ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার

লক্ষ্মীপুরে আদালতের হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে ইলেক্ট্রিশিয়ান জলিল সর্দার হত্যা মামলায় হারুনুর রশিদ হারুন নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০দশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা ও জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে হারুনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অন্য তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দিয়েছে। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত হারুনসহ সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের হযরত বেপারীর ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম, আবুল কাশেম জাহেদ, তোফায়েল পালোয়ান।

আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, নিহত জলিল সর্দার রায়পুরের উদমারা গ্রামের সিরাজ সর্দারের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেক্টিশিয়ান ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন পাশ্ববর্তী চরবংশী গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে হারুন পাশ্ববর্তী বেড়ীর পাশে মোবাইলফোনের মাধ্যমে জলিলকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন দুপুরে স্থানীয় আওয়াল দেওয়ানের ধানক্ষেত থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন ছেলে হত্যার ঘটনায় সিরাজ সর্দার বাদী হয়ে হারুনসহ ৫ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এই দিকে তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর জেলা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আবু জাহের সরকার ও হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সিরাজ মিয়া ২০১৭ইং সালের ১ জানুয়ারি ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত হারুনুর রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়

লক্ষ্মীপুরে আদালতের হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:৩১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে ইলেক্ট্রিশিয়ান জলিল সর্দার হত্যা মামলায় হারুনুর রশিদ হারুন নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০দশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা ও জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে হারুনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অন্য তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দিয়েছে। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত হারুনসহ সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের হযরত বেপারীর ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম, আবুল কাশেম জাহেদ, তোফায়েল পালোয়ান।

আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, নিহত জলিল সর্দার রায়পুরের উদমারা গ্রামের সিরাজ সর্দারের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেক্টিশিয়ান ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন পাশ্ববর্তী চরবংশী গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে হারুন পাশ্ববর্তী বেড়ীর পাশে মোবাইলফোনের মাধ্যমে জলিলকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন দুপুরে স্থানীয় আওয়াল দেওয়ানের ধানক্ষেত থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন ছেলে হত্যার ঘটনায় সিরাজ সর্দার বাদী হয়ে হারুনসহ ৫ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এই দিকে তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর জেলা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আবু জাহের সরকার ও হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সিরাজ মিয়া ২০১৭ইং সালের ১ জানুয়ারি ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত হারুনুর রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।