ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প

লক্ষ্মীপুরে আদালতের হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • / ২১২ ৫০০০.০ বার পাঠক

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে ইলেক্ট্রিশিয়ান জলিল সর্দার হত্যা মামলায় হারুনুর রশিদ হারুন নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০দশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা ও জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে হারুনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অন্য তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দিয়েছে। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত হারুনসহ সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের হযরত বেপারীর ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম, আবুল কাশেম জাহেদ, তোফায়েল পালোয়ান।

আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, নিহত জলিল সর্দার রায়পুরের উদমারা গ্রামের সিরাজ সর্দারের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেক্টিশিয়ান ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন পাশ্ববর্তী চরবংশী গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে হারুন পাশ্ববর্তী বেড়ীর পাশে মোবাইলফোনের মাধ্যমে জলিলকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন দুপুরে স্থানীয় আওয়াল দেওয়ানের ধানক্ষেত থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন ছেলে হত্যার ঘটনায় সিরাজ সর্দার বাদী হয়ে হারুনসহ ৫ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এই দিকে তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর জেলা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আবু জাহের সরকার ও হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সিরাজ মিয়া ২০১৭ইং সালের ১ জানুয়ারি ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত হারুনুর রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুরে আদালতের হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে ইলেক্ট্রিশিয়ান জলিল সর্দার হত্যা মামলায় হারুনুর রশিদ হারুন নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০দশ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা ও জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে হারুনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অন্য তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দিয়েছে। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত হারুনসহ সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের হযরত বেপারীর ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম, আবুল কাশেম জাহেদ, তোফায়েল পালোয়ান।

আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, নিহত জলিল সর্দার রায়পুরের উদমারা গ্রামের সিরাজ সর্দারের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেক্টিশিয়ান ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন পাশ্ববর্তী চরবংশী গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে হারুন পাশ্ববর্তী বেড়ীর পাশে মোবাইলফোনের মাধ্যমে জলিলকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন দুপুরে স্থানীয় আওয়াল দেওয়ানের ধানক্ষেত থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন ছেলে হত্যার ঘটনায় সিরাজ সর্দার বাদী হয়ে হারুনসহ ৫ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এই দিকে তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর জেলা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আবু জাহের সরকার ও হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সিরাজ মিয়া ২০১৭ইং সালের ১ জানুয়ারি ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত হারুনুর রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।