ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
দিনাজপুরে কমেছে তাপমাত্রা, ভোরে লাগে শীত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিক দিবস জামালপুরে আমের ফলন কমার আশংকা আজমিরীগঞ্জে জনৈক এক নারীকে ইভটিজিং, মোবাইল কোর্টের জেল ও জরিমানা ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ

ক্ষেতসহ পিচ হিসেবে কিনে চড়া দামে কেজিতে বিক্রি মোংলায় সিন্ডিকেটের কারণে তরমুজের দাম আকাশ ছোঁয়া

ওমর ফারুক মোংলা :

মোংলায় পবিত্র মাহে রমজানে প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। তারমধ্যে চলমান দাবদাহ থেকে
সামান্য পরিত্রান পেতে গ্রীষ্মের মৌসুমী রসালো ফল তরমুজের চাহিদাও বেড়েছে। ইফতারে রোজাদারদের কাছে তরমুজ অনেকটা লোভনীয় পছন্দনীয় খাবার। কিন্তু সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ ফল তরমুজে হাতই দেওয়া যাচ্ছেনা।আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে এখন আর তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা।
বুধবার দুপুরে মোংলা পৌর শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছর যে তরমুজ ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার সেই সমান সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এমনকি তরমুজ ব্যবসায়ীরা আগের সব নিয়ম ভঙ্গ করে পিচ হিসেবের পরিবর্তে চড়া দামে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন। তারা আরও বলেন, এক কেজি তরমুজের দাম চলছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি
দরে। এতে পাঁচ কেজি একটি তরমুজের দাম ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০টাকায়। অথচ এই তরমুজ ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
তরমুজ কিনতে আসা সাধারণ ক্রেতা আব্দুস সালাম, কবির হোসেন, আবুল বাসার ও আলআমিন বলেন, পাইকারী ব্যবসায়ী, আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা মিলেই সিন্ডিকেট গড়ে তরমুজের দাম বাড়িয়েছে। বাধ্য হয়েই তাদের বেঁধে দেওয়া দামে ৪০ থেকে ৫০
টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনতে বাধ্য হলেও প্রশাসনের কোনও নজরদারি নাই।
রমজানের শুরু থেকে স্থানীয় প্রশাসন বাজার মনিটরিং বা এই সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলে দাম কিছুটা নাগালে আসতে বলেও জানান ক্রেতা সাধারণেরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোংলা পৌর শহরের প্রধান বাজারের শাহ আলম, বাবুল, ইব্রাহিম, সিরাজ, বাচ্চু,
সুমন, মোস্তফা, বাদশা ও মোয়াজ্জেম তরমুজ সিন্ডিকেটের মুলহোতা। এরাই সিন্ডিকেট করে বাজারে তরমুজের দাম অস্বাভাবিক করেছে।
তবে সিন্ডিকেটের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তারা। ভালো ফলন না হওয়া ও বেশি দামে তরমুজ কিনে আনতে হয় বলে দাবী করেন তারা।
এদিকে মোংলার আশপাশ এলাকা লাউডোব, বাজুয়া, পিরোজপুর, বাগেরহাট ও মোড়েলগঞ্জ এলাকার কয়েকজন চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্ষেত থেকে তোলা তরমুজ তারা কেজিতে বিক্রি করছেন না। চাষীরা তরমুজ শ’ হিসেবে বিক্রি করেন।
মোংলা উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস
চেয়ারম্যান মোঃ নুর আলম শেখ বলেন, ব্যবসায়ীদের উপর রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী মহল চাঁদাবাজী করছে। যার ফলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্র
বেপরোয়াভাবে তরমুজের দাম বাড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের রাম রাজত্ব অব্যাহত রাখছে।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, প্রথম দিকে তেমন কোনও অভিযোগ পাইনি, তবে এখন বিভিন্ন অভিযোগ
পাচ্ছি। আজ-কালের মধ্যেই তরমুজ সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে কমেছে তাপমাত্রা, ভোরে লাগে শীত।

ক্ষেতসহ পিচ হিসেবে কিনে চড়া দামে কেজিতে বিক্রি মোংলায় সিন্ডিকেটের কারণে তরমুজের দাম আকাশ ছোঁয়া

আপডেট টাইম : ১১:২০:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২

ওমর ফারুক মোংলা :

মোংলায় পবিত্র মাহে রমজানে প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। তারমধ্যে চলমান দাবদাহ থেকে
সামান্য পরিত্রান পেতে গ্রীষ্মের মৌসুমী রসালো ফল তরমুজের চাহিদাও বেড়েছে। ইফতারে রোজাদারদের কাছে তরমুজ অনেকটা লোভনীয় পছন্দনীয় খাবার। কিন্তু সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ ফল তরমুজে হাতই দেওয়া যাচ্ছেনা।আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে এখন আর তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা।
বুধবার দুপুরে মোংলা পৌর শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছর যে তরমুজ ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার সেই সমান সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এমনকি তরমুজ ব্যবসায়ীরা আগের সব নিয়ম ভঙ্গ করে পিচ হিসেবের পরিবর্তে চড়া দামে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন। তারা আরও বলেন, এক কেজি তরমুজের দাম চলছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি
দরে। এতে পাঁচ কেজি একটি তরমুজের দাম ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০টাকায়। অথচ এই তরমুজ ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
তরমুজ কিনতে আসা সাধারণ ক্রেতা আব্দুস সালাম, কবির হোসেন, আবুল বাসার ও আলআমিন বলেন, পাইকারী ব্যবসায়ী, আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা মিলেই সিন্ডিকেট গড়ে তরমুজের দাম বাড়িয়েছে। বাধ্য হয়েই তাদের বেঁধে দেওয়া দামে ৪০ থেকে ৫০
টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনতে বাধ্য হলেও প্রশাসনের কোনও নজরদারি নাই।
রমজানের শুরু থেকে স্থানীয় প্রশাসন বাজার মনিটরিং বা এই সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলে দাম কিছুটা নাগালে আসতে বলেও জানান ক্রেতা সাধারণেরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোংলা পৌর শহরের প্রধান বাজারের শাহ আলম, বাবুল, ইব্রাহিম, সিরাজ, বাচ্চু,
সুমন, মোস্তফা, বাদশা ও মোয়াজ্জেম তরমুজ সিন্ডিকেটের মুলহোতা। এরাই সিন্ডিকেট করে বাজারে তরমুজের দাম অস্বাভাবিক করেছে।
তবে সিন্ডিকেটের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তারা। ভালো ফলন না হওয়া ও বেশি দামে তরমুজ কিনে আনতে হয় বলে দাবী করেন তারা।
এদিকে মোংলার আশপাশ এলাকা লাউডোব, বাজুয়া, পিরোজপুর, বাগেরহাট ও মোড়েলগঞ্জ এলাকার কয়েকজন চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্ষেত থেকে তোলা তরমুজ তারা কেজিতে বিক্রি করছেন না। চাষীরা তরমুজ শ’ হিসেবে বিক্রি করেন।
মোংলা উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস
চেয়ারম্যান মোঃ নুর আলম শেখ বলেন, ব্যবসায়ীদের উপর রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী মহল চাঁদাবাজী করছে। যার ফলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্র
বেপরোয়াভাবে তরমুজের দাম বাড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের রাম রাজত্ব অব্যাহত রাখছে।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, প্রথম দিকে তেমন কোনও অভিযোগ পাইনি, তবে এখন বিভিন্ন অভিযোগ
পাচ্ছি। আজ-কালের মধ্যেই তরমুজ সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।