মোংলায় ভূমিদস্যু মোখলেছ ও মাসুদ বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছে এক ভুক্তভোগি পরিবার
- আপডেট টাইম : ০৯:৪১:০০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
- / ২১৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোংলায় দফায় দফায় দখলের চেষ্টা, মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে, জাল দলিল সৃষ্টি করে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে প্রায় ৫০ বছর ধরে বসবাসকারী জমির প্রকৃত মালিকদের ।
সরজমিনে জানা যায়, মোংলা থানার অন্তগর্ত ২২নং শেলাবুনিয়া মোজায় এস এ (চর-২) খতিয়ানে, ৭৫২ ও ৭৫৩ দাগে অটোল বিহারির অংশ থেকে ১৯৭০ সালে ১.২০শতক জমি ক্রয় করে রেনুয়ারা ও রুবিয়ারা নামের দুই সহদোর বোন । পরবর্তী ১৯৭৫ সালের অটোল বিহারির ভাই কুন্ড বিহারির অংশ থেকে হাতবদল হয়ে একই দাগ (৭৫২/৭৫৩) ও খতিয়ানে অবশিষ্ট ০.৮৮ শতক জমি ক্রয় করেন মোংলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পিয়ার আহম্মেদ । পারিবারিক আত্মীয়তার সুবাধে পিয়ার আহম্মেদ, রেনুয়ারা ও রুবিয়ারা গং যৌথ ভাবে উক্ত সম্পত্তি প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসিতে ছিলো ।
অসুস্থতার কারণে ব্যবসায়ী পিয়ার আহমেদ বেশ কয়েক বছর আগে মৃত্যুবরণ করে । এই সুযোগে উক্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোখলেসুর রহমান ও তার দলবল । চক্রান্ত্রের প্রথম ধাপে প্রভাবশালী মোকলেছ বাহিনী গত ০২/০৯/২০২০ সালে জাল পর্চা তৈরি করে মংলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে কৌশলে ওই সম্পত্তির একটি দলিল রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেয়। যার নং-১৩৪৬ । এই জাল দলিল সম্পর্কে গত ০৭/০২/২০২০ ইং তারিখে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় । জমির প্রকৃত মালিকগন উক্ত জাল দলিলটি বাতিলের জন্য তৎক্ষনাৎ মোংলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে আবেদন করে । সহকারী কমিশনার (ভূমি) মংলা, বিষয়টি তদন্ত করে জাল পর্চার বিষয় সত্যতা পায় এবং আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন ।
এ দফায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভূমিদস্যু চক্রটির পরিকল্পনা ভেস্তে যায় । পরবর্তীতে কৌশলে পেয়ার আহমেদ গং এর এক শরিকের কিছুটা জমি যা দীর্ঘ দিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হতো (৩ কাটার একটু বেশি ) । সেই রাস্তাটি নিজের বড় ছেলের নামে রেজিষ্ট্রি করিয়ে নেয় সু-চতুর মোকলেছ।
আর এতেই কপাল খুলে উক্ত প্রভাবশালী মোখলেছ বাহিনীর । একই দাগের সম্পত্তি হওয়ায় এই দলিল টিকে পুজি করে দখলের চেষ্টা করছে, রেনুয়ারা ও রুবিয়ারা দুই বোনের প্রায় ৫০ বছরের মালিকানাধীন জমি । শুধু তাই নয়, ব্যাবসায়ী পিয়ার আহম্মেদ এর মৃত্যুর ৭/৮ বছর আগে কবলা দেওয়া জমির মালিকগনের সম্পত্তিও দিনে দুপুরে বাহিনীসহ দখলের চেষ্টা চালায় । যা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সে যাত্রায় রক্ষা পায় ভুক্ত ভোগিরা ।
বর্তমানে ওই সম্পত্তি মোখলেছ ও তার বাহিনী আবারও জবর দখলের জন্য হুমকি ধামকিসহ বিভিন্ন চক্রান্ত চালাচ্ছে বলে জমির প্রকৃত মালিকগন মোংলা সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট একটি অভিযোগ করেন । এ বিষয়ে প্রশাসনেরে উচ্চ মহলে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্ত ভোগিরা ।