১৪৭ ধারায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার পরেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাজ চালানোর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট টাইম : ০৮:৪৬:০৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
- / ২১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ
চট্টগ্রাম চকবাজার বড় মিয়া মসজিদ এলাকায় ১৪৭ ধারায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার পরেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পেশিশক্তি বলে দিনের পর দিন নিজস্ব সম্পত্তির চলাচলের পথ এর উপর ফরিদুল আলম চৌধুরী নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সেফটি ট্যাঙ্কির নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মামলার বাদী মোঃ আফসারুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন পৈত্রিক হিসাব অনুসারে ২টি ভবনের মাঝে চলাচলের পথ রয়েছে। ইতিপূর্বে তাদের মরহুম পিতা হাজী মোহাম্মদ ছালেহ চৌধুরী ২৯/১২/১৯৮৫ ইংরেজি তারিখে সন্তানদের মাঝে সম্পত্তির সুষ্ঠু বন্টনের মাধ্যমে একটি রেজিস্টার্ড অংশনামা করে দেন। উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যতে উক্ত রেজিস্টার্ড অংশনামা অনুসারে ভাই বোনদের মাঝে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে আমাদের বাবার করে দেওয়া অংশনামার প্রতি ন্যূনতম সম্মান না দেখিয়ে বাবার মৃত্যুর পর প্রতিপক্ষ আমাদের উপর তার হীন মানসিকতার পরিচয় দিয়ে এককভাবে পূর্ণ সম্পত্তি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করে নেয় এবং আমাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এভাবে বেশ কয়েক বছর কেটে যায় দুর্বিষহ জীবন ও পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাদের। পরবর্তীতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ৮/৮/১৯৯৯ ইংরেজি তারিখে আরেকটি রেজিস্টার্ড অংশনামা করেন মামলার বিবাদী মোঃ ফরিদুল আলম চৌধুরী। সেখানে আমাদেরকে পিতার দেয়া ভবনগুলোতে জোরপূর্বক তার নাম লিখিয়ে নেন। আমরা তাও মেনে নেই। বর্তমানের সম্পূর্ণ একটি ভবন তার দখলে। বিষয়টি মেনে নেওয়ার পরও সে আমাকে জিজ্ঞাসা না করে উভয় ভবনের মাঝে চলাচলের পথ এর পথ রয়েছে। এই পথ ওই ভবনের সম্পত্তির উপর অবস্থিত। কিন্তু চলার পথের উপর প্রতিপক্ষ মোঃ ফরিদুল আলম চৌধুরী এক তরফা গায়ের জোরে সেফটি টাংকি নির্মাণ কাজ শুরুর উদ্দেশ্যে বিশাল গর্ত করতে থাকেন নির্মাণশ্রমিকদের দিয়ে। তিনি চলাচলের পথ এর উপর এমনভাবে গর্ত খুঁড়েন যা তার চলাচলের পথ অতিক্রম করে আমার ভবনের চলাচলের পথ সহ অবৈধভাবে দখল নিয়ে। বিষয়টির কারণে আমার ভবনটিতে যেকোনো মুহূর্তে মারাত্মক ঝুঁকি’ সৃষ্টি হতে পারে। ফলশ্রুতিতে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার ভয় ভীতি দেখাতে থাকে। পুরো বিষয়টি আমি মাননীয় আদালতকে অবগত করে বিগত ৩০/৩/২০২২ ইংরেজি তারিখে একটা মিছ মামলা নং ৫২৫/২০২২ ইং দায়ের করি। মাননীয় আদালত পুরো বিষয়টির উপর অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৪৭ ধারায় কাজ স্থগিত রাখার উদ্দেশ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানার ওসি বরাবর শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও মাননীয় আদালত সদর এসি ল্যান্ড মহোদয়কে বিষয়টির উপর সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট জমা দানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বিবাদী মোঃ ফরিদুল আলম চৌধুরী মাননীয় আদালতের এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার অপশক্তির জোড়ে নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে সমাজের দর্পণ হিসেবে সাংবাদিকতার মহান পেশাকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদটি পরিবেশন করে আদালত অবমাননার বিষয়টি প্রমাণ সহ প্রচারের জন্য এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষনে এমন ভয়ঙ্কর ভূমিদস্যুর হাত হতে আমি ও আমার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার সম্পত্তির সুষ্ঠু রক্ষার জন্য এবং আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মাননীয় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪৭ ধারার বিধান অনুসারে নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য এবং অসৎ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। নতুবা এ হেন ভূমিদস্যুদের হাতে আমি ও আমার সহজ সরল পরিবার বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অবশেষে তিনি জানান সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি আমার আকুল আবেদন চলাচলের পথ এবং আমার সম্পত্তির উপর এই অবৈধ নির্মাণ কাজ স্থায়ীভাবে বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। বিষয়টি নিয়ে ফরিদুল আলম চৌধূরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি