ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর এর মদদে পরিবেশ ধ্বংস করে উৎপাদনে ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জের ১৫ চুন কারখানার মালিকরা (পর্ব-৩)

  • এম.ডি.এন.মাইকেলঃ
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৫:৫০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২
  • ২১৮ ০.০০০ বার পাঠক

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের মদদে নির্বিঘ্নে পরিবেশ ক্ষতিকারক চুন উৎপাদন করে যাচ্ছে ১৫টি কারখানার মালিকরা,এই নিয়ে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরেও জেলা প্রশাসন নীরব থাকায় সাধারণ জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে.দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য,চুন কারখানার মালিকরা ধনাঢ্য ব্যক্তি হওয়ায় টাকার বিনিময় সকল কিছু ম্যানেজ করে থাকে,এই বিষয়ে চুন কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি ও এক নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম এর মোবাইলে জানতে চাওয়া হয় যে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করে কেনো আপনারা ১৫ টি চুন কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন,এ-ই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তো কি হয়েছে আমরা চুন কারখানার মালিকরা তো আর উৎপাদন বন্ধ রাখতে পারি না,আরেক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় কাউন্সিলর ও চুন কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার ইসলাম বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সকল কিছু ম্যানেজ করেই আমরা আমাদের ১৫টি চুন কারখানার উৎপাদন কাজ অব্যাহত রেখেছে এখানে আপনি সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের কিছুই করতে পারবেন না এ-ই বলে তিনি মোবাইল লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন, এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন সরোজমিনে প্রতিটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারীদের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়,চুন কারখানার আশেপাশে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু এবং বৃদ্ধরা স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় চুন কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করার করে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানা গুলোর পরিবেশ এর ছাড়পত্র বন্ধ করে দেয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানার মালিকদের নোটিশের মাধ্যমে কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে,পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ পাওয়ার পরেও আজ দুই বছর যাবত একটি কারখানা ও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি চুন কারখানার মালিকরা. এইদিকে চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে গাছগুলো মারা যাচ্ছে গাছগুলো মরে যাওয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী মানুষের অক্সিজেন শূন্যতা দেখা দিচ্ছে.এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ-কারী পরিচালক এস.কে মজাহিদ কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অনেকদিন আগেই নারায়ণগঞ্জ জেলার চুন কারখানার গুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে,নারায়ণগঞ্জ জেলার অবৈধ চুন কারখানাগুলোর বিষয়ে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার পক্ষ থেকে পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের মাননীয়া সচিব ফারহিনা আহমেদ কে অবগত করে,এ-ই দিকে চুন কারখানার আশপাশে বসবাসকারী ভুক্তভোগী মানুষের প্রশ্ন রাষ্ট্রের চেয়েও ক্ষমতাশালী নাকি চুন কারখানার মালিকরা? অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে,

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিহাতিতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ পালিত

সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর এর মদদে পরিবেশ ধ্বংস করে উৎপাদনে ব্যস্ত নারায়ণগঞ্জের ১৫ চুন কারখানার মালিকরা (পর্ব-৩)

আপডেট টাইম : ১০:৩৫:৫০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের মদদে নির্বিঘ্নে পরিবেশ ক্ষতিকারক চুন উৎপাদন করে যাচ্ছে ১৫টি কারখানার মালিকরা,এই নিয়ে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরেও জেলা প্রশাসন নীরব থাকায় সাধারণ জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে.দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য,চুন কারখানার মালিকরা ধনাঢ্য ব্যক্তি হওয়ায় টাকার বিনিময় সকল কিছু ম্যানেজ করে থাকে,এই বিষয়ে চুন কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি ও এক নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম এর মোবাইলে জানতে চাওয়া হয় যে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করে কেনো আপনারা ১৫ টি চুন কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন,এ-ই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তো কি হয়েছে আমরা চুন কারখানার মালিকরা তো আর উৎপাদন বন্ধ রাখতে পারি না,আরেক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় কাউন্সিলর ও চুন কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার ইসলাম বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সকল কিছু ম্যানেজ করেই আমরা আমাদের ১৫টি চুন কারখানার উৎপাদন কাজ অব্যাহত রেখেছে এখানে আপনি সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের কিছুই করতে পারবেন না এ-ই বলে তিনি মোবাইল লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন, এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন সরোজমিনে প্রতিটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারীদের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়,চুন কারখানার আশেপাশে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু এবং বৃদ্ধরা স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় চুন কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করার করে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানা গুলোর পরিবেশ এর ছাড়পত্র বন্ধ করে দেয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চুন কারখানার মালিকদের নোটিশের মাধ্যমে কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে,পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ পাওয়ার পরেও আজ দুই বছর যাবত একটি কারখানা ও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি চুন কারখানার মালিকরা. এইদিকে চুন কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে গাছগুলো মারা যাচ্ছে গাছগুলো মরে যাওয়ার কারণে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী মানুষের অক্সিজেন শূন্যতা দেখা দিচ্ছে.এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ-কারী পরিচালক এস.কে মজাহিদ কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অনেকদিন আগেই নারায়ণগঞ্জ জেলার চুন কারখানার গুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে,নারায়ণগঞ্জ জেলার অবৈধ চুন কারখানাগুলোর বিষয়ে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার পক্ষ থেকে পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের মাননীয়া সচিব ফারহিনা আহমেদ কে অবগত করে,এ-ই দিকে চুন কারখানার আশপাশে বসবাসকারী ভুক্তভোগী মানুষের প্রশ্ন রাষ্ট্রের চেয়েও ক্ষমতাশালী নাকি চুন কারখানার মালিকরা? অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে,