ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
১৩ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ দিয়ে গেজেট জারি কোস্টগার্ডের অপারেশন ”ডেভিল হান্টে”- মোংলায় রাতভর অভিযানে ৩ জনক আটক ১০ মিনিটে পাওয়া যাবে অন-অ্যারাইভাল ভিসা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্ত্রী আইএসআই হলে তো আমি ‘র’-এর এজেন্ট’ মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের পূনবর্হাল এর দাবি তে সংবাদ সম্মেলন জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে সরকার মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পাথরঘাটায় চাঁদাবাজি করতে বাধা দেয়ায় বিএনপির সাত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা ভৈরবে ভবানীপুর সুলাইমানপুর উচ্চ বিদয়ালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া-প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মোংলায় ভূমিদস্যু মোখলেছ ও মাসুদ বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছে এক ভুক্তভোগি পরিবার

মোংলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
  • / ২২৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোংলায় দফায় দফায় দখলের চেষ্টা, মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে, জাল দলিল সৃষ্টি করে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে প্রায় ৫০ বছর ধরে বসবাসকারী জমির প্রকৃত মালিকদের ।

সরজমিনে জানা যায়, মোংলা থানার অন্তগর্ত ২২নং শেলাবুনিয়া মোজায় এস এ (চর-২) খতিয়ানে, ৭৫২ ও ৭৫৩ দাগে অটোল বিহারির অংশ থেকে ১৯৭০ সালে ১.২০শতক জমি ক্রয় করে রেনুয়ারা ও রুবিয়ারা নামের দুই সহদোর বোন । পরবর্তী ১৯৭৫ সালের অটোল বিহারির ভাই কুন্ড বিহারির অংশ থেকে হাতবদল হয়ে একই দাগ (৭৫২/৭৫৩) ও খতিয়ানে অবশিষ্ট ০.৮৮ শতক জমি ক্রয় করেন মোংলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পিয়ার আহম্মেদ । পারিবারিক আত্মীয়তার সুবাধে পিয়ার আহম্মেদ, রেনুয়ারা ও রুবিয়ারা গং যৌথ ভাবে উক্ত সম্পত্তি প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসিতে ছিলো ।
অসুস্থতার কারণে ব্যবসায়ী পিয়ার আহমেদ বেশ কয়েক বছর আগে মৃত্যুবরণ করে । এই সুযোগে উক্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোখলেসুর রহমান ও তার দলবল । চক্রান্ত্রের প্রথম ধাপে প্রভাবশালী মোকলেছ বাহিনী গত ০২/০৯/২০২০ সালে জাল পর্চা তৈরি করে মংলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে কৌশলে ওই সম্পত্তির একটি দলিল রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেয়। যার নং-১৩৪৬ । এই জাল দলিল সম্পর্কে গত ০৭/০২/২০২০ ইং তারিখে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় । জমির প্রকৃত মালিকগন উক্ত জাল দলিলটি বাতিলের জন্য তৎক্ষনাৎ মোংলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে আবেদন করে । সহকারী কমিশনার (ভূমি) মংলা, বিষয়টি তদন্ত করে জাল পর্চার বিষয় সত্যতা পায় এবং আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন ।
এ দফায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভূমিদস্যু চক্রটির পরিকল্পনা ভেস্তে যায় । পরবর্তীতে কৌশলে পেয়ার আহমেদ গং এর এক শরিকের কিছুটা জমি যা দীর্ঘ দিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হতো (৩ কাটার একটু বেশি ) । সেই রাস্তাটি নিজের বড় ছেলের নামে রেজিষ্ট্রি করিয়ে নেয় সু-চতুর মোকলেছ।
আর এতেই কপাল খুলে উক্ত প্রভাবশালী মোখলেছ বাহিনীর । একই দাগের সম্পত্তি হওয়ায় এই দলিল টিকে পুজি করে দখলের চেষ্টা করছে, রেনুয়ারা ও রুবিয়ারা দুই বোনের প্রায় ৫০ বছরের মালিকানাধীন জমি । শুধু তাই নয়, ব্যাবসায়ী পিয়ার আহম্মেদ এর মৃত্যুর ৭/৮ বছর আগে কবলা দেওয়া জমির মালিকগনের সম্পত্তিও দিনে দুপুরে বাহিনীসহ দখলের চেষ্টা চালায় । যা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সে যাত্রায় রক্ষা পায় ভুক্ত ভোগিরা ।
বর্তমানে ওই সম্পত্তি মোখলেছ ও তার বাহিনী আবারও জবর দখলের জন্য হুমকি ধামকিসহ বিভিন্ন চক্রান্ত চালাচ্ছে বলে জমির প্রকৃত মালিকগন মোংলা সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট একটি অভিযোগ করেন । এ বিষয়ে প্রশাসনেরে উচ্চ মহলে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্ত ভোগিরা ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলায় ভূমিদস্যু মোখলেছ ও মাসুদ বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছে এক ভুক্তভোগি পরিবার

আপডেট টাইম : ০৯:৪১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

মোংলায় দফায় দফায় দখলের চেষ্টা, মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে, জাল দলিল সৃষ্টি করে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে প্রায় ৫০ বছর ধরে বসবাসকারী জমির প্রকৃত মালিকদের ।

সরজমিনে জানা যায়, মোংলা থানার অন্তগর্ত ২২নং শেলাবুনিয়া মোজায় এস এ (চর-২) খতিয়ানে, ৭৫২ ও ৭৫৩ দাগে অটোল বিহারির অংশ থেকে ১৯৭০ সালে ১.২০শতক জমি ক্রয় করে রেনুয়ারা ও রুবিয়ারা নামের দুই সহদোর বোন । পরবর্তী ১৯৭৫ সালের অটোল বিহারির ভাই কুন্ড বিহারির অংশ থেকে হাতবদল হয়ে একই দাগ (৭৫২/৭৫৩) ও খতিয়ানে অবশিষ্ট ০.৮৮ শতক জমি ক্রয় করেন মোংলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পিয়ার আহম্মেদ । পারিবারিক আত্মীয়তার সুবাধে পিয়ার আহম্মেদ, রেনুয়ারা ও রুবিয়ারা গং যৌথ ভাবে উক্ত সম্পত্তি প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসিতে ছিলো ।
অসুস্থতার কারণে ব্যবসায়ী পিয়ার আহমেদ বেশ কয়েক বছর আগে মৃত্যুবরণ করে । এই সুযোগে উক্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোখলেসুর রহমান ও তার দলবল । চক্রান্ত্রের প্রথম ধাপে প্রভাবশালী মোকলেছ বাহিনী গত ০২/০৯/২০২০ সালে জাল পর্চা তৈরি করে মংলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে কৌশলে ওই সম্পত্তির একটি দলিল রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেয়। যার নং-১৩৪৬ । এই জাল দলিল সম্পর্কে গত ০৭/০২/২০২০ ইং তারিখে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় । জমির প্রকৃত মালিকগন উক্ত জাল দলিলটি বাতিলের জন্য তৎক্ষনাৎ মোংলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে আবেদন করে । সহকারী কমিশনার (ভূমি) মংলা, বিষয়টি তদন্ত করে জাল পর্চার বিষয় সত্যতা পায় এবং আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন ।
এ দফায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভূমিদস্যু চক্রটির পরিকল্পনা ভেস্তে যায় । পরবর্তীতে কৌশলে পেয়ার আহমেদ গং এর এক শরিকের কিছুটা জমি যা দীর্ঘ দিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হতো (৩ কাটার একটু বেশি ) । সেই রাস্তাটি নিজের বড় ছেলের নামে রেজিষ্ট্রি করিয়ে নেয় সু-চতুর মোকলেছ।
আর এতেই কপাল খুলে উক্ত প্রভাবশালী মোখলেছ বাহিনীর । একই দাগের সম্পত্তি হওয়ায় এই দলিল টিকে পুজি করে দখলের চেষ্টা করছে, রেনুয়ারা ও রুবিয়ারা দুই বোনের প্রায় ৫০ বছরের মালিকানাধীন জমি । শুধু তাই নয়, ব্যাবসায়ী পিয়ার আহম্মেদ এর মৃত্যুর ৭/৮ বছর আগে কবলা দেওয়া জমির মালিকগনের সম্পত্তিও দিনে দুপুরে বাহিনীসহ দখলের চেষ্টা চালায় । যা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সে যাত্রায় রক্ষা পায় ভুক্ত ভোগিরা ।
বর্তমানে ওই সম্পত্তি মোখলেছ ও তার বাহিনী আবারও জবর দখলের জন্য হুমকি ধামকিসহ বিভিন্ন চক্রান্ত চালাচ্ছে বলে জমির প্রকৃত মালিকগন মোংলা সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট একটি অভিযোগ করেন । এ বিষয়ে প্রশাসনেরে উচ্চ মহলে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্ত ভোগিরা ।