প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নার্সিং অধিদপ্তর এখন আধুনিক ও ডিজিটাল
- আপডেট টাইম : ১১:৪৪:০১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২১
- / ৩০১ ৫০০০.০ বার পাঠক
বিশেষ প্রতিনিধি।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এখন সম্পূর্ণ আধুনিক ও যুগোপযোগী ডিজিটাল। স্বাস্থ্য সেক্টরে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় যে কয়টি পেশার মানুষ সরাসরি জড়িত তাদের মধ্যে নার্সরা অন্যতম।
হাসপাতালগুলোতে সেবা দানের ক্ষেত্রে নার্সরা একটি অবিচ্ছেদ্য ও অপরিহার্য হয়ে উঠছে দিন দিন। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে বাংলাদেশে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসেছে ঠিক তখনই এই দেশের নার্সদেরকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পেশা ও অধিদপ্তরকে ব্যাপকভাবে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশে নার্সিং পেশায় গত একদশকে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা উল্লেখ করার মতো। এর ফলে বাংলাদেশের নার্সরা আজ বিশ্বদরবারে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত যতবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে ততবারই তার সরকার নার্সদের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছে।২০১১ সালে এক সমাবেশে নার্সদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নার্সদের সামাজিক ও আন্তর্জাতিকভাবে সম্মান বৃদ্ধির জন্য তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেন। সেই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী আরো অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে নার্সদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হয়। বর্তমানে মহাখালীতে নার্সদের জন্য নির্মিত আলাদা ভবনে এই অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে বিশ্বমানের নার্স তৈরি করার জন্য বর্তমানে ২০টিরও বেশি সরকারি কলেজে এবং ১০২টির বেশি বেসরকারি কলেজে গ্র্যাজুয়েট নার্স ভর্তি নেওয়া হচ্ছে এবং কয়েক হাজার গ্র্যাজুয়েট নার্স ইতিমধ্যে পাশ করে বের হয়েছে। ২০১৬ সালের আগে নার্সিংয়ে মাস্টার্স করার জন্য অন্য দেশে যাওয়া লাগলেও এখন বাংলাদেশেই নার্সিং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র (নিয়ানার) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে মুগদা ঢাকায় এই প্রতিষ্ঠান এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং সম্প্রতিকালে তিনটি ব্যাচ মাস্টার্স শেষ করে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়েছে।
সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে নার্সদের ঘাটতি পূরণের জন্য এই সরকারের আমলেই ২৪ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালিক এমপি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার নির্দেশনায় নার্সিং অধিদপ্তর এগিয়ে যাচ্ছে। এই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার এবং পরিচালক (প্রশাসন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ আবদুল হাই পিএএ গত এক বছর যাবত্ নার্সিং অধিদপ্তর, নার্সিং শিক্ষা ও নার্সিং সেবা খাতকে আমূল পরিবর্তন করার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কথা হয়, বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন পাটওয়ারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই বাংলাদেশে নার্সদের আপনজন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত দিন ক্ষমতায় থাকবে তত দিন নার্সদের সার্বিক উন্নয়ন হতেই থাকবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন এফডব্লিউভিদের নিয়ে যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে, তা দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে আরো কথা হয়, স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ (স্বানাপ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. ইকবাল হোসেন সবুজের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নার্সদের যা উন্নয়ন করেছেন তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।