বরগুনার পাথরঘাটায় পাল্টাপাল্টি মানবন্ধন, পুলিশের লাঠিচার্জ
- আপডেট টাইম : ১১:৪৭:২০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
- / ২২৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
নিজস্ব প্রতিনিধি:
পাথরঘাটায় একইসময়ে দুই গ্রুপের মানববন্ধনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রনে পুলিশি লাঠিচার্জে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা এগারটার দিকে পাথরঘাটার চরদুয়ানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জুয়েলের নেতৃত্বে গাববাড়িয়া গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা প্রভাবাশালীদের বিরুদ্ধে জমিদখলের অভিযোগে এর প্রতিবাদে পৌরশহরের শেখ রাসেল চত্বরে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে। কিন্ত অনুমতি ছাড়াই মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করায় পুলিশ মানবন্ধনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। পরে তারা প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ শুরু করলে এতে পুলিশ বাঁধা দেয়। একই সময়ে চরদুয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জুয়েলের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সড়কে পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করে একই এলাকার বাসিন্দারা। এসময় উভয় গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে ৬ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, তুলি বেগম (৩০), মিরাজ মাতুববর (২৬), মুছা মিয়া (২২), তারা মিয়া (৩৫), ফিরোজ হোসেন (৩২) ও রফিকুল ইসলাম (৩০) আহত হন।
পাথরঘাটা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হোসাইন বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জুয়েল মাদ্রাসার টাকা আত্মসাৎ করায় এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার সময় জুয়েল সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জুয়েল
বলেন, এনামুল হোসাইন এলাকায় জমি জবরদখল করতে গিয়ে হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রাণি করে আসছে। এর প্রতিবাদে আমার ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা মানবন্ধন করতে আসলে এনামুল লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে, আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, সকলকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। স্মারকলিপি পেয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান প্রশাসনকে অবহিত না করে উভয়পক্ষ মানববন্ধন করতে চাইলে আমরা তাদেরকে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি এবং আমরা লাঠিচার্জ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেই। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।