গাজীপুরের কাশিমপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা

- আপডেট টাইম : ০৩:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২
- / ৩৯৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
শেখ হাসিনার অবদান,কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ। এ স্লোগানকে সামনে রেখে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক। সারাদেশে প্রায়১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।
কাশিমপুরে ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে দুটির অবস্থাই নাজুক। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের ভবানীপুর সিসির ভবন চতুর্দিকে ফাটল ধরেছে।কিছুদিন আগে মেরামত করা হলেও আবার দৃশ্যমান হয়েছে ফাটল গুলো, এছাড়াও একই ওয়ার্ডের লতিফপুরের সিসিও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,ভবানীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের ফাটল ধরা ভবনেই চলছে কার্যক্রম।রোগীদের অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন,তারা এখানে চিকিৎসা নিতে এসে ভবন নিয়ে থাকেন আতঙ্কে। লতিফপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের অবস্থা আরো নাজুক। সেই ভবনটিও রয়েছে পরিত্যক্ত। এমনকি মাটিতে ভরে গেছে ভবনের অর্ধেক অংশ, দরজা খোলারও নেই কোন অবস্থা। এখানকার হেলথ প্রোভাইডার রোকেয়া রহমান নিজ রুমেই চালাচ্ছে কার্যক্রম। বিগত কিছুদিন বাসা ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চললেও অতিরিক্ত লোকজনের আসা-যাওয়ায় বাড়ীর মালিক না করে দিয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে নিজ বাসায় চালাচ্ছে কার্যক্রম।
লতিফপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনটি আনুমানিক ৬/৭বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,১তলা বিশিষ্ট ভবনটি ২০০২ইং সনে নির্মিত হয়েছে। ক্লিনিকের সম্মুখভাগ সড়ক উঁচু ও প্রশস্ত হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের ভিতরে পানি চলে আসে।
লতিফপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সি এইচসিপি রোকেয়া রহমান জানান,বর্তমানে আমার ১১বছর চাকুরী জীবনে বাকী ছয় সাত বছর ধরে আমি আমার বসতবাড়ির একটি রুম নিয়ে মানবিকতার দিক বিবেচনা করে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।এভাবে বাসাবাড়িতে মানুষের সেবা দিতে গিয়ে স্বামী সন্তানদেরকে নিয়ে বেগ পাচ্ছি।এছাড়াও তিনি আরো বলেন,এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে।
রোকেয়া রহমানের স্বামী সোলায়মান মিয়া বলেন,ক্লিনিকের ভবনটি অকার্যকর অবস্থায় পড়ে থাকায় স্ত্রী রোকেয়া রহমান সেবা গ্রহীতাদের বাসায় সেবা দিচ্ছেন।দিনের যেকোনো সময় তো রোগী আসেই।এমনকি রাতের বেলায় চলে আসে।মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে কাউকে সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে না।
এলাকাবাসীর দাবী উক্ত কমিউনিটি ক্লিনিক দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকার কারণে এলাকার মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও অনতিবিলম্বে ক্লিনিকের ভবনটি সংস্কার করে সাধারণ মানুষের দুঃখ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সদয় বিবেচনা করবে। ক্লিনিকের সম্মুখভাগে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, ক্লিনিকটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আমাদের সবারই অসুবিধা হচ্ছে। অনেক সময় বাসার ভেতর যেতেও ইতস্তত বোধ করি।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান বলেন,প্রত্যেক বছরে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর আমরা আমাদের যতো কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, সেগুলোর কোন কোন গুলো এ বছরে মেরামত করতে হবে। তার লিষ্ট করে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও কমিউনিটি ক্লিনিক দুইটা আমাদের নজরে রয়েছে।