ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

নাসিরনগরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি,এপ্রিলের শুরুতেই রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন

সুমন গোপ, নাসিরনগর( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি।।

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ব্যপকহারে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।প্রায় প্রতিদিনই ১০/১২ জন করে নতুন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে রোগী হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।আবার অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে চলে যেতে দেখা গেছে।

আজ জেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।হাসপাতালে সীট সংকটের কারনে অনেক রোগীকেই বারান্দায় ও ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে গেছে।

কথা হয় ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রাম থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত নাতনীর চিকিৎসা নিতে আসা দাদী আসুমন ও ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামের নুর মিয়ার সাথে।আসুমন তার এক বছর বয়সী নাতনী ও নুর মিয়া তার ছোট ভাইয়ের ডায়রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স নিয়ে আসেন।পরে চিকিৎসক তাদের হাসপাতালে ভর্তি দেন।তবে এখন মোটামুটি অনেকটা ভাল এবং অত্র হাসপাতালের চিকিৎসকদের সেবা আর চিকিৎসার মানও অনেক ভাল বলে জানান রোগীর সাথে আসা স্বজনরা।

হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স আশিকুন্নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ পর্যন্ত ২৪ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রােগী হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং আজ দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত আরো ৮ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মুনতাসিরুল ইসলাম ভূইয়া সময়ের কন্ঠকে বলেন, সারা দেশেই ডায়রিয়া আশংকা জনকহারে বৃদ্বি পেয়েছে।নাসিরনগরে ৫০ টি রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে এর অর্ধেককেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।তিনি বলেন ডায়রিয়া সাধারণত পানি বাহিত রোগ।সাস্প্রতিক সময়ে আমাদের এলাকার অনেক টিউবওয়েলেই পানি উঠছেনা।ফলে অনেক পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়ে বিকল্প হিসেবে পুকুর,ডোবা বা নদীর পানি পান করছে।এপ্রিলের শুরু থেকেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।তিনি আরো জানান,পানি জনিত কারনে ডায়রিয়া ছাড়াও আমাশয়,পেটের পীড়া,চর্মরোগ,শরীরে চুলকানি,হ্যাপাটাইটিস সহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে।তাই ডায়রিয়ার প্রধান কারন হিসেবে বিশুদ্ধ পানিকেই দায়ী করছেন এ কর্মকর্তা।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রচন্ড খড়া রোদে ডিএমপি কমিশনারের স্বস্থির উদ্যোগ

নাসিরনগরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি,এপ্রিলের শুরুতেই রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন

আপডেট টাইম : ০৩:৪৫:০১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

সুমন গোপ, নাসিরনগর( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি।।

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ব্যপকহারে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।প্রায় প্রতিদিনই ১০/১২ জন করে নতুন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে রোগী হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।আবার অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে চলে যেতে দেখা গেছে।

আজ জেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।হাসপাতালে সীট সংকটের কারনে অনেক রোগীকেই বারান্দায় ও ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে গেছে।

কথা হয় ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রাম থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত নাতনীর চিকিৎসা নিতে আসা দাদী আসুমন ও ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামের নুর মিয়ার সাথে।আসুমন তার এক বছর বয়সী নাতনী ও নুর মিয়া তার ছোট ভাইয়ের ডায়রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স নিয়ে আসেন।পরে চিকিৎসক তাদের হাসপাতালে ভর্তি দেন।তবে এখন মোটামুটি অনেকটা ভাল এবং অত্র হাসপাতালের চিকিৎসকদের সেবা আর চিকিৎসার মানও অনেক ভাল বলে জানান রোগীর সাথে আসা স্বজনরা।

হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স আশিকুন্নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ পর্যন্ত ২৪ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রােগী হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং আজ দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত আরো ৮ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মুনতাসিরুল ইসলাম ভূইয়া সময়ের কন্ঠকে বলেন, সারা দেশেই ডায়রিয়া আশংকা জনকহারে বৃদ্বি পেয়েছে।নাসিরনগরে ৫০ টি রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে এর অর্ধেককেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।তিনি বলেন ডায়রিয়া সাধারণত পানি বাহিত রোগ।সাস্প্রতিক সময়ে আমাদের এলাকার অনেক টিউবওয়েলেই পানি উঠছেনা।ফলে অনেক পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়ে বিকল্প হিসেবে পুকুর,ডোবা বা নদীর পানি পান করছে।এপ্রিলের শুরু থেকেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।তিনি আরো জানান,পানি জনিত কারনে ডায়রিয়া ছাড়াও আমাশয়,পেটের পীড়া,চর্মরোগ,শরীরে চুলকানি,হ্যাপাটাইটিস সহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে।তাই ডায়রিয়ার প্রধান কারন হিসেবে বিশুদ্ধ পানিকেই দায়ী করছেন এ কর্মকর্তা।