ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

লক্ষ্মীপুরে আদালতের হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:৩১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • / ২০৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে ইলেক্ট্রিশিয়ান জলিল সর্দার হত্যা মামলায় হারুনুর রশিদ হারুন নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০দশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা ও জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে হারুনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অন্য তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দিয়েছে। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত হারুনসহ সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের হযরত বেপারীর ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম, আবুল কাশেম জাহেদ, তোফায়েল পালোয়ান।

আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, নিহত জলিল সর্দার রায়পুরের উদমারা গ্রামের সিরাজ সর্দারের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেক্টিশিয়ান ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন পাশ্ববর্তী চরবংশী গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে হারুন পাশ্ববর্তী বেড়ীর পাশে মোবাইলফোনের মাধ্যমে জলিলকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন দুপুরে স্থানীয় আওয়াল দেওয়ানের ধানক্ষেত থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন ছেলে হত্যার ঘটনায় সিরাজ সর্দার বাদী হয়ে হারুনসহ ৫ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এই দিকে তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর জেলা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আবু জাহের সরকার ও হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সিরাজ মিয়া ২০১৭ইং সালের ১ জানুয়ারি ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত হারুনুর রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুরে আদালতের হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:৩১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে ইলেক্ট্রিশিয়ান জলিল সর্দার হত্যা মামলায় হারুনুর রশিদ হারুন নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০দশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা ও জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে হারুনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অন্য তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দিয়েছে। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত হারুনসহ সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের হযরত বেপারীর ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম, আবুল কাশেম জাহেদ, তোফায়েল পালোয়ান।

আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, নিহত জলিল সর্দার রায়পুরের উদমারা গ্রামের সিরাজ সর্দারের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেক্টিশিয়ান ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন পাশ্ববর্তী চরবংশী গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে হারুন পাশ্ববর্তী বেড়ীর পাশে মোবাইলফোনের মাধ্যমে জলিলকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন দুপুরে স্থানীয় আওয়াল দেওয়ানের ধানক্ষেত থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন ছেলে হত্যার ঘটনায় সিরাজ সর্দার বাদী হয়ে হারুনসহ ৫ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এই দিকে তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর জেলা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আবু জাহের সরকার ও হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সিরাজ মিয়া ২০১৭ইং সালের ১ জানুয়ারি ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত হারুনুর রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।