ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প মধ্যরাতের অধ্যাদেশ’ বাতিলে সারাদেশে কলম বিরতি এনবিআরের একাধিক নেতাদের গণপদত্যাগ আগামী ১৫ ও ১৭ মে পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি বিডিআর বিদ্রোহ: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ২৭ জন পালানো’র সময় বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আটক নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোট কার বাক্সে? শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে থাকবেন’ ১২ লাখ শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

নবাবগঞ্জে দারিদ্রতা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সাঁওতাল পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • / ২২৪ ১৫০০০.০ বার পাঠক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লী মালারপাড়ায় অনেক সাঁওতাল পরিবারের বাস করে। দরিদ্র এসব পরিবারের নারী-পুরুষরা শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে কষ্টে চালান তাদের জীবন জীবিকা। কিন্তু এফসিডিও ও পিকেএসএফ’র অর্থনৈতিক সহায়তায় গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল (িপপিইপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে হাঁস,মুরগী, মাছ চাষ, ছাগল পালন ও সবজি চাষের মাধ্যমে আর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জন করেছে সাঁওতাল পরিবার।

সংস্থার পরিচালকরা সরজমিনে সাঁওতালদের জীবনমান উন্নয়ন দেখে অভিভুত হয়েছেন।
সাঁওতাল পল্লী মালার পাড়ার দরিদ্র মারিয়া বাস্কে। স্বামীসহ অন্যের জমিতে দিন মজুরের কাজ করে অতি কষ্টে চালাতেন সংসার। গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের পিপিইপিপি প্রকল্পের অধিনে তাকে এক কালীন অনুদান দিয়ে ছোট আকারের মুরগীর খামার ও মুদি দোকান করে দেওয়া হয়। এই আয় দিয়ে সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। এখন আর অন্যের জমিতে মজুরী দিতে হয়না। উপরন্ত প্রতিবেশিদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতে পারেন। এমনই ভাবে গ্রামের আরো ১৪টি পরিবারকে ওই সংস্থা এক কালীন আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র।
নিভৃত পল্লীর সাঁওতালদের জীবন মান উন্নয়নের বাস্তবতা সরেজমিতে দেখতে আসেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি। গত রোববার দিন ব্যাপি মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের সময় তার সাথে ছিলেন, পিকেএসএফ’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসীম উদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক (কার্যক্রম) ড. শরীফ আহম্মদ চৌধুরী, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের প্রধান নিবার্হী মোয়াজ্জেম হোসেন, সোসাল ডেভেলপমেন্টর পরিচালক সারা মারান্ডি, প্রকল্প সমন্বয়কারী ফিরোজ আহমেদ, কারিগরি হাসদা জিমি হাঁসদা, টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (লাইভলিহুড) শাহীন মিয়া সহ আরও অনেকে।
বিকেলে ড. নমিতা হালদার মালারপাড়া সাঁওতাল পল্লীতে প্রতিবন্ধিদের মাঝে হুইল চেয়ারসহ বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ বিতরণ করেন এবং অতিথিদের সম্মানে খয়েরগুনি মাটকুমপাড়া গ্রামে সাঁওতাল ভাষায় মঞ্চস্থ পথনাটক উপভোগ করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নবাবগঞ্জে দারিদ্রতা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সাঁওতাল পরিবার

আপডেট টাইম : ০৮:৩৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লী মালারপাড়ায় অনেক সাঁওতাল পরিবারের বাস করে। দরিদ্র এসব পরিবারের নারী-পুরুষরা শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে কষ্টে চালান তাদের জীবন জীবিকা। কিন্তু এফসিডিও ও পিকেএসএফ’র অর্থনৈতিক সহায়তায় গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল (িপপিইপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে হাঁস,মুরগী, মাছ চাষ, ছাগল পালন ও সবজি চাষের মাধ্যমে আর্থনৈতিকভাবে সফলতা অর্জন করেছে সাঁওতাল পরিবার।

সংস্থার পরিচালকরা সরজমিনে সাঁওতালদের জীবনমান উন্নয়ন দেখে অভিভুত হয়েছেন।
সাঁওতাল পল্লী মালার পাড়ার দরিদ্র মারিয়া বাস্কে। স্বামীসহ অন্যের জমিতে দিন মজুরের কাজ করে অতি কষ্টে চালাতেন সংসার। গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের পিপিইপিপি প্রকল্পের অধিনে তাকে এক কালীন অনুদান দিয়ে ছোট আকারের মুরগীর খামার ও মুদি দোকান করে দেওয়া হয়। এই আয় দিয়ে সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। এখন আর অন্যের জমিতে মজুরী দিতে হয়না। উপরন্ত প্রতিবেশিদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতে পারেন। এমনই ভাবে গ্রামের আরো ১৪টি পরিবারকে ওই সংস্থা এক কালীন আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র।
নিভৃত পল্লীর সাঁওতালদের জীবন মান উন্নয়নের বাস্তবতা সরেজমিতে দেখতে আসেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি। গত রোববার দিন ব্যাপি মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের সময় তার সাথে ছিলেন, পিকেএসএফ’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসীম উদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক (কার্যক্রম) ড. শরীফ আহম্মদ চৌধুরী, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের প্রধান নিবার্হী মোয়াজ্জেম হোসেন, সোসাল ডেভেলপমেন্টর পরিচালক সারা মারান্ডি, প্রকল্প সমন্বয়কারী ফিরোজ আহমেদ, কারিগরি হাসদা জিমি হাঁসদা, টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (লাইভলিহুড) শাহীন মিয়া সহ আরও অনেকে।
বিকেলে ড. নমিতা হালদার মালারপাড়া সাঁওতাল পল্লীতে প্রতিবন্ধিদের মাঝে হুইল চেয়ারসহ বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ বিতরণ করেন এবং অতিথিদের সম্মানে খয়েরগুনি মাটকুমপাড়া গ্রামে সাঁওতাল ভাষায় মঞ্চস্থ পথনাটক উপভোগ করেন।