ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৮:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩০২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত বুধবার থেকে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করা হয়।

Nogod

বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, বাংলাদেশে কোন পণ্য আমদানি করার ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট এইচএস কোড থাকে। চাল আমদানির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। আমরা ভারত থেকে সিদ্ধ চাল (নন-বাসমতি) আমদানি করার জন্য ১০০৬.২০-০০ নম্বর বিশিষ্ট এইচএস কোড ব্যবহার করে আমদানি করছি। এরফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ওই এইচএস কোডে চাল আমদানি করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার ভারতের চাল রপ্তানিকারকরা তাদের সরকার ১০০৬.৩০.৯০ এইচএস কোড ছাড়া চাল রপ্তানি করবে না বলে জানান। ফলে পূর্বের ১০০৬.২০-০০ এইচএস কোড অকার্যকর হয়ে পড়ে। এ কারণে গত বুধবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ভারতের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা চলছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

বন্দরে চাল খালাস কাজে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট সেরেগুল ইসলাম জানান, বর্তমানে যে এইচএস কোডের মাধ্যমে ভারত থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছিলো এবং এখন যে এইচএস কোডের মাধ্যমে আমদানির কথা বলা হচ্ছে তা প্রায় একই এইচএস কোড হিসেবে বিবেচিত। এই দুই এইচএস কোডের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য হয় না। সবই হাসকিং মিলের সিদ্ধ চাল এবং একই গুণগত মানের। ভারত সরকার চালের রপ্তানি মূল্য বাড়ানোর জন্য এই ফন্দি করছে। এর আগেও গম আমদানি করা হচ্ছিল। কিন্তু একপর্যায়ে গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে তারা তাদের পছন্দের লোকদের দিয়ে সমুদ্রপথে রপ্তানি শুরু করে। যাতে অন্য কেউ ব্যবসা করতে না পারে। চালের ক্ষেত্রেও তারা এই কৌশল করছে।

বন্দরের পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, গত ৯-১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত থেকে ৫৪ টি ট্রাকে মোট ২ হাজার ১৩৩ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়েছে। এরপর থেকে এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ আছে।

বন্দরের কাস্টমস কার্যালয় বলছে, দীর্ঘ বছর পর গত ৯ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। বন্দরের আমদানিকারকেরা প্রতি মেট্রিক টন নন-বাসমতি চাল ৩৫৬ ডলারে আমদানি করছেন। এর ফলে বন্দরের ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কুলি-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা শুরু হয়।

এদিকে সাম্প্রতিককালে দেশে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। সরকার দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ভারত থেকে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ কারণে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার আমদানিকারকরা ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি শুরু হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত বুধবার থেকে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করা হয়।

Nogod

বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, বাংলাদেশে কোন পণ্য আমদানি করার ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট এইচএস কোড থাকে। চাল আমদানির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। আমরা ভারত থেকে সিদ্ধ চাল (নন-বাসমতি) আমদানি করার জন্য ১০০৬.২০-০০ নম্বর বিশিষ্ট এইচএস কোড ব্যবহার করে আমদানি করছি। এরফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ওই এইচএস কোডে চাল আমদানি করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার ভারতের চাল রপ্তানিকারকরা তাদের সরকার ১০০৬.৩০.৯০ এইচএস কোড ছাড়া চাল রপ্তানি করবে না বলে জানান। ফলে পূর্বের ১০০৬.২০-০০ এইচএস কোড অকার্যকর হয়ে পড়ে। এ কারণে গত বুধবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ভারতের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা চলছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

বন্দরে চাল খালাস কাজে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট সেরেগুল ইসলাম জানান, বর্তমানে যে এইচএস কোডের মাধ্যমে ভারত থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছিলো এবং এখন যে এইচএস কোডের মাধ্যমে আমদানির কথা বলা হচ্ছে তা প্রায় একই এইচএস কোড হিসেবে বিবেচিত। এই দুই এইচএস কোডের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য হয় না। সবই হাসকিং মিলের সিদ্ধ চাল এবং একই গুণগত মানের। ভারত সরকার চালের রপ্তানি মূল্য বাড়ানোর জন্য এই ফন্দি করছে। এর আগেও গম আমদানি করা হচ্ছিল। কিন্তু একপর্যায়ে গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে তারা তাদের পছন্দের লোকদের দিয়ে সমুদ্রপথে রপ্তানি শুরু করে। যাতে অন্য কেউ ব্যবসা করতে না পারে। চালের ক্ষেত্রেও তারা এই কৌশল করছে।

বন্দরের পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, গত ৯-১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত থেকে ৫৪ টি ট্রাকে মোট ২ হাজার ১৩৩ মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়েছে। এরপর থেকে এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ আছে।

বন্দরের কাস্টমস কার্যালয় বলছে, দীর্ঘ বছর পর গত ৯ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। বন্দরের আমদানিকারকেরা প্রতি মেট্রিক টন নন-বাসমতি চাল ৩৫৬ ডলারে আমদানি করছেন। এর ফলে বন্দরের ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কুলি-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা শুরু হয়।

এদিকে সাম্প্রতিককালে দেশে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। সরকার দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ভারত থেকে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ কারণে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার আমদানিকারকরা ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি শুরু হয়।