ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প

ফুলবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুতে পারাপার, দেখার কেউ নেই

ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • / ২৫০ ৫০০০.০ বার পাঠক

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৫ নং ভাঙ্গামোর ইউনিয়নের পশ্চিম নগরাজপুর গ্রামের নীলকমল নদীর উপর কাঠের তৈরী সেতুটি র্দীঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। রেলিং বিহীন ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি দেখেও কোন প্রকার সংষ্কারের উদ্যোগ নেয়নি কতৃর্পক্ষ। এই কাঠের সেতুটি ২০১৭ সাল থেকে বেশ কয়েকবার এলাকাসীর সহযোগিতায় সংস্কার করা হয়। এখন খুব বেহাল অবস্থা,যার ফলে প্রতিদিনই ভাঙ্গা রেলিংবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপারের সময় অহরহ দূঘর্টনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভরা বর্ষার আগেই দ্রুতগতিতে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন নজর পরেনি।

এই সেতু দিয়ে মাঝিপাড়া,মিস্ত্রিপাড়া,মাস্টার পাড়া,হিন্দু পাড়া,মুন্সি পাড়া,পশ্চিম নগরাজপুর গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। এ সেতু পার হয়েই তাদেরকে খোলারহাট, পাখিরহাট, খোচাবাড়ী, খড়িবাড়ী হাট ও উপজেলা সদরে আসতে হয়। এছাড়া পশ্চিম নগরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পার্শ্ববর্তী খামার ও ব্যাপারীটারী গ্রামের মানুষকেও কৃষিকাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

এ ছাড়াও এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবাসহ উৎপাদিত কৃষিপন্য সদরের বাজারগুলোতে বাজারজাত করেন সাধারন কৃষকরা। ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুটির রেলিং সংযোজনসহ পাটাতন ব্রীজের দাবি জানান।

স্থানীয় ইদ্রিস আলী ,বেলাল হোসেন,সিরাজুল ইসলাম, ৫ নং ভাঙ্গামোর ইউপি সদস্য মাহাবুবুর রহমান জানান,অনেক আগে এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরী করে কোন রকমেই কষ্ট করে পারাপার হত। ২০২১ সালে আবার চলাচলের জন্য কাঠের ব্রীজ তৈরী করে এলাকাবাসী। এখন সেতুটির দুই পার ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং সেতুর দুই পাশে রেলিং না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয় ভয় করে সেতু পার হতে হয়। এখন প্রতিদিনেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে কাঠের সেতুর পাটাতন খুবই পিচ্ছিল হয়। অনেকেই সেতু পারাপারের সময় পিছলে পড়ে আহত হচ্ছে।

৫ নং ভাঙামোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ জানান,যেহেতু এই কাঠের ব্রীজটা প্রায় ৮৫ ফিট লম্বা আর কাঠ খুব তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, তাই এই জায়গায় এটা পাটাতন ব্রীজের বন্দোবস্ত করে দিলে খুব ভালো হতো,আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

ফুলবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুতে পারাপার, দেখার কেউ নেই

আপডেট টাইম : ০৮:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৫ নং ভাঙ্গামোর ইউনিয়নের পশ্চিম নগরাজপুর গ্রামের নীলকমল নদীর উপর কাঠের তৈরী সেতুটি র্দীঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। রেলিং বিহীন ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি দেখেও কোন প্রকার সংষ্কারের উদ্যোগ নেয়নি কতৃর্পক্ষ। এই কাঠের সেতুটি ২০১৭ সাল থেকে বেশ কয়েকবার এলাকাসীর সহযোগিতায় সংস্কার করা হয়। এখন খুব বেহাল অবস্থা,যার ফলে প্রতিদিনই ভাঙ্গা রেলিংবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপারের সময় অহরহ দূঘর্টনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভরা বর্ষার আগেই দ্রুতগতিতে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন নজর পরেনি।

এই সেতু দিয়ে মাঝিপাড়া,মিস্ত্রিপাড়া,মাস্টার পাড়া,হিন্দু পাড়া,মুন্সি পাড়া,পশ্চিম নগরাজপুর গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। এ সেতু পার হয়েই তাদেরকে খোলারহাট, পাখিরহাট, খোচাবাড়ী, খড়িবাড়ী হাট ও উপজেলা সদরে আসতে হয়। এছাড়া পশ্চিম নগরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পার্শ্ববর্তী খামার ও ব্যাপারীটারী গ্রামের মানুষকেও কৃষিকাজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

এ ছাড়াও এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবাসহ উৎপাদিত কৃষিপন্য সদরের বাজারগুলোতে বাজারজাত করেন সাধারন কৃষকরা। ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুটির রেলিং সংযোজনসহ পাটাতন ব্রীজের দাবি জানান।

স্থানীয় ইদ্রিস আলী ,বেলাল হোসেন,সিরাজুল ইসলাম, ৫ নং ভাঙ্গামোর ইউপি সদস্য মাহাবুবুর রহমান জানান,অনেক আগে এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরী করে কোন রকমেই কষ্ট করে পারাপার হত। ২০২১ সালে আবার চলাচলের জন্য কাঠের ব্রীজ তৈরী করে এলাকাবাসী। এখন সেতুটির দুই পার ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং সেতুর দুই পাশে রেলিং না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয় ভয় করে সেতু পার হতে হয়। এখন প্রতিদিনেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে কাঠের সেতুর পাটাতন খুবই পিচ্ছিল হয়। অনেকেই সেতু পারাপারের সময় পিছলে পড়ে আহত হচ্ছে।

৫ নং ভাঙামোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ জানান,যেহেতু এই কাঠের ব্রীজটা প্রায় ৮৫ ফিট লম্বা আর কাঠ খুব তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, তাই এই জায়গায় এটা পাটাতন ব্রীজের বন্দোবস্ত করে দিলে খুব ভালো হতো,আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)