ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত জামালপুরে কৃষককূল লাউ চাষে স্বাবম্বিতা অর্জন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অস্ত্রাগারের ভিডিও সম্প্রচার এক পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসর মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চুরি এলাকায় আতঙ্ক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মামলা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি কলেজ ছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর দাবি রাজধানী খিলগাঁও সৎ মায়ের হাতে গৃহবধূ খুন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন অভিযোগ করলেন নিজ ভাই বাবা নবাবগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার দে আর নেই

লক্ষ্মীপুরে মাদক মামলায় দুইজনের সাজা

লক্ষ্মীপুরে ৭০০ পিস ইয়াবা রাখার দায়ে রহমত উল্যা নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ১৫ বছর কারাদ- দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। একই মামলায় আসামী ফয়সাল পাঠানকে বেলকুস খালাসের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া ৮৭ পিস ইয়াবা রাখার দায়ে মাহবুব আলমকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম পৃথক ৩ মামলায় এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাড. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাদক মামলায় দ-প্রাপ্ত মাহবুব আলম রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মাদক মামলায় দ-প্রাপ্ত মাহবুব সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে ও রহমত উল্যা রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে র‌্যাব-১১ এর টহল টিম সদর উপজেলার পালের হাট এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী মাহবুবকে ৮৭ পিস ইয়াবাসহ আটক করে। একই দিন র‌্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. মিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম আদালতে মাহবুবের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে ৭ বছর কারাদ- দেয়।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের ২৩ জুন রামগঞ্জ থানার এসআই পঙ্কজ কুমার সাহা ফোর্স নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে টহল দিচ্ছিলেন। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার উত্তর শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে ৭০০ পিস ইয়াবাসহ রহমত উল্যাকে আটক করা হয়। একইদিন এসআই পঙ্কজ কুমার সাহা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরদিন তাকে আদালতে সৌপর্দ করা হয়।

একই বছর ১৪ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মুহাম্মদ কাওসারুজ্জামান তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে ১৫ বছর কারাদ- দেয়। একই মামলায় আসামী ফয়সাল পাঠানকে বেকুসুর খালাসের আদেশ দেন আদালত

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুরে মাদক মামলায় দুইজনের সাজা

আপডেট টাইম : ১১:১২:০৯ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

লক্ষ্মীপুরে ৭০০ পিস ইয়াবা রাখার দায়ে রহমত উল্যা নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ১৫ বছর কারাদ- দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। একই মামলায় আসামী ফয়সাল পাঠানকে বেলকুস খালাসের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া ৮৭ পিস ইয়াবা রাখার দায়ে মাহবুব আলমকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম পৃথক ৩ মামলায় এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাড. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাদক মামলায় দ-প্রাপ্ত মাহবুব আলম রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মাদক মামলায় দ-প্রাপ্ত মাহবুব সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে ও রহমত উল্যা রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে র‌্যাব-১১ এর টহল টিম সদর উপজেলার পালের হাট এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী মাহবুবকে ৮৭ পিস ইয়াবাসহ আটক করে। একই দিন র‌্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. মিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম আদালতে মাহবুবের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে ৭ বছর কারাদ- দেয়।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের ২৩ জুন রামগঞ্জ থানার এসআই পঙ্কজ কুমার সাহা ফোর্স নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে টহল দিচ্ছিলেন। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার উত্তর শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে ৭০০ পিস ইয়াবাসহ রহমত উল্যাকে আটক করা হয়। একইদিন এসআই পঙ্কজ কুমার সাহা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরদিন তাকে আদালতে সৌপর্দ করা হয়।

একই বছর ১৪ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মুহাম্মদ কাওসারুজ্জামান তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে ১৫ বছর কারাদ- দেয়। একই মামলায় আসামী ফয়সাল পাঠানকে বেকুসুর খালাসের আদেশ দেন আদালত