ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

দিনাজপুরে আলোচিত গৃহবধূ হত্যা মামলায়,তিন জনের মৃত্যুদন্ড

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৪:১৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১১ মে ২০২২
  • / ২১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম

বিভাগীয় প্রতিনিধি রংপুর।।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার গৃহবধূ হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড,একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১১ মে) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক এসএম রেজাউল বারী এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ সুজাপুর গ্রামের সাধনানন্দ চৌধুরীর স্ত্রী শ্রীমতি প্রতিমা রানী চৌধুরী (৪৫), তার ছেলে আকাশ চৌধুরী (২৭) এবং কাটাবাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মহন্তের ছেলে কাজল মহন্ত (৩১)
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো- সাধনানন্দ চৌধুরী (৬৩)। চকচকা গ্রামের রবীন্দ্রনাথ দাশের ছেলে জীবন চন্দ্র দাসকে (৩০) ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাধনা নন্দ চৌধুরী তার প্রথম স্ত্রী তপতী রানী চৌধুরীর সঙ্গে সংসার করার সময় ২০১৪ সালের দিকে প্রতিমা রানী চৌধুরীকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তপতী রানীর সঙ্গে আলাদা থাকতেন এবং এবং ভরণ-পোষণ দিতেন না। এ নিয়ে প্রতিনিয়তই পারিবারিক কলহ হতো।

২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল রাত ৯টার পর থেকে স্বামী, সতিন ও সতিনের ছেলেসহ পাঁচ জন মিলে তপতী রানীকে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। পরে উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে লাশে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এঘটনায় নিহতের ছেলে শুভ নন্দ চৌধুরী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগ দেন। মামলার চার জন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালতে মামলাটি চলাকালীন ২২ জন সাক্ষ্য দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিউকিউটর রবিউল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন হামিদুল ইসলাম।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দিনাজপুরে আলোচিত গৃহবধূ হত্যা মামলায়,তিন জনের মৃত্যুদন্ড

আপডেট টাইম : ০৪:৩৪:১৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১১ মে ২০২২

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম

বিভাগীয় প্রতিনিধি রংপুর।।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার গৃহবধূ হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড,একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১১ মে) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক এসএম রেজাউল বারী এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ সুজাপুর গ্রামের সাধনানন্দ চৌধুরীর স্ত্রী শ্রীমতি প্রতিমা রানী চৌধুরী (৪৫), তার ছেলে আকাশ চৌধুরী (২৭) এবং কাটাবাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মহন্তের ছেলে কাজল মহন্ত (৩১)
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো- সাধনানন্দ চৌধুরী (৬৩)। চকচকা গ্রামের রবীন্দ্রনাথ দাশের ছেলে জীবন চন্দ্র দাসকে (৩০) ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাধনা নন্দ চৌধুরী তার প্রথম স্ত্রী তপতী রানী চৌধুরীর সঙ্গে সংসার করার সময় ২০১৪ সালের দিকে প্রতিমা রানী চৌধুরীকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তপতী রানীর সঙ্গে আলাদা থাকতেন এবং এবং ভরণ-পোষণ দিতেন না। এ নিয়ে প্রতিনিয়তই পারিবারিক কলহ হতো।

২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল রাত ৯টার পর থেকে স্বামী, সতিন ও সতিনের ছেলেসহ পাঁচ জন মিলে তপতী রানীকে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। পরে উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে লাশে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এঘটনায় নিহতের ছেলে শুভ নন্দ চৌধুরী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগ দেন। মামলার চার জন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালতে মামলাটি চলাকালীন ২২ জন সাক্ষ্য দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিউকিউটর রবিউল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন হামিদুল ইসলাম।