ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

অপহরণ করে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জেলা প্রতিনিধিঃ

বরগুনার আমতলীতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৮) ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রাতে ওই ভিকটিম কিশোরীর মা বাদী হয়ে অপহরণকারী মারুফ ওরফে জিসানসহ ৫ জনকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী আমতলীতে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ল্যাব সহকারী পদে চাকুরী করার সুবাধে বিভিন্ন সময়ে আমতলী পৌর শহরের সদর রোডের বাসিন্ধা মোঃ মাহবুবুর রহমান ওরফে নয়া মিয়া তার বখাটে পুত্র মারুফ হোসেন জিসান ভিকটিমকে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। জিসান নেশাগ্রস্থ ও বিবাহিত বলে ওই প্রস্তাবে ভিকটিম কিশোরী রাজি না হলে তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

ঘটনার দিন ২১ নভেম্বর ভিকটিম তার কর্মস্থল থেকে একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা যোগে বাড়ীতে যাওয়ার সময় আমতলী চৌরাস্তায় মূল অভিযুক্ত অপহরণকারী মারুফ ওরফে জিসানসহ তার অন্য এক সহযোগী ওই গাড়ীতে উঠে ভিকটিমের নাকের সামনে চেতনা নাশক ঔষধযুক্ত রুমাল ধরে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

ঘটনার দিন মেয়ে বাড়ীতে না পৌছাইলে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে তাকে না পেয়ে আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ভিকটিমকে তাদের বাড়ীর কাছে রাস্তায় ফেলে আবুল হোসেন হাওলাদার নামক এক ব্যক্তিকে মুঠোফোনে জানায়। তিনি ভিকটিমের মাকে বিষয়টি জানালে তারা সেখানে পৌছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। মেয়ের মুখে ঘটনার বিস্তারিত শুনে গত ২০ ডিসেম্বর আমতলী থানায় এসে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। ভিকটিমের শারিরীক অবস্থা সংকটজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিশোরীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নিয়ে ভর্তি করায়। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে আজ বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়েছে।

ভিকটিম জানায়, বাখাটে মারুফ ওরফে জিসান আমাকে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন রিক্সাযোগে বাড়ী যাওয়ার পথে জিসান ও তার এক সহযোগীকে নিয়ে আমার রিক্সার গতিরোধ করে আমার নাকের সামনে একটি রুমাল ধরে আমাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে আটকে রেখে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং শারিরীকভাবে নির্যাতন করে।

মামলার বাদী ভিকটিমের মা বলেন, যে আমার মেয়ের এতবড় সর্বনাশ করছে আমি তার বিচার চাই।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক

অপহরণ করে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

আপডেট টাইম : ০৬:৪২:১৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২

জেলা প্রতিনিধিঃ

বরগুনার আমতলীতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৮) ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রাতে ওই ভিকটিম কিশোরীর মা বাদী হয়ে অপহরণকারী মারুফ ওরফে জিসানসহ ৫ জনকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী আমতলীতে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ল্যাব সহকারী পদে চাকুরী করার সুবাধে বিভিন্ন সময়ে আমতলী পৌর শহরের সদর রোডের বাসিন্ধা মোঃ মাহবুবুর রহমান ওরফে নয়া মিয়া তার বখাটে পুত্র মারুফ হোসেন জিসান ভিকটিমকে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। জিসান নেশাগ্রস্থ ও বিবাহিত বলে ওই প্রস্তাবে ভিকটিম কিশোরী রাজি না হলে তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

ঘটনার দিন ২১ নভেম্বর ভিকটিম তার কর্মস্থল থেকে একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা যোগে বাড়ীতে যাওয়ার সময় আমতলী চৌরাস্তায় মূল অভিযুক্ত অপহরণকারী মারুফ ওরফে জিসানসহ তার অন্য এক সহযোগী ওই গাড়ীতে উঠে ভিকটিমের নাকের সামনে চেতনা নাশক ঔষধযুক্ত রুমাল ধরে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

ঘটনার দিন মেয়ে বাড়ীতে না পৌছাইলে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে তাকে না পেয়ে আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ভিকটিমকে তাদের বাড়ীর কাছে রাস্তায় ফেলে আবুল হোসেন হাওলাদার নামক এক ব্যক্তিকে মুঠোফোনে জানায়। তিনি ভিকটিমের মাকে বিষয়টি জানালে তারা সেখানে পৌছে ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। মেয়ের মুখে ঘটনার বিস্তারিত শুনে গত ২০ ডিসেম্বর আমতলী থানায় এসে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। ভিকটিমের শারিরীক অবস্থা সংকটজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিশোরীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নিয়ে ভর্তি করায়। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে আজ বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়েছে।

ভিকটিম জানায়, বাখাটে মারুফ ওরফে জিসান আমাকে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে করবে বলে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন রিক্সাযোগে বাড়ী যাওয়ার পথে জিসান ও তার এক সহযোগীকে নিয়ে আমার রিক্সার গতিরোধ করে আমার নাকের সামনে একটি রুমাল ধরে আমাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে আটকে রেখে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং শারিরীকভাবে নির্যাতন করে।

মামলার বাদী ভিকটিমের মা বলেন, যে আমার মেয়ের এতবড় সর্বনাশ করছে আমি তার বিচার চাই।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে