ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
বিরামপুরে এক পা ওয়ালা শিশু সহ জমজ শিশু জন্ম দিলো এক প্রসুতি মা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই চোরাকারবারি গ্রেফতার,ট্রাকসহ ২১ লক্ষ টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আজমিরীগঞ্জে আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন এর উদ্যেগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ইবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত, দ্রুত হতে পারে ঘোষণা হল-অনুষদ সম্মেলন ঈদের পর মোংলায় ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ইবি সাইন্স ক্লাবের সভাপতি নিরব, সম্পাদক জুনাইদ ইবিতে স্বাধীনতা দিবসে বিনামূল্যে উন্নতমানের খাবার পাচ্ছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা পঞ্চগড়ের সুগারমিল চালু হলে কর্মসংস্থান ফিরে পাবে শ্রমিকরা, সচল হবে জেলার অর্থনীতি জামালপুরে খেজুরের বাজার অস্থির\ সিন্ডিকেটের জালে বন্দী খেজুর বাজার

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের সমীক্ষা ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চায়

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১১:৫০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২১
  • ২৩৮ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযানের এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চায়। আর ৭৬ শতাংশ অভিভাবক ও ৭৩ শতাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে।

Nogod
দেশের ২ হাজার ৯৯২ জন উত্তরদাতার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই সমীক্ষা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষার্থী (ছেলে ও মেয়ে সমসংখ্যক), ৫৭৮ জন শিক্ষক, ৫৭৬ জন অভিভাবক রয়েছেন।

মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার এই তথ্য তুলে ধরেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটি সুপারিশে বলেছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে ধাপে ধাপে স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ঘোষণা দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া মহামারীর কারণে শিক্ষার ক্ষতি পুনরুদ্ধারের জন্য অন্তত ২ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন।

সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, দূরশিক্ষণের (সংসদ টিভি, অনলাইন, রেডিও ও মোবাইল) মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল কম। ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। বাকি ৬৯ দশমিক ৫ শতাংশ অংশ নেয়নি। সমীক্ষার তথ্য বলছে, ৬২ শতাংশের বেশি শিক্ষক মনে করেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করা দরকার। আর যেসব শিক্ষার্থী দূর-শিক্ষণ প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে, তাদের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৯ শতাংশ ডিভাইসের অভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। গ্রামীণ এলাকায় এই হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ; অনলাইন ক্লাস আকর্ষণীয় না হওয়ায় ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে না; ৯৯.৩ শতাংশ বাড়িতে নিজে নিজে পড়ালেখা করেছে বলে জানায়। ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতামত, যেসব বিষয় পড়ানো হয়নি তা আগে পড়ানো হোক। ২০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তী ক্লাসে প্রোমোশন চেয়েছেন। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় যেসব পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, তা দিতে চেয়েছেন ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন : এবার নাও হতে পারে বাণিজ্য মেলা

বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পর ৩৮ শতাংশ প্রাথমিকের শিক্ষক মনে করেন, উপস্থিতি কমে যেতে পারে। ৪১ দশমিক ২ শতাংশ মাধ্যমিকের শিক্ষক মনে করে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমতে পারে। ৪০ শতাংশ অভিভাবক মনে করেন অনিয়মিত উপস্থিতির হার বাড়বে। ৪৭ শতাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ৬৪ শতাংশ এনজিও কর্মকর্তা মনে করেন, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার বাড়বে। ৫৩ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষক ও ৪৮ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষক বিদ্যালয় খোলার আগে পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রাথমিকের ৮৪ ও মাধ্যমিকের ৭৭.৫ শতাংশ শিক্ষক টয়লেটসহ পয়োঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থার উন্নতি করা দরকার বলে মনে করেন।

অনুষ্ঠানে রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সক্ষমতা বিবেচনা করে বিদ্যালয় খুলতে হবে। আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলিনি, তবে ধাপে ধাপে খুলতে বলেছি। কবে বিদ্যালয় খোলা হবে, সে ব্যাপারে আগেই ঘোষণা আসা উচিৎ। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিতে পারবে।

অনুষ্ঠানে রাখেন ড. মনজুর আহমদ, অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন, মোহাম্মদ মহসীন, অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ ও ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

বিরামপুরে এক পা ওয়ালা শিশু সহ জমজ শিশু জন্ম দিলো এক প্রসুতি মা

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের সমীক্ষা ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চায়

আপডেট টাইম : ০৪:১১:৫০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযানের এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চায়। আর ৭৬ শতাংশ অভিভাবক ও ৭৩ শতাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে।

Nogod
দেশের ২ হাজার ৯৯২ জন উত্তরদাতার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই সমীক্ষা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষার্থী (ছেলে ও মেয়ে সমসংখ্যক), ৫৭৮ জন শিক্ষক, ৫৭৬ জন অভিভাবক রয়েছেন।

মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার এই তথ্য তুলে ধরেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটি সুপারিশে বলেছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে ধাপে ধাপে স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ঘোষণা দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া মহামারীর কারণে শিক্ষার ক্ষতি পুনরুদ্ধারের জন্য অন্তত ২ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন।

সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, দূরশিক্ষণের (সংসদ টিভি, অনলাইন, রেডিও ও মোবাইল) মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল কম। ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। বাকি ৬৯ দশমিক ৫ শতাংশ অংশ নেয়নি। সমীক্ষার তথ্য বলছে, ৬২ শতাংশের বেশি শিক্ষক মনে করেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করা দরকার। আর যেসব শিক্ষার্থী দূর-শিক্ষণ প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে, তাদের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৯ শতাংশ ডিভাইসের অভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। গ্রামীণ এলাকায় এই হার ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ; অনলাইন ক্লাস আকর্ষণীয় না হওয়ায় ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে না; ৯৯.৩ শতাংশ বাড়িতে নিজে নিজে পড়ালেখা করেছে বলে জানায়। ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতামত, যেসব বিষয় পড়ানো হয়নি তা আগে পড়ানো হোক। ২০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তী ক্লাসে প্রোমোশন চেয়েছেন। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় যেসব পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, তা দিতে চেয়েছেন ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন : এবার নাও হতে পারে বাণিজ্য মেলা

বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পর ৩৮ শতাংশ প্রাথমিকের শিক্ষক মনে করেন, উপস্থিতি কমে যেতে পারে। ৪১ দশমিক ২ শতাংশ মাধ্যমিকের শিক্ষক মনে করে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমতে পারে। ৪০ শতাংশ অভিভাবক মনে করেন অনিয়মিত উপস্থিতির হার বাড়বে। ৪৭ শতাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ৬৪ শতাংশ এনজিও কর্মকর্তা মনে করেন, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার বাড়বে। ৫৩ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষক ও ৪৮ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষক বিদ্যালয় খোলার আগে পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রাথমিকের ৮৪ ও মাধ্যমিকের ৭৭.৫ শতাংশ শিক্ষক টয়লেটসহ পয়োঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থার উন্নতি করা দরকার বলে মনে করেন।

অনুষ্ঠানে রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সক্ষমতা বিবেচনা করে বিদ্যালয় খুলতে হবে। আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলিনি, তবে ধাপে ধাপে খুলতে বলেছি। কবে বিদ্যালয় খোলা হবে, সে ব্যাপারে আগেই ঘোষণা আসা উচিৎ। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিতে পারবে।

অনুষ্ঠানে রাখেন ড. মনজুর আহমদ, অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন, মোহাম্মদ মহসীন, অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ ও ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।