ঘটনায় সহায়তার দায়ে ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করে কারা সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
হলমার্কের জিএমের সঙ্গে কারাবিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সাক্ষাৎ

২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা-মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি কাশিমপুর গিয়ে তদন্ত করেছেন। অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর আগে ও পরের দৃশ্য কারাগারের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ উদ্ধার করে বিশ্লেষণ করছে তদন্ত কমিটি।

কারাগারে সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি সেখানে আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্মা রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কর্মকর্তাদের কক্ষে প্রবেশ করছেন। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান ডেপুটি জেলার সাকলাইন।

ওই নারী প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলাইন। আনুমানিক ১০ মিনিট পর সেখানে বন্দি তুষারকে আনা হয়। এরপর তারা একটি কক্ষে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন। তবে ওই কক্ষের ভেতরে এ সময় কি হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কাশিমপুর কারাগারের ঘটনা জঘন্য অপরাধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৪:১৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, গাজীপুরের কাশিমপুর-১ কারাগারে যে ঘটনা ঘটেছে, তা জঘন্য অপরাধ। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি কারাগারে হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ঘটনাকে জঘন্য বলে অভিহিত করেছেন। শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি জঘন্য কাজ। কারাগারে এসব নিষিদ্ধ। এর পেছনে যারা দায়ী প্রাথমিকভাবে তাদের সবাইকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটিও করতে বলা হয়েছে। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব কারাগারের জন্য এটি সতর্কবার্তা। যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকবে, তারাই শাস্তির আওতায় আসবে। কেন না এটি জঘন্যতম অপরাধ।
কারাগারে নারীর সঙ্গে বন্দির সময় কাটানোর ঘটনায় জড়িতরা শাস্তি পাবে’

সূত্র জানায়, হলমার্কের জিএম তুষার আহমেদের সাক্ষাৎ নিয়ে গঠিত কারাগারের তদন্ত কমিটির রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ভেতরে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ একজন নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় পার করেন। এতে সহযোগিতা করেন ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ নিয়ে কারাগারের মধ্যে তোলপাড় শুরু হলে কারা অধিদফতর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে গত ১৮ জানুয়ারি এক আদেশে ওই ঘটনায় সহায়তার দায়ে ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করে কারা সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
হলমার্কের জিএমের সঙ্গে কারাবিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সাক্ষাৎ

২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা-মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি কাশিমপুর গিয়ে তদন্ত করেছেন। অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর আগে ও পরের দৃশ্য কারাগারের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ উদ্ধার করে বিশ্লেষণ করছে তদন্ত কমিটি।

কারাগারে সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি সেখানে আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্মা রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কর্মকর্তাদের কক্ষে প্রবেশ করছেন। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান ডেপুটি জেলার সাকলাইন।

ওই নারী প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলাইন। আনুমানিক ১০ মিনিট পর সেখানে বন্দি তুষারকে আনা হয়। এরপর তারা একটি কক্ষে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন। তবে ওই কক্ষের ভেতরে এ সময় কি হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।