ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

ফুলবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুতে পারাপার, দেখার কেউ নেই

ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • / ২৪১ ৫০০০.০ বার পাঠক

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৫ নং ভাঙ্গামোর ইউনিয়নের পশ্চিম নগরাজপুর গ্রামের নীলকমল নদীর উপর কাঠের তৈরী সেতুটি র্দীঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। রেলিং বিহীন ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি দেখেও কোন প্রকার সংষ্কারের উদ্যোগ নেয়নি কতৃর্পক্ষ। এই কাঠের সেতুটি ২০১৭ সাল থেকে বেশ কয়েকবার এলাকাসীর সহযোগিতায় সংস্কার করা হয়। এখন খুব বেহাল অবস্থা,যার ফলে প্রতিদিনই ভাঙ্গা রেলিংবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপারের সময় অহরহ দূঘর্টনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভরা বর্ষার আগেই দ্রুতগতিতে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন নজর পরেনি।

এই সেতু দিয়ে মাঝিপাড়া,মিস্ত্রিপাড়া,মাস্টার পাড়া,হিন্দু পাড়া,মুন্সি পাড়া,পশ্চিম নগরাজপুর গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। এ সেতু পার হয়েই তাদেরকে খোলারহাট, পাখিরহাট, খোচাবাড়ী, খড়িবাড়ী হাট ও উপজেলা সদরে আসতে হয়। এছাড়া পশ্চিম নগরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পার্শ্ববর্তী খামার ও ব্যাপারীটারী গ্রামের মানুষকেও কৃষিকাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

এ ছাড়াও এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবাসহ উৎপাদিত কৃষিপন্য সদরের বাজারগুলোতে বাজারজাত করেন সাধারন কৃষকরা। ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুটির রেলিং সংযোজনসহ পাটাতন ব্রীজের দাবি জানান।

স্থানীয় ইদ্রিস আলী ,বেলাল হোসেন,সিরাজুল ইসলাম, ৫ নং ভাঙ্গামোর ইউপি সদস্য মাহাবুবুর রহমান জানান,অনেক আগে এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরী করে কোন রকমেই কষ্ট করে পারাপার হত। ২০২১ সালে আবার চলাচলের জন্য কাঠের ব্রীজ তৈরী করে এলাকাবাসী। এখন সেতুটির দুই পার ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং সেতুর দুই পাশে রেলিং না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয় ভয় করে সেতু পার হতে হয়। এখন প্রতিদিনেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে কাঠের সেতুর পাটাতন খুবই পিচ্ছিল হয়। অনেকেই সেতু পারাপারের সময় পিছলে পড়ে আহত হচ্ছে।

৫ নং ভাঙামোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ জানান,যেহেতু এই কাঠের ব্রীজটা প্রায় ৮৫ ফিট লম্বা আর কাঠ খুব তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, তাই এই জায়গায় এটা পাটাতন ব্রীজের বন্দোবস্ত করে দিলে খুব ভালো হতো,আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

ফুলবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুতে পারাপার, দেখার কেউ নেই

আপডেট টাইম : ০৮:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৫ নং ভাঙ্গামোর ইউনিয়নের পশ্চিম নগরাজপুর গ্রামের নীলকমল নদীর উপর কাঠের তৈরী সেতুটি র্দীঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। রেলিং বিহীন ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি দেখেও কোন প্রকার সংষ্কারের উদ্যোগ নেয়নি কতৃর্পক্ষ। এই কাঠের সেতুটি ২০১৭ সাল থেকে বেশ কয়েকবার এলাকাসীর সহযোগিতায় সংস্কার করা হয়। এখন খুব বেহাল অবস্থা,যার ফলে প্রতিদিনই ভাঙ্গা রেলিংবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপারের সময় অহরহ দূঘর্টনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভরা বর্ষার আগেই দ্রুতগতিতে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন নজর পরেনি।

এই সেতু দিয়ে মাঝিপাড়া,মিস্ত্রিপাড়া,মাস্টার পাড়া,হিন্দু পাড়া,মুন্সি পাড়া,পশ্চিম নগরাজপুর গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। এ সেতু পার হয়েই তাদেরকে খোলারহাট, পাখিরহাট, খোচাবাড়ী, খড়িবাড়ী হাট ও উপজেলা সদরে আসতে হয়। এছাড়া পশ্চিম নগরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পার্শ্ববর্তী খামার ও ব্যাপারীটারী গ্রামের মানুষকেও কৃষিকাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

এ ছাড়াও এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবাসহ উৎপাদিত কৃষিপন্য সদরের বাজারগুলোতে বাজারজাত করেন সাধারন কৃষকরা। ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুটির রেলিং সংযোজনসহ পাটাতন ব্রীজের দাবি জানান।

স্থানীয় ইদ্রিস আলী ,বেলাল হোসেন,সিরাজুল ইসলাম, ৫ নং ভাঙ্গামোর ইউপি সদস্য মাহাবুবুর রহমান জানান,অনেক আগে এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরী করে কোন রকমেই কষ্ট করে পারাপার হত। ২০২১ সালে আবার চলাচলের জন্য কাঠের ব্রীজ তৈরী করে এলাকাবাসী। এখন সেতুটির দুই পার ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং সেতুর দুই পাশে রেলিং না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয় ভয় করে সেতু পার হতে হয়। এখন প্রতিদিনেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে কাঠের সেতুর পাটাতন খুবই পিচ্ছিল হয়। অনেকেই সেতু পারাপারের সময় পিছলে পড়ে আহত হচ্ছে।

৫ নং ভাঙামোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ জানান,যেহেতু এই কাঠের ব্রীজটা প্রায় ৮৫ ফিট লম্বা আর কাঠ খুব তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, তাই এই জায়গায় এটা পাটাতন ব্রীজের বন্দোবস্ত করে দিলে খুব ভালো হতো,আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)